অনেকগুলো ঝিলমিলে তারা,আর
ষোলোআনা সিন্গ্ধ চাঁদের আলো;
মিটমিটিয়ে ভুরু-কুচঁকে লক্ষ্মী পুজোয়
একটি মেয়ে ,
শান্ত ভারী , মায়ের কোলে এলো।
মা তো তখন নিজেই মেয়ে
ঘাবড়ে গেলো ভারী ;
এমন মিষ্টি পুতুল পেয়ে ,
ভাবছে কি যে করি !
প্রার্থনাতে “মেয়েই হোক ”
মন দিয়ে , চেয়েছিলো মা।
মেয়ের মূল্য মা না বুঝলে
বুঝবে কি, দুনিয়া ?
দিন থেকে মাস হয়ে যখন
পেরিয়েছে বছর কয়েক ;
দস্যি মা’য়ের শান্ত মেয়ে ,
হয়েছে বেশ লায়েক।
একটি কাজ বললে দশেক,
কান অবধি তার পৌঁছায়
পড়তে যদি বসতে বলো ,
বলে ‘খেলতে আমি চাই’ …
সবকিছুতে বড্ডো ভয় আর
বকবকে বেশ পটু ,
অজুহাতের “রানী” তিনি
কুঁড়েমিতে ,ফুল ঘেঁটু।
এখন তো বেশ ঝগড়া করে
খুঁতখুঁতে মন সচল, তবু,
তাকে ছাড়া মায়ের জীবন
অর্থহীন , একেবারেই অচল।
মা’য়ের সেই ‘সাত রাজার ধন
মানিকে’র আজ পূর্ণ হলো
“সাত”
চট করে সব্বাই বাড়াও
দেখি, আশীর্বাদের হাত।
আজ আমার ছোট্ট -দুস্টু-মিষ্টি “আধ্যার” সাত বছর পূর্ণ হলো , সবার আশীর্বাদ কাম্য।
-© মৌসুমী কুন্ডু