সুপারভাইচারস

0
306

পর্ব 1

“আজকেও রয়েল জুয়েলারিতে রবারি”

সুইচ অফ করে দিলেন ক্যাপ্টেন তিতলি ভাবতে লাগলেন অন্য কিছু।

এইসময় হঠাৎ!

” টিং টং”

তিতলি- “হ্যাঁ যাই”

দরজা খুললেন ক্যাপ্টেন তিতলি। তার প্রিয় বন্ধু তনুশ্রী এসেছে। তাকে স্বাগতম জানিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করলেন।

তনুশ্রী-” আজকের নিউজ টা শুনলি?”
তিতলি – ” হ্যাঁ। আজকেও চুরি হয়েছে।”
তনুশ্রী- ” তোর কি মনে হয় ? কারা করতে পারে? “
তিতলি- “রবগ্যা্ং”

রবগ্যাং হল এমন একটি গ্যা্ং যে বিগত 10 বছর ধরে চুরি ডাকাতি ইত্যাদি করে আসছে।

তিতলি এবং তার বন্ধুরা যখন নাইনে পড়তো তখন থেকেই তারা শুনে আসছে রব গ্যাং এর নাম। তাদের সবারই ইচ্ছা ছিল ভবিষ্যতে পুলিশ হওয়ার। তাদের প্রিয় পুলিশ ও ছিল । ইন্সপেক্টর `"কানাদাড়ি সিং`" ছিল তাদের প্রিয় পুলিশের নাম।
কানাদাড়ি সিং খুবই ভালো মানুষ ছিলেন । কিন্তু পরে তাকে রব গ্যাং এর হেড আরোপ দিয়ে , এনকাউন্টার করে দেয়া হয় । তারপর তার দূর সম্পর্কের ভাই রাহুল সিং কে পুলিশের হেড হিসাবে ঘোষণা করে দেয়া হয়। কিন্তু তার ভাগ্নে ও ছিল। যার নাম কৌস্তব সিং ছিল।
কিন্তু তাকে হেড হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। কেন হয়নি ? তা কেউ জানে না। পরে নদীর তীরে তার ডেড বডি পাওয়া যায়। কে তাঁকে মেড়েছিল ?কেন মেরেছিল কিছুই জানা যায়নি?

সবথেকে আশ্চর্য ব্যাপার, খবরেও ওটা ছাপেনি, কিন্তু কেন?

কানাদারি সিং এর মৃত্যুর পর খবর কাগজের পাতা থেকে একটা নাম মুছে গেল । সেটা হল ” রব গ্যাং”।

সত্যি কি কানাদারি সিং *রব গ্যাং এর লিডার? নাকি অন্য কেউ? আর কেন কৌস্তব সিং কে করা হলো না পুলিশের হেড? এইসব প্রশ্ন তিতলিএবং তার বন্ধুদের মাথায় যেন সারাক্ষণ ঘুরে চলে ছিল । বড় হয়ে পুলিশ হওয়ার ইচ্ছাটা আরো বেড়ে গিয়েছিল তাদের। অনেক পড়াশুনা করে তারা আজ পুলিশ হয়েছে। তিতলি হলো আইসিএস অফিসার আর তনুশ্রী এবং সৃজনী হলো সেক্রেটারি এবং তাদের এখন টার্গেট এই দুটো পয়েন্টে
রব গ্যা্ং এর হেড কে?

কৌস্তুব সিং কে কেন করা হলো না পুলিশের হেড? কেন পরে তার ডেড বডি পাওয়া গিয়েছিল ? কে তাকে খুন করেছিল?

ও হ্যাঁ তোমাদের একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম। আরেকটা প্রশ্ন ওদের মাথায় ঘুরছে যখন থেকে ওরা দেখতে পাইনি রব গ্যাং এর নাম খবর কাগজের পাতায়।
সেই প্রশ্নটা হল –
রব গ্যা্ং কি আছে? না নেই?
কিন্তু তাদের অডেল বিশ্বাস যে রব গ্যাং আছে এবং তারা এসব চুরি করছে। আজকে তাদের সেই নিয়ে মিটিং হবে অফিসে। দুজনের কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর, দুজনেই মিটিং এর জন্য রেডি হয়ে চলে গেল অফিসে। দুই পক্ষ ছিল ওখানে।

এক পক্ষের কথা ছিল যে রব গ্যাং নেই

কিন্তু অন্য পক্ষের কথা ছিল যে রব গ্যাং আছে এবং তারাই এইসব করছে।

“তো ,ঠিক আছে মিস তিতলি, আপনি প্রমান করুন যে রব গ্যাং আছে” টেবিল চাপড়ে বললো একজন।

তিতলি- “ঠিক আছে মিস্টার দত্ত, আমরা আপনাকে প্রমাণ করে দেবো যে রব গ্যা্ং আছে, এবং তারাই এসব করছে। কিন্তু তার জন্য আমাদেরকে কিছুদিন সময় দিতে হবে, এবং তার পরেই আমরা আপনাকে প্রমাণ করে দেব যে রব গ্যাং আছে।”

মিস্টার দত্ত – “ঠিক আছে আপনাদের কে ছয় মাসের সময় দেওয়া হলো, তার মধ্যে প্রমাণ করে দিন যে রব গ্যা্ং আছে। কিন্তু একটি গ্রুপে ম্যাক্সিমাম পাঁচজন থাকতে হবে , কিন্তু আপনারা তো মাত্র তিনজন !”

ক্যাপ্টেন তিতলি – “আরও দুজনকেও আমরা জোগাড় করে নেব।”

কথা দেবার পর তারা তিনজন ভাবতে লাগল আর কোন দুজনকে নেয়া যায় তাদের গ্রুপে।

এইসময় হঠাৎ তনুশ্রী চেঁচিয়ে উঠলো – ” পেয়ে গেছি দুজনকে!”

সৃজনী – ” কোন দুজন”

তনুশ্রী – ” আমার পাশের বাড়িতে একজন ভাই থাকে, যার নাম মোহন , তার সঙ্গে তার বন্ধু, সোহম থাকে। তারা দুজন পুলিশেই চাকরি কারে, কিন্তু নীচু পোস্ট হওয়ার জন্য তাদের কে, কেউ চোখে দেখতে পারেনা।

তিতলি – ” তাহলে তুই কাল ওদের সঙ্গে কথা বলবি।”

তনুশ্রী-” হ্যাঁ। আর আমি জানি যে ওরা রাজি হয়ে যাবে।”

সৃজনী -” তবু তুই একবার কথা বল , এই নিয়ে”।

তনুশ্রী – ” হ্যাঁ ।ঠিক আছে, কাল ই যাবো।” ।।

পরের দিন, তনুশ্রী মোহন এবং সোহম এর কাছে গেল।
এবং সব বলল।

তনুশ্রী-“কি রাজি তো?”

মোহন-“হ্যাঁ দিদি। কালই চলে যাব “
সোহম-“কিন্তু দিদি, গ্রুপের নাম কি হবে?”
তনুশ্রী-“সেটা তো এখনো ঠিক হয়নি। কিন্তু হ্যাঁ, তোরা নাম নিয়ে আসবি এক টা করে। ঠিক আছে?”
দুজনে-“ঠিক আছে দিদি”
তনুশ্রী “ঠিক আছে আমি আজ আসছি।”
পরের দিন ওরা সবাই একটা করে নাম নিয়ে গেল।আর তিতলি সবকটা নামের থেকে একটা করে ওয়ার্ড নিয়ে গ্রুপের নাম দিল __
“সুপারভাইচারস”

সবার সঙ্গে সবার আলাপ হলো ।দেখা হয়ে সবারই ভালো লাগলো। রীতিমতো পরের দিন থেকেই তারা নিজেদের কাজ শুরু করে দিল।
কিন্তু দুঃসংবাদ এই ছিল যে, কোন ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। দশ দিন বেড়ে গেছিলো তবুও।
সুপার ভাইচারসরা রব গ্যা্ং কে ধরতে পারছিল না ।অন্যদিকে চুরির হার বেড়েই চলেছে । বিশেষ করে দার্জিলিং-এ।
তাই একদিন ঠিক হলো তিতলির ঘরে একটা মিটিং করা হবে।
সেই মিটিং-এ ঠিক হলো যে, পরের দিন রেলি করা হবে, গাড়ি নিয়ে, দার্জিলিংয়ে।

কিন্তু পরের দিন, যে একটা জিনিস তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল , সেটা কেউই জানতো না! আর জানেও না!

না তুমি! না আমি ! না সুপারভাইচারস!

To be continued ….

Written by

Debadrita Sarkar
Class 7 Age 14 From India West Bengal

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here