বঙ্গবন্ধু শব্দটি একটা মূর্তিমান সত্য। যা বাঙালি জাতির জীবনের তরী। সূর্যের তেজের বিস্ফোরনে যেভাবে সমস্ত কিছু অগ্নিস্নাত হয়।ঠিক সেই ভাবেই বঙ্গবন্ধু বাঙালির আর্শীবাদ।যার স্পর্শে বাঙালি জলন্ত অগ্নিশিখায় পরিনত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।নির্ঝর পাতার মড়মড় ধ্বনির মতো মুজিব এক বজ্রদ্পী কন্ঠস্বর।তিমি জীবনের শেষ নি:শ্বাসেও জয় ধ্বনী দিয়েছেন বাংলার।বাংলার পাখির গানে, বাতাসের উচ্ছ্বাসে, আকাশের নীলে, জারি-সারি ভাটিয়ালির সুরে, বৈশাখের ভৈরবীতে, বাঙালির হাসি-কান্নায় এবং মিলন-বিরহে আজও তিনি জাগ্রত। নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগই ছিল তার একমাত্র ব্রত। বঙ্গবন্ধু আর ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ নয় মাসব্যাপি যুদ্ধ করা মুক্তি সংগ্রামীদের ভুমিকা যে ভুলে যাবে বা অশ্রদ্ধা জানাবে সে দেশ ও জাতির শত্রুদের উত্তরসূরী।


আমরা বাঙালি জাতি। এটা তো আমাদের পরিচয় বটে।এই পরিচয় তো একসময় প্রায় শেষ হওয়ার পথে এগিয়ে  গিয়েছিল। কিন্তু ঠিক সেই  সময় উদীয়মান সূর্য হয়ে এলেন জাতির পিতা। পিতা তো মোদের স্বর্গপথের পথ প্রদর্শক।আর তার হাতে গড়া আমাদের পরিচয়। আমরা এখনো হয়তো পরাধীন হয়ে  অন্যের দাসত্ব করতাম।কিংবা নরকের কীটের ন্যায় জীবন  যাপন করতাম। এই যুদ্ধ হবে তা বাঙালির সপ্নের ও হয়তো  অতীত ছিল। কিন্তু বাঙালির মনতো নরম ধাতুর তৈরী। তাই বারংবার  এই নরম লোহায় আঘাত করে একটি শক্ত  লোহায় পরিনত করে দিয়েছিল শএু পক্ষরা।আর এর পিছনে  অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এই বাঙলার জীবন বঙ্গবন্ধু।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রেরণা জোগাবে এ জাতিকে।তাই তো  কবি বলেছেন,
“আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে তোমারই ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যতা। তোমারি মিলনসুধা বাজায় মনে সুরেল বীণা। ”    


বাংলার প্রকৃতিতে যে শোভা তা খুঁজে পাওয়া যাবে না অন্য কোথাও। এই শোভার মাঝে আছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরগণ,আছে শত শত মা বোনের সম্মান আর আছে আমাদের প্রিয় রূপকার শেখ মুজিবুর রহমান। 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব : দু’শ  বছর ধরে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের জাতাঁকলে  নিস্পেষিত হয়েছিল এ জাতি। ১৯৪৭ সালের সেই জাতাঁকল থেকে মানবমুক্তি লাভ করলে ও মুক্তি  আসেনি বাঙালি জাতির।১৯৪৭ সালে পাকিস্তানি শাসনদের শৃঙ্খলে আবারও বন্দী হলো বাঙালি জাতি। ১৯৫২ সালে  ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে সংগ্রাম করে মুক্তির পথ খুজছিল বাঙালি জাতি। সবশেষে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরু  এবং ১৬ ডিসেম্বর দেশকে শএুমুক্ত করে স্বাধীন  গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয়। এ প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করলে বাঙালি  জাতির হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে  সবচেয়ে মহওম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধের সুচনায়  যে সপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা কাজ করেছে তারই নাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সেই চেতনার মূল লক্ষ্য ছিল, পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিড়ে শোষণমুক্ত একটি গনতান্ত্রিক সমাজ গঠন করা। ঐ সমাজের মানুষ গুলো পাবে মৌলিক অধিকার। তার সাথে  মানবাধিকার ও লংঘন হবে না।১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিব নগরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ২৬ মার্চ ১৯৭১তারিখে শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক যে ঘোষণা পএটি পাঠ করেন তার একটি লাইন ছিল ” বাংলাদেশর জনগণের জন্য সাম্য,মানবিক সম্মান ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত “করার জন্যেই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের গঠনের ঘোষণা পএের চেতনার ভিওিতেই পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়।আনুষ্ঠানিকভাবে  স্বাধীনতার প্রস্তাব পাশ করার পর পরই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের  প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ যে বেতার ভাষণটি দিয়েছিলেন তাতে সাধারণ মানুষের স্বপ্নের কথা খুবই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল। বস্তুত সোনার বাংলার স্বপ্ন ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের অন্তরের গহীনে।সারবভৌম এক রাষ্ট্র তাদের ননামাএিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলেই তারা   মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলোকে গড়ে উঠবে এক নতুন সামাজিক প্রেক্ষাপট।এ প্রসঙ্গে কবিগুরু বলেছেন’ বিদ্যাকে যদি হীরার সঙ্গে তুলনা করা হয় তা হলে তাতে যে দ্যুতি ছড়িয়ে পড়বে সেই হবে তার সংস্কৃতি। ‘ এই মন্তব্যের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমাদের যে সংস্কৃতিক পরিমন্ডল গড়ে উঠেছে তার কাজ করেছে  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। 

           মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব ও বঙ্গবন্ধুর: বাংলাদেশের মানুষ  মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ থেকে যে চেতনা লাভ করেছে তা জাতির সকল আনদোলনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। সমগ্র জাতি একতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এই যুদ্ধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ঐক্যবদ্ধ  জাতি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ  হয়েছে- তার পেছনে মুক্তিসংগ্রামের আত্মত্যাগ কাজ করেছে। অত্যাচার আর শোষণের কালো হাতণ গুড়িয়ে দেওয়ার  শক্তি  ও প্রেরণা এই স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে। বাংলাদেশের মানুষ এর  স্বাজাত্যবোধের স্ফুরণের উৎস এই যুদ্ধ। ‘৭১ সাল দেশ ও জাতির নতুন ইতিহাসের জন্মদাতা।অধিকার আদায়ের জন্যে আত্মসচেতন হওয়ার  প্ররণা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। এই দিনগুলোতে মানুষ নতুন করে জেগে উঠেছিল।সে জাগ্রত  চেতনা ছড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষের পরবর্তী পদক্ষেপে।গত চল্লিশ বছর ধরে নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত হয়েছে আমাদের সমাজ জীবনে।ব্যক্তি স্বাধীনতা,নারীমুক্তি আন্দোলন,নারীশিক্ষা, গণশিক্ষা,সংবাদপএের ব্যাপক বিকাশ, সরবপরি গণতান্ত্রিক অধিকার চেতনা ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে সমাজে।তাই কবি বলেছেন-“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাচিয়ে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?”     মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সাহিত্যে – বিশেষ করে কবিতা ও কথাসাহিত্যে- এক নবতর সাহিত্য ধারার জন্ম দিয়েছে।বাংলাদেশের কবিতা ও কথাসাহিত্যে আজকে যতটা ব্যপ্তি পেয়েছে তার পেছনে বড় প্রেরণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের  চেতনা আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেএে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়েছে গানে এবং নাটকে। গণসচেতনামূলক ব্যতিক্রমী নাটক ব্যাপকভাবে রচিত হয়েছে  স্বাধীনতার পর।আমাদের দেশাক্তবোধক গানের  ক্ষেএে এক নতুন জোয়ার এনেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অসংখ্য গীতিকার রচনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা গান। 


মুক্তির সংগ্রাম ও স্বপ্নের বাংলাদেশ বনাম  বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ: প্রকৃত প্রস্তাবে শোষণহীন সমাজ ব্যবস্হা কায়েমের লক্ষে এদেশের সাধারণ মানুষ একাওরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আত্মসম্মান নিয়ে বেচেঁ থেকে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও তাদের সেদিন তাড়া করেছিল।তবে সে সময়ের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন  ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। মুক্তান্বঞল থেকে প্রকাশিত  ‘মুক্তিযুদ্ধ ‘ নামের পএিকায় ২১ নভেম্বর ১৯৭১সংখ্যায় বলা হয়েছিল:’ স্বাধীন বাংলাদেশের ছবি ও সকল শ্রেণির মানুষের মনে এক রকম নয়।কৃষক ভাবিতেছে স্বাধীন বাংলাদেশে সে জমি পাইবে,সামন্তবাদী শোষণের নাগপাশ হইতে পাইবে মুক্তি।  শ্রমিক ভাবিতেছে সে পাইবে বাঁচার মত মজুরি, কাজের নিরাপত্তা,রাজনৈতিক অধিকার। যুগ যুগ ধরিয়া সে সভ্যতার পিলসুজ হইয়া কাটাইয়াছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্যদিয়া এমন এক উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দুয়ার খুলিয়া যাইবে সেখানে সে সভ্যতার গঠক হিসেবে উহার ফল ভোগেরও অধিকারী হইবে। সকলের অন্ন, বস্র, শিক্ষা, স্বাস্হ্য,আশ্রয়ের মতো নূন্যতম চাহিদাগুলি মিটিবে। ‘ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ নেতা মোজাফ্ফর আহমদ লিখেছেন, ‘কৃষকরা বলাবলি করিতেছে এবারে তারা জমি পাইবে, পাটের ন্যায্য মূল্য পাইবে,  প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপএের দাম কমিবে, ঘুস,রিশওয়াত অন্যান্য দুনীতির হাত হইতে মুক্তি পাইবে। এক কথায়, আজ এদেশের কৃষক – শ্রমিক- ছাত্র – শিক্ষক- বৃদ্ধ, নর-নারী,সকল  শ্রেণী পেশার মানুষ, আপাময় জনসাধারণ ভাবিতেছে গরিব বলে  কি এবার  মানুষের মতো বাঁচতে পারব,কথা বলার অধিকার পাইব।বস্তুত শিক্ষা ও কর্মে গতিময় এক দেশের  স্বপ্নে বিভোর মুক্তিযোদ্ধারাই এ দেশের  শ্রেষ্ঠ সন্তান-এই স্বীকৃতি তারা পেতে চেয়েছিল।’সবাই মিলে দেশ গড়ব,কৃষি ও শিল্প বিপ্লব ঘটাব,আত্মনিভর এক বাংলাদেশ গড়ে  তুলব’-এই আকঙ্খাই ছিলো আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু আজ একথা বলতে দ্বিধা নেই যে,এ চেতনাকে আমরা সঠিকভাবে আমাদের দেশ পরিচালনার মূল মন্ত্র করতে পারি নি।বরং কতিপয় লোভী এবং দেশদ্রোহী লোক মহলের কারণে সেই চেতনা হয়েছে ভুলুন্ঠিত।যে স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেই স্বপ্ন নানা কারণেই গত চল্লিশ বছরেও সাফল্যের লক্ষ্যমাএা স্পর্শ করতে পারে নি। স্বাধীনতার পর বারবার সামরিক অভুত্থান,হত্যা আর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা,অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুবসমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব,জনস্ফীতি,আইন -শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুস ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিপন্ন করে চলেছে।প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় এসে চেতনাকে অক্ষত রাখার চেষ্টা করে।অথচ দুঃখজনক হলেও সত্যি যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  বিরোধী  কাজগুলো কিছু কাজ বারবার সংঘটিত হওয়ার দরুন আমাদের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে পদেপদে।যা সমাজজীবনে চরম অবক্ষয়ের কারণ এখনকার সময়ে।এ অবক্ষয় যুবসমাজকেও প্রভাবিত করছে। তাদের মধ্যে আজ নেই কোন আদর্শ, নেই কোন ন্যায়পরায়নতা।কিন্তু বঙ্গবন্বুর  আদর্শের অনুপ্রানীত হয়ে  সকল তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে গেলে একটি নিদিষ্ট  লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে অবশ্যই।কারণ  বঙ্গবন্ধু তো শশীর কিরণ, যার  স্পর্শে  আগুনের জ্বালাও জুড়িয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু তো শশধরের তেজ,যার কন্ঠে স্ফুলিঙ্গ ফোটে। যার আঁখিতে চিত্রিত এই বঙ্গভূমির স্বর্গরাজ্য। যার হাসি এই বাংলার পথের  বাঁকে বাঁকে  শোনা যায়। এমন অনেক অনাথ ছেলে মেয়ে আছে যাদের জন্ম পরিচয় না থাকায় সমাজ মেনে নেয় না।এদের  উদ্দ্যেশে জাতির পিতা বলেছেন, ‘শোন তোদের জন্ম পরিচয় পএে পিতার নামের জায়গায় সবাই  আমার নাম লিখিস।তাই জাতির জনক তো আমাদের সকলের পরিচয়। উনি তো কিংবদন্তি, যার সাথে কারোর নগন্য তুলনাও করা চলে না।


মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতীয় জীবনে মানুষের একটি অংশ। এই চেতনা একটি বলিষ্ঠ চেতনা, আত্মপ্রত্যয়ের দৃঢ় উচ্চারণ।আমরা সেই চিরন্তন সত্যের পথে চলে রক্তক্ষয়ী প্রলয়ঙ্করী যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।এই পশুদের বধের জন্য আমাদের বংলার রক্তিম সূর্য মুজিবের  অনুপ্রেরণায় অনেক ছিল। তাইতো ঈশ্বরগুপ্ত বলেছিলেন,’স্বাধীনতা হীনতায় কে বাচিতে চায় হে কে বাচিতে চায়। ‘  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  একটি বলিষ্ঠ চেতনা, আত্মপ্রত্যয়ের দৃঢ় উচ্চারণ।প্রখ্যাত মনীষী  সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী লিখেছেন -‘আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগে না, স্রোত ব্যতীত যেমন নদী টেকে না,স্বাধীনতা ব্যতীত তেমনি জাতি কখনো বাঁচিতে পারে না।’আর এই রক্তিম দিগন্তের সোনালী কারিগর আমার বা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

কলমে পূজা রায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here