অঞ্জলি (ছোটগল্প )

1
1033

সবে আশ্বিন মাস পড়েছে। মাঠের ধানগাছগুলোয় দু, একটা শিষ আসছে। পদ্ম-শালুক উঁকি মারছে পুকুরে- দীঘিতে। শিউলি-কাশও ফুটবো ফুটবো করছে। সাদা মেঘের দলেরও আনাগোনা শুরু হয়েছে নীল আকাশে।

শিমুলহাটির সদানন্দ ভট্টাচার্য্যেরও এবার কাজের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু হলো।আর হবে নাই বা কেন, এই গাঁয়ে একটাই পুজো। বামুনপাড়ার পুজো। আর সেই কোন জোয়ান বয়েস থেকে এই পুজোর বেশিরভাগ দায়িত্বটাই তো সদানন্দ ওরফে সদাই বামুনকেই নিতে হয়।

আশ্বিন মাসের প্রথমদিকে মন্দির আর মন্দির চত্বর পরিস্কার করানোর জন্য লোক লাগান। গ্রামের শেষপ্রান্তে কয়েক ঘর সাঁওতালের বাস। ওদেরকে দিয়েই এই কাজটা করান। ওদের কাজও খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর ওরা লোকও খুব ভালো হয়।

সাঁওতাল পাড়ায় ঘর বেশি নেই। প্রায় সবাইকে দিয়েই কোনো না কোনো বছর মন্দিরের কাজ করিয়েছেন উনি। কিন্তু বছর দুই আগে, মোতি কামিনের নাতি আর নাত বৌ এসে ওর সাথে থাকছে। ওদের প্রেম-ভালোবাসার বিয়ে নাকি ওদের গাঁয়ে কেউ মেনে নেয় নি, তাই ওরা দিদিমার ঘরে চলে এসেছে। দিদিমাও খুশি মনে ঠাঁই দিয়েছে ওদের। এই বুড়ো বয়েসে, আর যাই হোক, রেঁধে তো আর খেতে হয় না। তবে ওর নাতি ডুলুং আর নাত বৌ সনকা দুজনেই খুব ভালো। মোতির জমিজিরেত যেটুকু আছে সেইটুকুতে ফসল ফলায় ওরা। তারপরেও অন্যের জমিতে মুনিষ খাটে। দুজনাতেই মোতিকে খুব ভালোবাসে। বলে—“তুকে ভালো না বেসে কি থাকা যায় দিদিমা। সবাই যখুন খেদারে দিলে, তুই তো আমাদিকে থাকতে টো দিলি!”

আনন্দে চোখে জল আসে মোতির।

আশ্বিন মাস। এখন জমিতে কাজের অতো চাপ নেই। নিজেদের জমিটুকুতে খানিক কাজ করে এসে, ঘরের সামনের চাতালে বসেছিল ডুলুং আর মোতি। সনকা রান্না করছিল চাতালের একধারে। তিনজনে এটা সেটা কথাবার্তা বলছিলো। এমন সময়, বাইরে থেকে সদাই বামুন হাঁক পাড়লেন—–“কই রে মোতি! তুর নাতি কই রে?”

মোতি বললে—“এই জি , আমার কাছেই বসে রইছে উ। তা আয় কেনে, ভিতরে আয়। কথা ক।”

সদাই বামুন ভিতরে এসে বললেন —“এবারে মা দুগ্গার মন্দির আর আশপাশটো তু পরিস্কার করে দে কেনে। আর আর বারে, তুদের পাড়ারই তো লুকে করেছে।”

ডুলুং বললে—-“ই আর বেশি কতা কি কত্তা। আমি আর সনকা মিলে, সব এক্কেরে ঝকঝকে তকতকে করে দুবো খন।”

সদাই বললে—“তা কত কি লিবি, বল!”

ইতস্তত করে, মাথা নামিয়ে হাতের তালু ঘঁষতে ঘঁষতে ডুলুং বললে—-“উ আর আমি কি বইলবো কত্তা। উ তু যা ভালো বুঝবি, দিবি!”

খুশি হয়ে চলে গেলেন সদাই বামুন।

ডুলুং এর খুব বলিষ্ঠ চেহারা। গায়ের রং কষ্টিপাথরের মতো কালো হলেও, চোখ-মুখ যেন নিপুণ ভাস্কর্য-খচিত। আর স্বভাব চরিত্রও ওর খুব ভালো। হাঁটু পর্যন্ত গোটানো লুঙ্গির সঙ্গে কোমরে একটা গামছা বাঁধে আর সেখানেই গুঁজে রাখে একটা বাঁশি। কাজের ফাঁকে যখনই সময় পায়, আপন মনে বাঁশিতে সুর তোলে। ওর ওই বাঁশির সুরেই পাগল হয়েছিলো সনকা। কচি লাউডগার মতোই উচ্ছল, প্রাণবন্ত আর সজীব ও। ওকে দেখেও ডুলুংয়ের ভালো লেগেছিল। তারপর কি করে যে ওদের ভালোবাসাটা হয়ে গেলো ওরা নিজেরাই এখনো খুঁজে পায় না। সনকার সৎ মা টাকা খেয়ে একটা বুড়ো দোজবরের সঙ্গে ওর বিয়ের ঠিক করলে, তখনই তো ওরা বিয়ে করে এলো। কিন্তু কেউই মানলে না। তবে ওরা এখন খুব ভালো আছে। ওদের মধ্যে ভালোবাসা আছে। দুজনেই গতর খাটিয়ে কামাই করে। দিব্যি সংসার চলে যায়।

শুধু সনকার মনে একটাই ব্যাথা। পাড়া ঘরের সবাই বলাবলি করে—-“বিয়ের দুবছর হয়ে গেলো। একুনো তুর একটো ছিলে-মিয়ে হুলো না!”

এই নিয়ে ওর মনের দুঃখের কথা ডুলুং ও বোঝে। ও বলে—-“উ সব লিয়ে ভাবিস না কো। ভগমান যখুন মুক তুলে চাবে, তকুন ঠিক হবে সব।”

ডুলুংয়ের কথায় ওর দুঃখে কিছুটা হলেও মলম পড়ে।

পরদিন ভোর হতে না হতেই সনকা ঘরের কাজকাম সব সেরে নিয়ে ডুলুংকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বললে—“চ কেনে। সকাল সকাল কাজে লেগে পড়ি গা।”

ডুলুং সনকার গলা জড়িয়ে ধরে বললে—“খানিক বস কেনে আমার কাছে। সারাটো দিন কাজ আর কাজ।”

কপট রাগ দেখিয়ে সনকা বললে—“চ কেনে, দেরি করিস না আর।”

ডুলুং উটে পড়লো। তারপর দুটো কোদাল আর ঝুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। সদাই বামুনের ঘরে এসে হাঁক পাড়লো—“কই কত্তা! কাজগুলা বুঝিন দিবি চ!”

ঘরের ভিতর থেকে সদাই বামুন বেরিয়ে এসে বললেন—“হু চল। তুদেরকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে, আমাকে একবার শহরে যেতে হবে।”

ঘর থেকে সদাই বামুনের ছোট্ট নাতিটা বেরিয়ে এসে, দাদুর পাঞ্জাবীর খুটটা ধরে বললে—-“দাদু আমার জন্যে পান্তুয়া নিয়ে এসো।”

ওকে কোলে নিয়ে, আদর করে উনি বললেন —-

“নিয়ে আসবো ভাই। তুমি ততক্ষুণে লিখাপড়াটো করে রেকো কেমন? ” নাতি মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানালো। ওকে কোল থেকে নামিয়ে দিলেন। ও বাইরের দিকে যাচ্ছিলো তখন সনকা ওর হাতটা টেনে ওর সামনে বসে পড়ে পরম মমতা ভরে জিজ্ঞেস করলো—-“তুর নামটো কি বটে খুকাবাবু?”

বাচ্চাটি কিছু বলার আগেই সদাই বামুন তিরস্কারের স্বরে বলে উঠলেন—-“ই কি কাণ্ড। তুদের কি হুস বলে কিছু নাই রে। দিলি তো ছেলেটোকে ছুঁয়ে!”

ওনার ধমক খেয়ে থতমত খেয়ে হাতটা ছেড়ে দিলো সনকা। সন্তানহীনা রমনী, চোখের সামনে একটি শিশুকে দেখে তাকে স্পর্শ করতে গিয়ে অতো সাতপাঁচ ভাবে নি। কিন্তু বামুনের কথায় ওর টনক নড়লো। অধোবদনে দাঁড়িয়ে রইলো চুপটি করে। আর বাচ্চাটি ছাড়া পেয়ে এক ছুটে বাইরে চলে গেলো।

বামুনও ওদেরকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।

সারাদিন ধরে খুবই মনমরা হয়েই কাজ করেছে সনকা। ডুলুং সবটাই দেখেছে। সবটাই বুঝতে পারছে। বুকের ভিতর কষ্ট ওর ও খুবই হচ্ছে, কিন্তু সনকার সামনে কিছুতেই তা প্রকাশ করছে না। সন্ধেবেলায় ঘরে এসে স্নান-টান সেরে চাতালে এসে বসলো দিদিমার কাছে। সনকাও একটু পরে এসে বসলো ওখানে। ডুলুং ওর বাঁশিটা বের করে বাজাতে শুরু করলো। যখন কোনো কারণে ওর বা সনকার মন খারাপ হয়, ও তখন মনপ্রাণ ঢেলে বাঁশি বাজায়। আস্তে আস্তে কখন মন খারাপ ঠিক হয়ে যায়। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। বাঁশি শুনতে শুনতে সনকার চোখ বেয়ে নেমে পড়লো অবিরাম অশ্রুধারা। তাতেই যেন দুঃখী মনের স্নান সম্পন্ন হলো। বাঁশি থামলে ওদের দুজনেরই আর কোনো দুঃখ রইলো না। স্বাভাবিকভাবেই কথা বললো। রাতের খাবার খেলো। শুয়ে ঘুমিয়েও পড়লো।

দিন সাতেক পর ওদের কাজ শেষ হলো। সদাই বামুন ডুলুংকে কিছু টাকা, একটা লুঙ্গি, একটা গামছা আর সনকাকে একটা তাঁতের শাড়ি দিয়ে বললেন —-“কি রে খুশি তো তুরা?”

দুজনেই হাসিমুখে বললে—-“খুব খুশি কত্তা। ঠাকুরের মন্দিরের কাজ করতে দিয়েছিস এতেই আমরা খুব খুশি।”

সদাই বললেন —“বেশ। তুরা খুশি হলেই সব ভালো হবে।”

ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওরা ঘরে চলে এলো।

রাতে সনকা ডুলুংকে বললে—-“শুন কেনে!”

ডুলুং বললে—“বল কেনে!”

সনকা বললে—“বুলছি, পুজোর লেগে তো আর বেশি দিনটো লাই। কাইলকে একবার শহরটো চল। দিদিমার লেগে একটো কাপড় তো কিনতি হবে।”

ডুলুং বললে—-“সি তো হবেই। আর আমার সনকার লেগেও একটো লাল পারা কাপড় আমি কিনবো, এই আমি বুলে রাকছি।”

সনকা বললে—-“আমার তো একটো হইছে। তু আমাকে একটো কাপড় কিনে দিস। আর আলতা, সিন্দূর। আমি উখানে অষ্টমী পুজোতে অঞ্জলিটো দুবো। মা দুগ্গাকে বুলবো, আমার কোলে একটো পোলাপান দিতে।”

ডুলুং বললে—-“বা, ই তো খুব ভালো কথা রে। তাই করিস তবে।”

শিমুলহাটির বামুন পাড়ায়,সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে দূর্গাপুজো। ষষ্টীতে মায়ের বোধন আর সপ্তমীতে মায়ের পুজো সুসম্পন্ন। ডুলুং আর সনকা দুদিনই একবার করে এসেছে পুজো দেখতে। অষ্টমীর নির্ঘন্টও জেনে গেছে তখনই।

অষ্টমীর দিন সকাল থেকেই সনকা খুব ব্যস্ত। স্নান সেরে, নতুন কাপড় পড়ে, একটা কাঁসার বগিতে পুজোর যাবতীয় উপাচার সাজিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। পাড়ার সবাই ওকে বলতে লাগলো—-“তু কি খেপেছিস লো সনকা? বামুনপাড়ার মা, তুর হাতের পুজো লিবে?”

অবাক হয়ে সনকা বললে—“কেনে লিবে না। মা কি বামুনদের ইকার বটে? ”

বলেই হনহনিয়ে চলে গেলো। ডুলুং ও যাবে একটু পর। যখন অঞ্জলি শুরু হবে, বড় সাধ ওর, এবছর ও অঞ্জলি দেবে।

বামুনরা শুধু নয়, গ্রামের আরো কিছু উঁচুজাতির মহিলারা তাঁদের নৈবেদ্য দিয়ে মন্দির চত্বরে বসে আছেন। পুজো চলছে। সনকা ওর থালাটি নিয়ে ওখানে উঠতে এলে, সবাই রে রে করে উঠলেন।

“তুদের জাতের কে কবে, মা দুগ্গার পুজোতে পুজো দেয় রে? তু আবার অঞ্জলিও দিবি বলছিস। তা বলি, এতো বড় অনাছিষ্টি কাণ্ডটো না ঘটালেই লয়?”

রাগে, দুঃখে, অপমানে হতভম্ব হয়ে গেলো সনকা। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললে —-“তুদেরকে দুগ্গা মা বুলেছে যে উ আমাদের জেতের পুজো লিবে না? এগুলা তুরা করেছিস। মায়ের মন্দির পরিস্কার কুরতে আমরা আছি বটে, কিন্তু পুজো দিবার লেগে শুদু তুরা? ইটো কি খুব ভালো লিয়ম বটে তুদের?”

চেঁচামেচি শুনে পুজো থামিয়ে উঠে এলেন সদাই বামুন। ততক্ষণে ডুলুং এসেছে ওখানে।

সব শুনে সদাই বললেন —-“পুজোটো দিলে দে। কিন্তু তুর ওই হাতে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দেয়া যাবে না!”

সনকা বললে—-“পুজোটো মানে তো এই কাপড়টো, আর এই জিনিসগুলা। উতে তো মায়ের কুনু কাজ লাই। ই গুলা তুদের ঘরেই যাবে। মায়ের পায়ে ফুলটো যদি দিতে পারি, তবে সেইটোই হবে আসল পুজো।”

ওর কথা শুনে রাগে লাল হয়ে গেলেন সদাই। ডুলুংকে বললেন —-“নিয়ে যা তুর বৌকে ইখান থেকে নিয়ে যা। আমাকে পুজোটে করতে দে।”

ডুলুং হাত জোর করে বললে—-“দে কেনে কত্তা, আমাদিকে মায়ের পায়ে দুটে ফুল দিতে!”

সদাই কাষ্ঠ হাসি হেসে বললেন —“তুদের জন্যে তো নরকে যেতে পারি না!”

ওরা চলে যেতে উদ্যত হলো। এতোক্ষণ সবটা বসে বসে দেখছিলো সদাই বামুনের বৌমা। হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে ডাকলো—-“ডুলুং, সনকা, এদিকে এসো। কোথাও যেও না তোমরা। বোসো ওখানে। পুজো শেষ হলে, অঞ্জলি দিও।”

গোটা গ্রামের লোক অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে। সদাই বামুনের বৌমা শহরের মেয়ে। লেখাপড়া নাকি অনেক জানে। কিন্তু কেনোদিনও গ্রামের কারোর সাথে উঁচুস্বরে কথা পর্যন্ত বলে নি। শ্বশুর-শাশুড়িকেও খুবই মান্যিগণ্যি করে। সেই কি না, আজ তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে গিয়ে এতোবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলো!

ডুলুং-সনকাও হতবাক হয়ে গেলো। তারপর সনকা বললে—-“না রে বামুন বৌ। আমাদের লেগে তুকে আবার কতা শুনতি হবে। আমাদের ঘরে একটো মা দুগ্গার ফোটোক আছে, আমরা দুজনাতে ওটোতে ফুল দুবো গা। মা কি শুধু ইখানেই আছে? মা তো সবখানেই আছে। তুর মাঝেও আছে।” বলেই দু হাত দূর থেকে, মাটিতে গড় হয়ে প্রণাম করে ওরা চলে গেলো।

পুজো থামিয়ে সদাই বামুন সবটাই দেখলেন। আজ ওই সাঁওতাল দম্পতি আর নিজের বৌমার কাছে অনেকটা হেঁয় হয়ে গেলেন উনি।

মাথা হেট করে পুনরায় পুজোয় বসলেন। কিছুতেই আজ আর ঠিকমতো মন্ত্রোচ্চারণ করতে পারলেন না। পুজোটাই কেমন যেন ম্রিয়মাণ হয়ে গেলো। ঢাকের বোলেও যেন, ঠিকঠাক ছন্দ নেই।

অঞ্জলি শুরু করার আগে ওনার ছেলেকে ডেকে বললেন —“যা বাবা, ডুলুং-সনকাকে ডেকে নিয়ে আয়। আমার বৌমা আর ওই সাঁওতাল মেয়েটো আজ আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা যদি আমাদের ঘরের মেয়েগুলারই সম্মান করতে না পারি, তাহলে কিসের মাতৃআরাধনা? যা বাবা, দেরি করিস না আর। ”

ওনার ছেলে ডুলুংয়ের ঘরের বাইরে থেকে ডাকলো। ওরা বেরিয়ে এলে, ওর বাবার বলা কথাগুলো বললো। সনকা বললো—“আমি ঘরেই পুজোটো করে লিয়েছি। আর যাব না।”

ডুলুং বললে—-“আর জিদটো করিস না। কত্তাবাবু বয়েস্ক লুক। আমাদিকে যখুন নিজে থেকে ডেকেচেন, তখুন চ।”

আর প্রতিবাদ করলো না সনকা। ওরা এলে শুরু হলো দূর্গাষ্টমীর মন্ত্রোচ্চারণ —–”

* নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালিনি | আয়ুরারোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোস্তুতে ||

নমঃ সৃষ্টিস্তিতিবিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি | গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোস্তু তে ||

নমঃ শরণাগতদীর্নাত পরিত্রাণপরায়ণে | সর্বস্যাতিহরে দেবী নারায়ণি নমোস্তু তে ||

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ ||

এসো মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী | দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তু তে || ”

নাহ! আর কোনো ভুল হলো না। অঞ্জলির পরেই ঢাকের বোলে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠলো। আজকের এই ‘অঞ্জলি ‘ দিয়েই শুরু হলো শিমুলহাটি গ্রামের এক নতুন পথ চলা।

 

 

লেখিকা : পাপিয়া মণ্ডল,বোলপুর,শান্তিনিকেতন
সাহিত্যের প্রতি আত্মিক টান ও লেখনীর সহজ সরল ভাষা ,মাধুর্য্য প্রকাশের জাদুতে পাঠকের মনন চিন্তনে স্থায়ী ছাপ রেখে যাওয়া একটি নাম পাপিয়া মন্ডল যা  সমসাময়িক সাহিত্য চর্চায় এক জনপ্রিয়তার সঙ্গে একের পর এক সেরা সৃষ্টি পাঠকদের উপহার দিয়ে চলেছেন।শিক্ষক পিতার সান্নিধ্য ও ছত্রছায়ায় বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে শৈশব, বড় হওয়া , ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা ও বৈবাহিক সূত্রে কবিগুরুর পীঠস্থান শান্তিনিকেতনের ভাবধারায় নিজের সাহিত্য ভাবনাকে আরো সমৃদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কবি,গল্পকার রসদ পেয়েছেন নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার। অতি সম্প্রতি “২০১৯ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’য় প্রকাশিত পাপিয়া মন্ডলের গল্পগ্রন্থ,”কালো মেয়ের উপাখ্যান” পাঠক সমাজে ভীষণ ভাবে সমাদৃত হয়েছে

SOURCEPapya Mondal
Previous articleপুজো মানে
Next articleআমার ছিল
Avatar
Disclaimer: Monomousumi is not responsible for any wrong facts presented in the articles by the authors. The opinion, facts, grammatical issues or issues related sentence framing etc. are personal to the respective authors. We have not edited the article. All attempts were taken to prohibit copyright infringement, plagiarism and wrong information. We are strongly against copyright violation. In case of any copyright infringement issues, please write to us. লেখার মন্তব্য এবং ভাবনা, লেখকের নিজস্ব - কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত..................

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here