ধারণা –
ভ্রমণ মানুষের জীবনে এক অপরিহার্য অভিজ্ঞতা। সাধারণ মানুষের সাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক , ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয় এই ভ্রমণ। একদিকে জ্ঞান ও সৃজনশীলতা অন্যদিকে আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভ্রমণের এক অপরিসীম অবদান । নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক দক্ষতাকে উন্নত করে। ভ্রমণ মূলত ব্যাক্তিগত পছন্দ, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা , সময় , নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। ভ্রমণের মূলত চারটি রূপ – ১. পর্যটন ২. তীর্থযাত্রা ৩. ব্যবসায়িক ভ্রমণ ৪. শিক্ষা সফর।
বিনোদনমূলক পর্যটন হোক বা শিক্ষা সফর এই দুই ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে সংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্রের মাধুর্যতার সম্পূর্ণ নির্যাস পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন থেকেই পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক ও সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ ম্যানগ্রোভের নিঃশ্বাসে লুকিয়ে আছে।
অবস্থান –
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মোহনায় অবস্থিত পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলো সুন্দরবন। প্রায় দশ হাজার বর্গ কিমি স্থান জুড়ে অবস্থিত এই ম্যানগ্রোভ অরন্যের ৬০ শতাংশ (৬০১৭ বর্গ কিমি) বাংলাদেশে ও ৪০ শতাংশ (প্রায় ৪০২৬ বর্গ কিমি) ভারতে অবস্থিত। উত্তর ২৪ পরগনার ৬টি ব্লক ও দক্ষিন ২৪ পরগনার ১৩ টি ব্লক নিয়ে গঠিত এই সুন্দরবনে হিংস্র জীব-জন্তুর সাথে প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। এই সুন্দরবন উত্তর২৪পরগনার হাসনাবাদ, হাড়োয়া, হিঙ্গল-গঞ্জ, মিনাখান, সন্দেশখালি (I ও II), ও দক্ষিন২৪পরগনার বাসন্তি, ক্যানিং ,কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিম, মথুরাপুর, জয়নগর (I ও II), নামখানা, সাগর,ও কুলতলি ইত্যাদি ব্লক নিয়ে গঠিত। সুন্দরবনের ১৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে খাঁড়ি ও নদীনালাসহ বহু জনাকীর্ণ অঞ্চল।
পর্যটকদের পরিসংখ্যান –
শান্ত প্রকৃতির কোলে বিরাজ করছে একটুকরো সুন্দরবন। প্রকৃতির এই নিস্তব্ধতা উপলব্ধির জন্য বছরের পর বছর ক্রমশ বেড়ে চলেছে পর্যটকদের সংখ্যা। শুধুমাত্র দেশের না দেশের বাইরে থেকেও বহু পর্যটকদের ভির জমে এই সুন্দরবনে। ২০১২ সালে যেখানে বৈদেশিক পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ৪৪% ২০১৪সালে বেড়ে হয় ৬৩% এবং ২০১৭ সালে এর সংখ্যা প্রায় ৭১%। এছাড়াও বিগত বছর পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে সবথেকে বেশি দেশীয় পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ২০১১-১২ সালে প্রায় ১৩ লক্ষ এবং ২০১৮-১৯ সালে প্রায় ১১ লক্ষ । ছাড়াও দেখা গেছে ৬৯% প্যাকেজ ট্যুরে আসে সুন্দরবন ভ্রমণে এবং বাকি ৩১% আসে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। বিভিন্ন পর্যটকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জানা গেছে বিভিন্ন কারণে তারা এই সুন্দরবন ভ্রমণে আগ্রহী। বেশিরভাগ মানুষই অবসর সময় উপভোগ করার জন্যে সুন্দরবন যায় তবে গবেষণামূলক কাজের জন্যেও সুন্দরবন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সাল | পর্যটকদের সংখ্যা (%) |
২০১০ | ৮২ |
২০১২ | ৭৯ |
২০১৪ | ৭৬ |
২০১৬ | ৬৮ |
২০১৮ | ৭৮ |
২০২০ | ৩২ |
২০২২ | ৬৩ |
২০২৪ | ৭১ |
ভ্রমণ স্থান হিসেবে সুন্দরবনের শ্রেষ্ঠত্বের কারণসমূহ-
১. অরণ্যের বৈচিত্রতা –
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের অন্যতম প্রধান একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণের ঠিকানা হলো সুন্দরবন। ভারত তথা পৃথিবীর সবথেকে বড়ো ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সমাহার দেখা যায় এখানে তাই ভারত ও ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় করে এখানে।সুন্দরবনে প্রায় ১০০ টিরও বেশি প্রজাতির গাছ জন্মায় যার মধ্যে অন্তত ৩৫টি প্রকৃত ম্যানগ্রোভ প্রজাতি। এই অঞ্চলের প্রধান উদ্ভিদগুলির মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, পশুর,কেওড়া,ধুন্দুল, বাইন ও গোলপাতা।প্রধানত সুন্দরী গাছের নাম অনুসারেই এই সুন্দরবন অঞ্চলের নামকরণ হয়।সুন্দরবনে মোট ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল এবং ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। ম্যানগ্রোভ অরণ্য জোয়ার ভাটার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে এবং জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম দেখা যায়।
এছাড়াও অন্যতম অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো ঠেসমূল ও শ্বাসমূল যা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে জয় করে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। সুন্দরবনের পশ্চিমদিকে ম্যানগ্রোভ গাছের ঘনত্ব তুলনামূলক অনেক বেশি এবং পূর্বদিকে শৈবালের ঘনত্ব অনেক বেশি পরিলক্ষিত। যদিও বর্তমানে সুন্দরবনের উদ্ভিত বৈচিত্র্য হ্রাস প্রাকৃতিক সংকটময়তাকে চিহ্নিত করে। আমরা পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো ১৯৯৫ সালে ম্যানগ্রোভ গাছের ঘনত্ব প্রায় ৮২% ছিল যা ২০১০ সালে কমে প্রায় ৭৩% এবং ২০২০ তে ৬১% এর কাছাকাছি পৌঁছেছে কিন্তু বৈচিত্র্যতা এখনও বিদ্যমান তাই বিভিন্ন স্থানের পর্যটক ছুটে আসে এই বৈচিত্র্যতার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
বছর | অরণ্যের পরিমাণ (%) |
১৯৯৫ | ৮২ |
২০০০ | ৭৪ |
২০০৫ | ৭১ |
২০১০ | ৬৪ |
২০১৫ | ৭৩ |
২০২০ | ৬৫ |
২. ঐতিহ্যবাহী তকমা –
সুন্দরবনের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতিক বৈচিত্রতা ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতার ওপর ভিত্তি করে সুন্দরবনকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ১৯৮৭ সালে। সুন্দরবন ১৯৮৯ সালে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০০১ সালে UNESCO এর বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত হয় এর সাতন্ত্রীকরণের জন্য। ২০১৯এর তিরিশে জানুয়ারি রামসার কনভেনশনের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বের একটি জলাভূমি হিসেবে ঘোষিত হয়। এটি ভারতের ২৭ তম রামসার সাইট হিসেবে পরিচিত। ভারতের বৃহত্তম রামসার সাইট হল এই সুন্দরবন। এই উদ্ভিদ সাংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা মনমুগ্ধকর পরিবেশ মূলত সাধারণ পর্যটকদের আক্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
৩. অর্থনৈতিক সুগম্যতা –
পর্যটনের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল অর্থনৈতিক সুগম্যতা অর্থাৎ কোন একটি স্থানে পর্যটনের আগে সর্বদা সেই অঞ্চলের ব্যয় হিসেব করেই যেকোনো পর্যটক সেই অঞ্চল ভ্রমণে যায়। সে দিক থেকে লক্ষ করলে সুন্দরবন এমন একটি ভ্রমনের জায়গা যেখানে ব্যয় উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই বহন করতে সক্ষম। এর ফলে দু-তিন দিনের ছুটির পালেই মানুষের মন টানে এই সুন্দরবনের দিকে যা ভ্রমণ স্থান হিসেবে একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা।
৪. প্রাকৃতিক সম্পদের আধিক্য-
সুন্দরবনে বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ কেবলমাত্র প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা। উদ্ভিদগত বৈচিত্র্যের সাথে প্রাণীগত বিভিন্নতা এই অঞ্চলকে প্রাকৃতিক সম্পদের খোনিতে পরিণত করেছে।নদী, খাল ও সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় এখানে জলজ সম্পদের সমাহার দেখা যায়। চিংড়ি, ইলিশ ,ভেটকি সহ বিভিন্ন নতুন প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায় যা এখানকার বেশিরভাগ মানুষের জীবিকার অন্যতম চাবিকাঠি। প্রধানত এখানের মানুষের অন্যান্য জীবিকা হলো মধু, মোম এবং গভীর জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ। নিজেদের জীবিকা নিবারণের জন্য একাধিকবার তারা বিপদের সম্মুখীন হয়, এই বিপদ বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছ।।সবথেকে বেশি প্রাণ সংশয় লক্ষ্য করা যায় মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে। দু মুঠো খাবার জোগাড় করার জন্য তাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম সাধারণ পর্যটকদের কাছে একটি অনুপ্রেরণাসম।
৫. সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা –
সুন্দরবনের একাধিক অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসস্থান পরিলক্ষিত।তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতিমূলক বৈশিষ্ট্য সুন্দরবনের জৌলুস দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়েছে।আদিবাসী উপজাতিদের সংমিশ্রনে সুন্দরবনের একটি অংশ তৈরি হলেও এদের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। আদিবাসীর সংখ্যা এই অঞ্চলে মূলত ২১১৯২৭। মূলত এই অঞ্চলে লক্ষ্য করলে দেখা গেছে তিন ধরনের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যায় লোধা মুন্ডা ও ওরাও যার মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক মুন্ডা সম্প্রদায় বসবাস করে আসছে ১৮৭২ সাল থেকে এবং লোধা উপজাতি ক্রমাগত বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। তাদের উৎসব, জীবনযাত্রা খাদ্যাভ্যাস এবং জীবিকা নির্বাহের পদ্ধতি সবকিছুই প্রযুক্তিগত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই সতন্ত্রতাই সুন্দরবনের প্রতি মনুষের আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলেছে বিশ্ব দরবারে ।
সাল | লোধা | মুন্ডা | ওরাও |
১৮৭২ | ১৮ | —– | ৩৩৬ |
১৮৯১ | —– | ৯২২৯ | ১৪০৯ |
১৯০১ | ৩৫ | ৫৮৯৬ | ৩৪৭২ |
১৯১১ | —– | ৫৫৬৪ | ২০৪৫ |
৬.মানুষ ও জীবের মধ্যে অস্তিত্ব সংগ্রাম-
সুন্দরবনের মোট ১৫৪ টি দ্বীপের মধ্যে ৫৪টি তে মানুষ বসবাস করে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন।অপরদিকে জীববৈচিত্র্য সুন্দরবনে ১৫৮৬ টি প্রাণী প্রজাতি অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়, যেমন – বাঘ, বনবিড়াল, চিতল হরিণ , শুকর, , মোহনার কুমির, বিষাক্ত সাপ,গন্ধগোকুল, গোখরো ইত্যাদি।মানুষ ও জীবের মধ্যে যে সংঘর্ষ সেটাই বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।
২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা প্রায় উচ্চতায় ৩-৪ ফুট এবং উচ্চতায় ১২ ফুট প্রায়। ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত বাঘই হলো প্রধান ত্রাসের কারণ। সাধারণ মানুষ জীবিকা নিবাহের জন্য গভীর জঙ্গলে গেলে বাঘ নিজের ক্ষুধা মেটানোর জন্য তাদের ওপর আক্রমণ করে এভাবে এই তারা পরস্পরের সাথে সংঘাতের মধ্য দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখে।সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান জলজ প্রাণী জলাভূমির কুমির ,ঘড়িয়াল, খাঁড়ির কুমির যাদের ৩০০-৪০০ কেজি ওজন বিশিষ্ট হয় এবং ৪ মিটার দীর্ঘ হয়। মূলত সুন্দরবন অঞ্চলের যারা মৎস্যজীবী তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় কুমিরের দ্বারা আক্রান্ত হয়। WWF এর রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে এই অঞ্চলের মানুষ যা বাস্তব জীবনের এক কঠোর সংগ্রামী মনোভাবের দ্বারা অন্যদের সংগ্রামের মধ্যে জীবনকে অতিবাহিত করার উৎসাহিত করে সেই সংগ্রামই পরিদর্শনের লাভেও পর্যটক সহ বিভিন্ন গবেষকদের ভিড় জমে এই সুন্দরবনে।
মূল্যায়ন –
ভ্রমণের উদ্দেশ্য কেবল অবসর সময়ে স্বাচ্ছন্দ জীবনযাত্রা কাটানো নয় ভ্রমণ মানে কোন একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে পারস্পারিক পরিবেশ সহ বিভিন্ন স্বাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচিত হওয়া।এটি একটি স্বতন্ত্র ও বিবেচনা মূলক চিন্তাভাবনার মেলবন্ধন তৈরি করে। এক্ষেত্রে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জীব বৈচিত্রের বিভিন্নতা এবং পারস্পারিক লড়াইয়ের মাধ্যমে বেঁচে থাকার কৌশল একটি সুস্পষ্ট সংগ্রামিক চিত্রায়নকে বাস্তবায়িত করে। তাই প্রকৃতির কোলে নীরবতা অনুভব করা হোক বা একটি শিক্ষানীয় জীবনকে সামনে থেকে উপভোগ করা এই দুই ক্ষেত্রের জন্যই সুন্দরবন সত্যিই অনবদ্য পর্যটন ক্ষেত্র।
তথ্যসূত্র-
১. ভারতীয় আদম সীমারের রিপোর্ট ২০১১
২. in the languns of delta- গৌতম কে বেরা এবং ডঃ সাহা
৩. Tourist guide book of Sundarban – জয়দেব দাস
৪. Concept of mental in less in the Sundarban -9,109- 129
৫. S. Chaudhary 1981-” A focus on Sundarban Calcutta”.
By: Souli Das
Write and Win: Participate in Creative writing Contest & International Essay Contest and win fabulous prizes.