আমি তখন অন্ধকারের কবি,
রুদ্ধমনা শুষ্ক হাতে ,কলম ফেলে,
খুঁজতে থাকি বিস্ফোরণের ছবি।
আদিম গুহায় শিকার শিকার খেলায়,
ঝাপসা রঙের তপ্ত গিরিমাটি ।
রক্ত-হাড়ের অনেক ছবি হেলায়,
নখের ডগায় মিথ্যে আঁচড় কাটি।
দুয়ার খুলে শুভ্র হাতের ছোঁয়ায়,
দেখি , নখ পালিশের রং গিলেছে চাদর।
আতপ আতপ গন্ধ মাতে হাওয়ায়,
তাই মাস সরেনা শ্রাবণ থেকে ভাদর।
ঘাড়ের লতায় মিহি সুতোর বাঁধন,
চিবুক ছুঁয়ে নামছে গাঢ় পাড় ।
কাজলতা মিথ্যে সাজের সাধন,
চোখের বাঁকে হৃদয় জোড়া হার।
কপাল জুড়ে আনমনা সব সিঁদুর,
হাতের শাঁখা সোনার জলে মাখা।
এপাশ থেকে ওপাশ যেন কি দূর !
হাতের তালুই গাল ঠেকানো মাথা।

এবার আমি আলোয় ভেজা কবি।
মুক্ত মনা শক্ত হাতে ,কলম গুঁজে,
আঁকতে পারি ভরাট বুকের ছবি।
শেষে ,গ্রহের ফেরে ,কি মুদ্রা দোষের ফলে,
চোখের তলায় ঘুম বেঁধেছে ঘর।
রাতের মেঘে মুখ খানি তোর জ্বলে,
ভাবতে থাকি আমিই জাতিস্মর।

কলমে আশিষ চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদ

6 COMMENTS

  1. আশিস ,
    তোর ‘জাতিস্মর’ কবিতার মধ্যে মানব জীবনের কাল যাত্রার যে চিত্র ধরা পড়েছে তাতে প্রাথমিক ভাবে অক্ষয় কুমার বড়ালের
    ‘ মানব বন্দনা’কবিতার আভাস পাওয়া গেলেও এখানে মানব জীবন সংগ্রামের ছবিটি উহ্য নয়। এই কবিতায় জাতিস্মর ধারণার এক নতুন মাত্রা যোগ হলো অর্থাৎ ‘জাতিস্মর ‘ এর অর্থ এখানে পুনরজন্ম নয় বরঞ্চ মানব সভ্যতার ও মানুষের অবস্থার বিবর্তন ই হলো জাতিস্মর ।
    অসাধারণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here