মা আমার, কল্পনার আলো আঁকা সরা
মা আমার, রাত্রি জেগে ঘুমপাড়ানো তারা।
মা আমার, প্রখর দিনের নিবিড় ছায়া,
আর, ক্লান্ত দিনের সবুজ মায়া।
মা আমার, এক্কেবারে আটপৌরে,
শহুরে কেতায় তাই নিত্য ভুলচুক করে।
সময় এঁকেছে তার চোখে শূণ্যতা,
বার্ধক্য উপহার দিয়েছে বধিরতা।
বয়সের ভারে ঈষৎ ন্যুজ,
শরীরের বলিরেখায় গ্রীক ভাস্কর্য,
এক একটি রেখায় ঘুমিয়ে আছে তার,
এক একটি যুদ্ধ জয়ের কাহিনীর বর্ণনা।
মা আমার, রাত্রি জেগে ঘুমপাড়ানো তারা।
মা আমার, প্রখর দিনের নিবিড় ছায়া,
আর, ক্লান্ত দিনের সবুজ মায়া।
মা আমার, এক্কেবারে আটপৌরে,
শহুরে কেতায় তাই নিত্য ভুলচুক করে।
সময় এঁকেছে তার চোখে শূণ্যতা,
বার্ধক্য উপহার দিয়েছে বধিরতা।
বয়সের ভারে ঈষৎ ন্যুজ,
শরীরের বলিরেখায় গ্রীক ভাস্কর্য,
এক একটি রেখায় ঘুমিয়ে আছে তার,
এক একটি যুদ্ধ জয়ের কাহিনীর বর্ণনা।
মা আমার আঁকড়ে রাখা শৈশব,
আর, কিশোরী বেলার বৈভব।
বুকের চোরাকুঠরি তার ভর্তি সবটা,
মেয়েবেলার দমকা হাওয়ার ঝাপটা।
হাত দুটি তার জাদুকরী ছোঁয়া,
আদর,আশীষ সবটা তো ঐ হাতেই পাওয়া।
মা আমার, ওপার বাংলা ছেড়ে আসা
সময়, স্বজন, দেশ, বাসা,
ছাড়তে পারেনি শুধু পূর্ববঙ্গের ভাষা,
বাঙ্গাল ভাষার বুলি, তাই কথায় ঠাসা।
কত বলছি,পাল্টাও, চলেনা আর এসব।
উত্তরে বলেছে,দেশ,বাসা,ছেড়েছি সে সব,
ভাষা টুকই পেরেছি সঙ্গে নিতে,
সহজে পারবো না তাকে বিদায় দিতে।
আমার আটপৌরে মা,
সত্যি যে তার নেইকো তুলনা।।
কবি পরিচিতি : চন্দনা রায় চক্রবর্তী