কেমন যেন স্বপ্নের মত আটকে আছে প্রত্যেকটা তথাকথিত আইটি কর্মচারীর মনে।
দূরদূরান্ত থেকে সব কিছু পেছনে ছেড়ে ছুটে আসে মানুষ
বাড়িঘর, প্রিয় মানুষজন সবাই যেন ফিকে হয়ে পড়ে এই শহরের হাতছানির কাছে
কিন্তু কি আছে এই শহরে?
যেদিকেই তাকাই, দাড়িয়ে আছে অজস্র ইঁট- বালি- সিমেন্টের স্তুপ
যেন গ্রাস করতে চলেছে নীল আকাশকে
মাঝখান দিয়ে একেবেঁকে ছুটে গেছে অজগর সদৃশ রাস্তাঘাট
যাদের নিচে হয়ত আছে প্রথিতযশা এই শহরের হারানো সৌন্দর্য্য
সকাল হতেই পিপড়ের মত ছুটে যায় অজস্র মানুষ
গলায় ঝোলে দাসত্বের দড়ি
আজকালকার দিনে যা তথাকথিত আই কার্ড বলে
তবে বদলেছে খালি নামটা, মানেটা হয়তো রয়ে গেছে একই
রাস্তার উপর দিয়ে একটু একটু করে এগোয় অগুনতি গাড়ী
করে দিতে পারেনি এই শহর পর্যাপ্ত জায়গা তাদের জন্য
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বেড়ে চলেছে এই গাড়ির সংখ্যা
কঠিন করে চলেছে তাদেরই জীবন যারা নির্মাণ করেছে তাদের
বলে নাকি জল এই শহরে শেষের মুখে
শুকিয়ে গেছে বেশিরভাগ জলাশয়
নিজেকে কখনো প্রশ্ন করে দেখলে, উত্তর কিন্তু আসে সেই একই
“এটা কি সত্যি খুব আশ্চর্যের?”
যদি কিছু আছে এই শহরে, তা হলো খালি টাকা
এমনি এক বস্তু যা কিনে নিতে পারে সবকিছু
সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, মনবৃত্ত কিছুই যেন রুখে দাড়াতে পারেনা এর রাস্তা
এমনি এক শহরের বুকে দাঁড়িয়ে, এক সাধারণ আই টি কর্মী
বারবার করতে চায় একটাই প্রশ্ন
“মানুষ কি বাঁচবে টাকা খেয়ে?”
কবি পরিচিতি : ইন্দ্রনীল দত্ত