অরণ্যে আজ আড়ম্বরপূর্ণ,
যেন এক শান্তির হাওয়া বহিছে দিগন্তে।
যার সুবাসে মুগ্ধ এই পুষ্প মন্দির।
পএপল্লব সকল আচ্ছাদিত হইয়া,
এক দৃষ্টি নন্দন মায়াবন তৈরি করেছে।
শন শন হাওয়া এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি
জাগ্রত করেছে তনুরো মাঝারে।
রাএির সিন্গ্ধ চাঁদনী জোস্ন্যা রাঙা,
আলোয় সিক্ত করছে ধরিএী মাতাকে।
আর সেই সিক্ত স্পর্শে আরো মনোহিত,
হয়েছে রাখালিয়া বাঁশির সুর।
নিশির এই তমসার ছাঁদে,
এক অবলীল আভা ছড়াচ্ছে ধরারো বুকে।
সেই অবলীলতায় সজ্জিত হয়েছে পল্লবরাজি।
আলো আধারের এই রূপ দেখি,
কবি মনে উদিত হয় চেতনা।
এভাবে নিশি কেটে প্রভাত আসে।
আর প্রভাতের এই অম্লান বদনে,
জাগ্রত হয় বিশ্ব চরাচর।
ভোরের আলোর প্রথম কিরণ,
বৃক্ষতনুকে স্পর্শ করে হেসে উঠে।
ঐদিকে লজ্জাবতী লতার লজ্জারতো
জুড়ি মেলা ভার।
কমলবনের কমল ওতো তার রূপে কুপোকাত।
এই রংতুলির বিচিত্র দৃশ্যের সাক্ষী
হলো মোদের নয়ন।
কালের বিবর্তনের ঘূর্ণিপাকে বদলায় দৃশ্যপট,
বদলায় বৃক্ষকুল,আর বদলায় জীবনের রূপ।
কান্নাহাসির এই বিশ্ব আলয়ে তবুও খাটি
আমাদের সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।
কলমে পূজা রায় , নন্দীবাড়ী,নওমহল, ময়মনসিংহ।