সন্ধ্যা নামছে ,শরতের সন্ধ্যা,
স্নিগ্ধ শান্ত কমনিয় অথচ
মনোরম ।
নদী পাড় সূর্যাস্তের
ছায়ায় মায়াবী জগতে
পরিণত হয়েছে।
দূরে কোথাও কোনও
তরীতে মাঝির কন্ঠে
ভাটিয়ালি সুর ভেসে আসছে।
রাখালের বাঁশি করুন সুরে
একমনে বেজে যাচ্ছে।
দিনান্তে গো-পালের দল
গোঠে ফিরছে,
ধূলার ঝড় তুলে।
আকাশ এখন বড়ো স্বচ্ছ,
নক্ষত্রেরা দীপ জ্বেলে দিয়েছে,
তার বুকে।
দেবালয়ে সন্ধ্যা রতি শুরু হয়েছে,
সুমধুর প্রার্থনার সমবেত কণ্ঠে।
নগর দীপমালায় সজ্জিত ,
উৎসব কে বরণের তরে।
প্রকৃতি ও সাদর আগ্রহে
প্রস্তুত সেই পরম শক্তিকে,
আবাহন করার জন্য।
হে মাতা,হে জগজ্জননী,
তুমি এস, তোমার করুণা ও
মঙ্গলাশীষ ঝরে পড়ূক,
জগতের কল্যাণ তরে।
হে মহিষমর্দীনি ,হে অশুভ শক্তি
নাশিনী তুমি আবির্ভূত হয়ে,
বিনাশ করো মনের মলিনতা কে।
আনন্দের ঝর্না ধারায় ,
প্রতিষ্ঠা হোক তোমার,
আনন্দময়ী বরাভয়া,
চিন্ময়ী মূর্তি।
প্রবীর ভদ্র এর কলম থেকে “লেখা আমার পেশা নয়, আমার নেশা।
আমার আবেগতাড়িত মন ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাকে শব্দ ছন্দের দোলায়।
মানুষের মনের অন্দরমহলে প্রবেশ করার ও তাঁদের অনুভূতি অনুভব করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।”