চারিদিকে উঠছে ডাক,
যুদ্ধবাদ নিপাত যাক।।
আজ বিশ্ব শান্তি দিবস যে…
তারইমধ্যে খবর পেলাম আজকে মধ্যরাতে
ফের একবার পাকিস্তান আঘাত হেনেছে সীমান্তে।
খবর চ্যানেল চালিয়ে শুনি, যত সব লম্বা চওড়া কথা
কেউ বা তাতেও খুঁজে ফেরে রাজনীতির সার্থকতা।
আমি সাধারণ, মধ্যবিত্ত আমার হাতে কি সব?
তাই মিনিট বাদেই ভুলে যেতে পারি, দুঃখ পাওয়াটা ঢপ।
মৃত্যু জানি চোখের জলের, তবু সেইটুকুতেই শেষ
আপনি বাঁচলে তারপরে তো উদ্ধার করবে দেশ।
কারখানাটায় তালা পড়েছে, আজকে নিয়ে ছদিন
বউ-বাচ্চা নিয়ে হঠাৎ আমি, হলাম সহায়হীন।
বাড়িতে ফিরতে লজ্জা করে, খাবার চাইতে দ্বিধা
আর না পেরে, বেরিয়েই যাই কারখানাতে সিধা।
গিয়ে সেই একই ছবি, লক আউটের জের
ইউনিয়ন, লোকাল নেতা লোক গাদা-গুচ্ছের।
মিটলো কিছু, খুলবে কবে, জানতে পারলে ভাই?
গগনভেদী স্লোগান…
লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।
ঘরে চাল নেই, লড়াই করার শক্তি পাবো কেমন?
পকেট জোড়া সিকি-পয়সায় হাজির হলাম রেশন।
লম্বা লাইন, মাল নেই আর লোককে দেবার মতন
সবাই দেখি প্রতিবাদ করে, মূল্যবোধের পচন।
আমি পারি না বাড়ির চিন্তায়, কিছুই নেই যে হাতে
ভেবে দেখলাম, সারাদিন আজ কাটাবো রাস্তাতে।
দায়িত্ববোধ যা ছিল আমার হজম হয়ে গেছে
মানুষ তখন এমন আমি, পালাতে পারলে বাঁচে।
শেষমেষ সেই রুখে দিল, ছেলের গলার ডাক
লেজার গানের বায়না শুনে আমি হতবাক।
খেলার জন্যে বন্ধুর সাথে ঝগড়া করতে নেই
তুমি আমায় কিনে দেবে তো বলো, যেরম আমি চাই!
আচ্ছা দেবো, বলতো আগে, কি করবি ওটা নিয়ে?
সবাইকে মারবো তখন, আমার বন্দুক দিয়ে।
নিষ্পাপ ও, কিছুই বোঝেনা, হেসে ফেললাম শুনে
মানুষ বুঝি জন্মগতই লড়াকু হতে জানে।
দায় আমার,ওকে ভালো মানুষ হতেই হবে;
এমনভাবে হাল ছেড়ে দিলে, যুদ্ধ কি বাদ যাবে?
কলমে : স্বর্ণেন্দু ভার, পশ্চিমবঙ্গ