হঠাৎ করেই হীরে খুঁজে পাওয়া যায় না।
সব ঝিনুকেই মুক্তো থাকে না।
চাইলেই সুবর্ণরেখা নদী থেকে
তুলে আনা যায় না মুঠো মুঠো সোনা।
একটা নীল পদ্মকে আপন করে পেতে
বাড়ীর পাশের লাল দীঘিই যথেষ্ট নয়।
বিশল্যকরণী খোঁজ তো সবাই করছে।
পাচ্ছে কতজন?
নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও
কারো না কারো কাছে পরশ পাথর আছে
অথচ আজ পর্যন্ত কেউই তা চোখে দেখেনি।
আবার চারিদিকের শূন্যতাকে পূর্ণ করে রেখেছে
অপরিমেয় অদৃশ্য বাতাস,
মুঠোয় বন্দী করে রাখতে পারেনি তাঁকে
কেউ কোনোদিন।
যে জল ঢেকে রেখেছে পৃথিবীর বেশীর ভাগ শরীর,
এই পৃথিবীর সমস্ত চোখেও তাঁকে ধরে রাখা সম্ভব নয়।
নিভন্ত নিষ্প্রভ কিংবা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনকে
আগ্নেয় গিরির নিরাপদ ঠিকানা দিলেও
সে অবরুদ্ধ থাকতে চায়নি,
বরং পুড়তে এবং পোড়াতেই
সে বেশী সাবলীল,
সর্বদা জয়ী হওয়াতেই তাঁর স্বাচ্ছ্যন্দ।
ভালবাসা এই রকমই।
প্রাচুর্য কিংবা বিরলতায়
ভালবাসা এই রকমই সরল এই রকমই জটিল,
এই রকমই দুষ্প্রাপ্য
কিংবা খুব নিকটে থেকেও অধরা।
–কৃষ্ণ বর্মন