রাখী মানে নয়তো কেবল
সুতোর বন্ধন।
রাখী মানে ভালোবাসা
হৃদয়ের স্পন্দন।
রাখী মানে ভ্রাতৃত্ববোধ
নতুন দিনের স্বপ্ন।
রাখী বাধা মানেনা কোনো
জাতি, ধর্ম, বর্ণ।
রাখীর দিনে তাই এসো আজ
মনের দুয়ার খুলে।
আনন্দে সব মেতে উঠি
হিংসা দ্বেষ ভুলে।
—-অমিত মজুমদার
কবি অমিত মজুমদার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর বিজ্ঞান শাখার একজন স্নাতকোত্তর, নিবাস কলকাতায়, জৈব সার ও জৈব উপকরণ প্রস্তুতকারক সংস্থায় কর্মরত। ছোট্ট থেকে কবিতা লেখা সখে বা কারোর অনুরোধে।
অমিত মজুমদার এর আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুন ক্ষণিকের-স্মৃতি হঠাৎ খুঁজে পাওয়া দীন-ভিখারি
উৎসবমুখী মানুষের প্রাণ। উৎসব আগেও ছিল এখন তাে রয়েছেই বরং বেশি জাঁকজমক সহকারেই সংঘটিত হচ্ছে। তবে হারিয়েছে পবিত্রতা, আন্তরিকতা। আলাের রােশনাই থাকলেও প্রদীপের পবিত্রতা নেই। কিন্তু রাখী পূর্ণিমাতে যেন আনন্দের উৎসস্থল মাত্র। সম্প্রদায়গত বিভেদ নেই। সম্প্রদায় কখনও ধর্ম নয়। ধর্ম একটাই তা মানবধর্ম। তাই উৎসব হল উৎসে গতি। সেখানে কোনাে সম্প্রদায়ের আলাদা রূপ বা উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। জীবনকে সুন্দর করা, জীবন বৃদ্ধির পথে চলাই মানবধর্ম। উৎসবের তাৎপর্যও তাই। মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব। শ্রেষ্ঠত্ব তার চিন্তায়, কর্মে। উৎসব মানুষের প্রাণ। যে উৎসবে মানুষের হৃদয়। বিকশিত হয় না, সে উৎসবের কোনাে মূল্য নেই। মানব জীবন সমস্যাবহুল। প্রয়ােজন এক আদেশ মেনে চলা। কথায় আছে, এক আদেশে চলে যারা, তাদের নিয়ে সমাজ গড়া। আদর্শকে সামনে রেখে চলাই মানুষের কর্তব্য। সে আদর্শ জীবন্ত আদর্শ। প্রয়ােজন আদর্শমুখী জীবন। কারণ আদর্শহীন যে, বহুগুণ থাকলেও সে মেকি। উৎসব মানুষের জীবনের বাঁচার প্রেরণা। গ্রীষ্মের ভােরের শীতল বাতাসের মতাে। হৃদয় শীতল করে, মন শান্ত করে। জীবনকে প্রেরণাপুষ্ট করে।