পর্ব ১

রাহুল চৌধুরী ক্লাস টেনে পড়ে। দুইমাস পরেই ওর ফাইনাল পরীক্ষা আরম্ভ হবে।ক্লাস ইলেভেনে সে সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হতে চাই। কারণ সেটা তার প্রিয় বিষয়।পড়াশুনো ছাড়া সে গিটার বাজাতে,কবিতা লিখতে এবং রান্না করতে ভীষণই ভালোবাসে।

ক্লাস এইটে উঠার পর থেকেই সে বাড়ির সকলের জন্য নিজের হাতে ব্রেকফাস্ট তৈরি করে।তার মা তাকে বলেছিলো “লেখাপড়ায় মন দে বাবান, প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট তৈরি করলে তোর পড়াশুনোয় ক্ষতি হবে”। মায়ের কথাগুলো শোনার পরে সে মায়ের দুহাত ধরে বলেছিলো “মা, যেই কাজ করে আমি আনন্দ অনুভব করি তা আমায় করতে বারণ করো না।প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট বানালে আমার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।আমি কথা দিলাম তোমায়।আমি তুমি এবং বাবা ব্রেকফাস্ট তৈরি করার অনুমতি দাও আমায়”।

এরপর রাহুলের মা অনুরাধা চৌধুরী এবং বাবা দেবরাজ চৌধুরী হাসিমুখে তাদের ছেলেকে অনুমতি দিয়েছিলেন।

তারপর থেকেই প্রতিদিন নানা ধরনের পদ রান্না করে সবাইকে নিজের হাতে পরিবেশন করে বাবান।

পর্ব-২

প্রতি সোমবার এবং বুধবার বিকেলবেলায় রাহুল এবং তার ক্লাসের বেশ কিছু ছেলে এবং মেয়েরা নীলেশ চৌধুরীর কাছে সায়েন্স গ্রুপটা পড়তে যায়।নীলেশ চৌধুরী কলেজের ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।খুবই হাসিখুশি এবং আমুদে মানুষ।তার সংসারে রয়েছে বিধবা মা এবং দুই যমজ ভাইবোন।মেঘনা এবং আকাশ। তারাও রাহুলদের সাথে একই স্কুলে এবং একই ক্লাসে পড়ে।নীলেশ চৌধুরীকে তার ছাত্রছাত্রীরা নীলদা বলে ডাকে, কারণ নীলেশই তাদের নিজেকে নীলদা বলে ডাকার অনুমতি দিয়েছে।

বিগত দুই সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী রয়েছে রাহুল। তাই সে পড়তে যেতে পারেনি।আজ রবিবার।ছুটির দিন।ঘড়িতে সকাল ১০:৩০ টা বাজে। একঘন্টা আগে রাহুলের মা রাহুলকে গরম গরম ফুলকো লুচি এবং আলুর ঝাল তরকারি দিয়ে ব্রেকফাস্ট খাইয়ে নীচে গিয়ে বাড়ির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

রাহুল নিজের বেডরুমে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমোছিলো।এমন সময় রাহুলের মোবাইল বেজে উঠলো। ঘুমোনোর আগে রাহুল মোবাইলটা সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিলো, ফলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।মোবাইল হাতে নিয়ে সে দেখে নীলেশ স্যার তাকে কল করছেন।রাহুল কল রিসিভ করে এবং ঘুমজড়ানো গলায় “হ্যালো” বলতেই, ফোনের ওপাশ থেকে নীলেশ বলে উঠলো “রাহুল,কেমন আছিস তুই? জ্বর কমেছে”? এরপর রাহুল বলে “আজ জ্বরটা একটু কমেছে নীলদা। তবে আমি প্রচন্ড দূর্বল হয়ে গিয়েছে। ভালোভাবে খেতে পারছি না, হাঁটতেও পারছি না”। এবার নীলেশ বললো “আরও কয়েকটা দিন ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে হবে তোকে।সেই সঙ্গে ঔষুধ এবং খাবারও খেতে হবে।না হলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবি কিভাবে? রাহুল বলে “বিশ্রাম তো নিচ্ছি।তবে খাবার খেতে একেবারে ইচ্ছে করছে না। তবুও মা জোর করে দুইঘন্টা পর পর ফলের রস, ডাবের জল, খাওয়াচ্ছে, আমার খুবই যত্ন নিচ্ছে।আমার ছোটমামা ডক্টর তাহির সেন নিয়মিত আমায় দেখতে আসেন।আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবো ই”।

এবার নীলেশ বলে উঠেন “নিশ্চয়, তুই শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবি।তাহলে এবার আমি রাখছি। সাবধানে থাকিস।”টাটা”।

রাহুলও তার নীলদাকে টাটা জানিয়ে মোবাইল বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

পর্ব-৩

আজ সোমবার।বিগত তিন সপ্তাহ অসুস্হ থাকার পরে রাহুল বেশ সুস্থ হয়ে উঠেছে।আগামী সপ্তাহ থেকে সে আবার নীলদার কাছে পড়তে যাবে এবং বন্ধুদের সাথে হৈ চৈ করতে করতে বাড়ি ফিরবে। নিজের বেডরুমের সোফায় শুয়ে শুয়ে এইসব কথা ই রাহুল চিন্তা করছিলো।এমন সময় তার মোবাইল বেজে উঠলো। সে দেখলো তার প্রিয় বন্ধু সৌগত তাকে কল করছে। রাহুল কল রিসিভ করার পরে ফোনের ওপাশ থেকে সৌগত বলে উঠে “রাহুল, কেমন আছিস তুই? জ্বর কমেছে”?রাহুল বলে “আমার গায়ে আর জ্বর নেই। তবে সামান্য দূর্বলতা রয়েছে, তাও দুই-তিনদিনের মধ্যে সেরে যাবে।আগামী সপ্তাহ থেকে আমি টিউশন যাব।বহুদিন সবার সাথে দেখা হয়নি।ভালোভাবে কথা হয়নি।”

সৌগত বললো “বা, দারুন খবর তো।তুই আবার পড়তে আসবি। সত্যি রে এই কয়েকদিন তোকে বড্ড মিস করেছি।তোর বাড়িতে তোকে দেখতে গিয়েছি ঠিক ই,তবে বেশিক্ষণ বসতে পারিনি তোর কাছে।কারন তুই অসুস্হ ছিলি।তোর সম্পূর্ণ বিশ্রামের দরকার ছিল।এখন তোর সুস্থতার খবর পাওয়ার পর আমি খুব খুশি হয়েছি”।

এবার রাহুল বলে “তোদের সাথে দেখা হবে আমিও খুব খুশি রে। তাহলে এখন রাখি। সোমবার দেখা হবে।বাই,টাটা।

সৌগতও রাহুলকে “বাই” জানিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

পর্ব-৪

সৌগতর সাথে কথা বলার পর দুটো দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আজ বুধবার। রাহুলদের বাড়িতে তার মেজকাম্মা, দুই ভাইবোন এবং মেজ কাকাই এসেছে। তারা লন্ডনে থাকে। তারা প্রতি বছর মহালয়ার আগে কলকাতায় আসে এবং বড়দিনের পর ফিরে যায়। রাহুলের মেজ কাকা অভিরাজ চৌধুরী লন্ডনের ছটা কোম্পানির মালিক। মেজকাম্মা ইরাবতী এবং মেজ কাকাই সারা বছর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বছরে একবার নিজ বাসভূমি কলকাতাতে আসেন দূর্গাপুজোর সময়। তিনমাস কাটিয়ে যায় একান্নবর্তী পরিবারের সাথে।

একটু আগে মেজ কাম্মা সবার হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন।এখন ঘড়িতে বাজে সন্ধ্যে সাতটা।গরম গরম তেলেভাজা এবং কফি সহযোগে চৌধুরী ভিলার সকল সদস্য একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো।এমন সময় বজ্রের ভীষণ শব্দে সবাই চমকে উঠলো। নিমেষেই আকাশ ঘন কালো মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো এবং মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হল।

এমন সময় রাহুল এবং তার ভাইবোনেরা সমবেতকণ্ঠে বলে উঠে “আজ আমরা ডিনারে ছোটোকাম্মার হাতের তৈরি “ভেজ মশলা খিচুড়ি, মশলা ডিমভাজা, বড়মাম্মার হাতের তৈরি ঝুরি আলুভাজা, লাবড়া এবং পাঁপড়ভাজা খাবো”।

রাহুলের বড়মাম্মা হৈমন্তী এবং ছোটোকাম্মা শিউলি বললেন “আচ্ছা আচ্ছা তাই হবে”।

পর্ব-৫

এখন ঘড়িতে বাজে রাত ৮:৩০ টা।নীচের তলার গেমরুমে রাহুল এবং তার ভাইবোনেরা লুডো এবং ক্যারাম খেলছে।দোতলায় মিটিং রুমে রাহুলের জেঠু,বা বা এবং কাকুরা নিজেদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা করছে। রাহুলের বড়মাম্মা,মা,কাম্মা সকলে রান্না ঘরে ডিনার তৈরি করছেন।এমন সময় রাহুলদের বাড়ির কলিংবেল বেজে উঠে। রাহুলের ছোটো বোন তিতলি গিয়ে দরজা খুলে দেখে রাহুলের নীলেশ স্যার দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিতলি নীলেশ স্যার কে ভেতরে আসতে বলে কিন্তু তিনি বলেন “আমি এখন ভেতরে আসবো না। রাহুল কে ডেকে দে তিতলি। ওর সাথে কথা বলেই চলে যাবো। আজ আমার তাড়া রয়েছে”।

এরপর তিতলি একছুটে গিয়ে রাহুলকে বলে “দাদাভাই, তোর নীলেশ স্যার এসেছেন, তোকে ডাকছেন, আমি ওনাকে ভেতরে আসতে বললাম, কিন্তু উনি বললেন “তোকে ডেকে নিতে, ওনার তাড়া রয়েছে”। তিতলির কথাগুলো শোনামাত্র রাহুল দরজার কাছে ছুটে যায়। রাহুলকে দেখে নীলেশ স্যার বলে উঠে “এই নে রাহুল,এই খামটা ধর। এর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো ফাইনাল পরীক্ষায় আসবে। তুই এগুলো প্র্যাকটিস করিস।আমি আসি”।এরপর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তিনি চলে যান।

অগত্যা দরজা বন্ধ করে দিয়ে খাম নিয়ে রাহুল নিজের বেডরুম আসে এবং। তারপর টেবিলের ড্রয়ার খুলে তারমধ্যে সযত্নে খামটা রেখে ড্রয়ারটা বন্ধ করে দেয়। রাত এগারো টা নাগাদ সকলে ডিনার খাওয়ার পর শুয়ে পড়ে।

পর্ব-৬

ঘড়িতে ঢং ঢং করে সকাল ৯ টা বেজে উঠলো। ঘড়ির শব্দে রাহুলের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।এমন সময় রাহুলের মা তার ঘরে ঢুকে বলেন “বাবান শীঘ্র ই নীচের ড্রইংরুমে চল, সৌগত ল্যান্ডফোনে কল করেছে, তোকে ডাকছে”। রাহুল নীচে এসে রিসিভার কানে নিয়ে হ্যালো বলতেই ফোনের ওপার থেকে সৌগত তাকে জানায় “আমাদের নীলদা মারা গিয়েছে।গতকাল সকাল থেকেই জেঠিমা মানে, নীলদার মা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।তাই নীলদা গতকাল রাত ৮:৩০ টা নাগাদ ঔষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে মারা যায়।নীলদার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে জেঠিমাও মারা গিয়েছেন।আমরা একটু পরে নীলদার বাড়ি যাবো। তুইও আসিস।এখন রাখছি”।

সৌগতের কথাগুলো শোনার পরে রাহুলের হাত থেকে রিসিভার পরে যায় এবং সে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে।রান্নাঘর থেকে রাহুলের মা “বাবান” বলে জোরে চিৎকার করে উঠেন এবং ছেলের কাছে ছুটে আসেন।রাহুলের মায়ের চিৎকারে বাড়ির সকলে ছুটে আসে এবং রাহুলকে ধরে তার বেডরুম নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।কিছুক্ষণ পরে রাহুলের ছোটোমামা আসেন এবং চিকিৎসা করেন। তিনি সকলকে বলেন “কোনো ব্যাপারে বাবান শক পেয়েছে তাই সে জ্ঞান হারিয়েছে।আমি ইঞ্জেকশন দিয়েছি। একটু পরে তার জ্ঞান ফিরে আসবে”।

প্রায় আধঘন্টা পরে রাহুলের জ্ঞান ফিরে আসে। সে চোখ মেলার পরে “মা” বলে ডাকে। রাহুলের মা তার কাছেই বসেছিলেন। তিনি বলে উঠেন “ভয় পাস না বাবান।এইতো আমি রয়েছি তোর কাছে।এবার বলতো সৌগত তোকে এমন কি বললো যার পরে তুই অজ্ঞান হয়ে গেলি”?

মায়ের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল সব কথা জানায়। রাহুলের মুখ থেকে সব শোনার সকলে অবাক হয়ে যায়।কিছুক্ষণ পর রাহুলের জেঠাই বলে উঠেন “মৃত্যুর পরেও নীল আমাকে দেওয়া কথা রেখেছে।আমি সত্যি ওর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম”। রাহুলের বাবা তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করেন “তোমার এই কথাটার মানে ঠিক বুঝতে পারলাম না।বুঝিয়ে বলো আমাদের”।

এরপর রাহুলের জেঠাই বলতে আরম্ভ করেন।
“নীলের বাবা অনিরুদ্ধ আমার প্রিয় বন্ধু ছিলো।তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পরে নীলরা অথৈই জলে পড়ে যায়।নীলের বাবার জমানো সামান্য টাকা এবং তার মায়ের বিধবা পেনশনভাতায় তাদের সংসার কোনোমতে চলতো।আমি নিজের সাধ্যমত তাদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু শিখা বৌদি আমার সাহায্য নিতে নেয়নি।কেবল অনুরোধ করেছিলেন ওনার জন্য যেন একটা কাজের ব্যবস্হা করে দি।এরপর আমার এক বন্ধুর অফিসে বৌদি পি.ত্রর পদে নিযুক্ত হন।মায়ের চাকরির পর নীল আমায় বলেছিলো “জেঠাই,আপনার ঋণ আমরা কোনোদিনও শোধ করার আস্পর্ধা দেখাবো না।তবে আমার প্রাণের বিনিময়ে যদি কোনোদিনও আপনাদের সাহায্য করতে হয় তবে আমি পিছুপা হব না”।

এর কয়েক বছর পরে নীল মাধ্যমিক পাশ করার পরে টিউশনি পড়াতে আরম্ভ করে।আমি রাহুলকে তার কাছে পড়তে পাঠায়।কিন্তু সে রাহুলের টিউশন ফিজ নিত না।এই কথা আমি কাউকে কোনোদিন বলিনি।কারণ এই কথাটা নীল আমাকে বলতে বারণ করেছিলো।

আমার আজও মনে আছে, স্কুল জীবন শেষ হওয়া পরে যেইদিন নীল কলেজে ভর্তি হয় সেইদিন কয়েক বাক্স মিষ্টি এনে আমাদের সবার মিষ্টিমুখ করায়।শিখা বৌদি নিজের হাতে নানা ধরনের পদ রান্না করে রাতের বেলায় আমাদের সবাইকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ান”।

জেঠানের কথা শেষ হওয়ার পর রাহুল এবং তার বাড়ির সকলে নীলেশের বাড়িতে গিয়ে তাঁর এবং তার মায়ের শেষকৃত্য সুসম্পন্ন করেন এবং চিরজীবনের জন্য নীলের ভাইবোনের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন।

পর্ব-৭

এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকগুলো বছর।বর্তমানে হার্ট স্পেশালিস্ট ডক্টর রাহুল চৌধুরীকে সবাই চেনে।ভুবনজোড়া নামডাক তার।

তবে আজও রাহুল অঙ্কটা মেলাতে পারে না।সেই বৃষ্টির রাতে নীলদা এসেছিলো,নাকি ওর কল্পনা? হ্যালুসিনেট করেছিল নাকি অশরীরী সত্যি হয়???তবে নীলদার দেওয়া খামটার ভেতরে কাগজের মধ্যে লেখা সবপ্রশ্নগুলো ই পরীক্ষায় এসেছিলো।সে ভালোভাবে উওরগুলো লিখেও আসতে পেরেছিলো।

খামটা এবং তার ভেতরের কাগজগুলো রাহুল আজও যত্ন করে রেখে দিয়েছে।ওগুলোই যে নীলদার শেষ স্মৃতি।

আজ রবিবার, আজকের দিনটা রাহুল পরিবারের সাথে সময় কাটায়।তাই সে আজ বাড়িতে রয়েছে। এখন সে নিজের স্টাডি রুমে বসে রয়েছে।তার মানিব্যাগে রাখা নীলদার ছবিটা সে হাতে নিয়ে মনে মনে বলে “নীল দা তুমি যেখানেই আছো,ভালো থেকো।তোমাকে কোনোদিনও ভুলতে পারবো।তুমি চিরকাল আমার হৃদয়ে বিরাজমান থাকবে”।

কলমে রুবি সেনগুপ্ত, পুরুলিয়া,পশ্চিমবঙ্গ

SOURCEকলমে রুবি সেনগুপ্ত
Previous articleভৌতিক মোবাইল
Next articleমাছি
Avatar
Disclaimer: Monomousumi is not responsible for any wrong facts presented in the articles by the authors. The opinion, facts, grammatical issues or issues related sentence framing etc. are personal to the respective authors. We have not edited the article. All attempts were taken to prohibit copyright infringement, plagiarism and wrong information. We are strongly against copyright violation. In case of any copyright infringement issues, please write to us. লেখার মন্তব্য এবং ভাবনা, লেখকের নিজস্ব - কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত..................

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here