ছোট্ট জিয়া তন্দ্রা চোখে,
জানালা দিয়ে আকাশ দেখে।
ভাবছে শুয়ে চুপটি করে
স্বপ্ন মাখা ঘুমের ঘোরে,
পক্ষীরাজ কি জোছনা রাতে,
পথ হারাবে মেঘের সাথে?
নাকি, স্পষ্ট দেখেবে তারার দেশে,
ছোট্ট জিয়া আছে বসে।
অবাক করা পরীর দেশে,
মেঘের নৌকা যাচ্ছে ভেসে,
খিরের নদী পার হয়ে যায়,
সূর্যমুখীর পাড়ায়।
সূর্যমুখীর হলুদ পাড়ায়,
প্রজাপতিরা খেলে বেড়ায়।
পারুল বোনের গানের সুরে,
সাত ভাই চম্পা জাগেরে,
গানের সুরে সোনার কাটি,
ছুঁয়িয়ে দিচ্ছে পারুল বোনটি।
লাল আর নীল কমলে,
রামধনুরং দীঘির জলে,
টুপুস টুপুস ডুব মারে,
রাক্ষস-খোক্ষস পাছে ধরে।
পরির দেশের সহচরী,
লাল পরি আর নীল পরি,
নাচছে তা থৈ ছোট্ট জিয়ার,
হাতে হাতে ধরি ধরি।
ডালিম কুমার ঘোড়ার পিঠে ,
টগবগিয়ে আসছে ছুটে,
ঢাল- তলোয়ার রাজার বেশে,
জিয়া পরির আপন দেশে।
আজব-গজব মজার টানে,
আসবে সে যে কতক্ষনে,
জিয়া রানীর তর সয় না,
একলা জেগে রয়।
জিয়া জিয়া ডাকছে কে যে,
ঠাম্মু বৈ তো নয়।
ঠাম্মু ডাকে কৈ রে জিয়া,
কোথায় চলে গেলি?
নতুন গল্প করছি শুরু,
হাতে ঠাকুমার ঝুলি,
শুনেই জিয়া এক দৌড়ে,
ঠাম্মুর কাছে যাই,
জড়িয়ে বলে এমন ঠাম্মু,
কারো কাছে নাই।
গল্প শুনে, একমনে,
ঠাম্মুর রূপকথায়,
একশো রকম প্রশ্ন আসে ,
ছোট্ট জিয়ার মাথায়।
রূপকথারা কি সত্যি হয়,
পক্ষীরাজ্ কি উড়ে ?
রাজারকুমার মৃগয়া যায়,
নীল ঘোড়াই চড়ে !
মনি মালা আর মুক্ত মালার,
হাসিতে মানিক ঝরে!
কাঁদলে নাকি চোখের জল,
মুক্তা হয়ে পড়ে?
ভাবতে ভাবতে ঘুমের দেশে,
স্বপ্ন পরি হয়ে,
ছোট্ট জিয়া যাচ্ছে ভেসে,
চাঁদের খেয়া বেয়ে।
কবি পরিচিতি : শিল্পী দত্ত , সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার , ওহিও ,ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা। ভালোবাসেন ঘুরতে, রান্না করতে, সেলাই করতে এবং একই সাথে পড়তে ও লিখতে। অবসর সময় পড়তে বেশি ভালোবাসেন।তার কিছু লেখা ইন্দো-আমেরিকান ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে।