জাপান পর্ব :২১ । কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়

1
1971

<< জাপান পর্ব :২০                                                                    ২ই জুলাই থেকে ১৪ই জুলাই ,২০১৮

ভূমিকম্পের ভয় যখন সর্বদা মনে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে , ঠিক তখনই , এক সকালে , হঠাৎ তীব্র আওয়াজে মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। একবার এ কানে আসেনি , কারণ সকালের কাজে ব্যস্ত থাকায় , প্রথমে সেটাকে সামান্য মেসেজ এলার্ট ভেবে নিয়েছিলাম , কিন্তু হঠাৎ মনে হলো আওয়াজটি সাধারণ নয়। আর একবার নয় বার বার সেই এলার্ট মেসেজ আসতে শুরু করলো ,ফোন সাইলেন্ট এ মোডে থাকুক না কেন , একটা তীব্র তীক্ষ্ণ আওয়াজের মেসেজ এলার্ট। এলার্ট আসছিলো জাপানীস ভাষায় , তাই প্রথমে কিছু না বুঝলেও তাকে অনেক কষ্টে অন্য মোবাইল ছবি তুলে , অনুবাদ করে দেখি “বন্যা ও ভূমিস্থলন এর জন্য আগাম সতর্কবাণী” .সাথে সাথে ফোন এলো মেয়ের স্কুলের বন্ধুর মা এর যে আজ স্কুল বন্ধ থাকবে কারণ সতর্কতার আসল জায়গা আমাদের স্থানীয় অবস্থান। কিছুক্ষনের জন্য সব কাজ কর্ম ছেড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা আর কি।

ভূমিকম্পের সাথে সাথে কদিন ধরে বৃষ্টি অল্পসল্প চলছিল , কখনো বেশি-কখনো কম , তবে ভাবিনি তা ধীরে ধীরে এই রূপ নেবে। তখন জোরে বৃষ্টি মনে ভয় এনে দিয়েছিলো। সেই এলার্ট যে দিনে কত বার এসেছিলো তা গুনে বলতে পারবো না , এই এলার্ট এসেছিলো দু তিন ধরে ,রাতে ফোন সাইলেন্ট থাকলেও সে এলার্ট চমকে দিতো , ঘুমের ঘোর কাটিয়ে নিয়ে যেত আচমকা এক ভয়ের দেশে। এই মনে হতো কিছু হলো। মেসেজে শুধু আসতো তাড়াতাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে , কিন্তু আমাদের যে আর কোনো আশ্রয়ই নেই , তো নিরাপদ।

জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) 30 আগস্ট ২০১৩ সালে জরুরী সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করে।যখন কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা তার সীমা ছাড়িয়ে যায় বা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে (যেমন ভারী বর্ষণ, ভূমিকম্প ,বন্যা ,সুনামি ,প্রবল ঝড় বা টাইফুন ইত্যাদি ) তার সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করার জন্য জরুরী সতর্কতা জারি করতে এটি শুরু করা হয় ।

আসলে এই মেসেজ এলার্ট গুলো মোবাইল কোম্পানি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত। জাপান সরকার প্রতিটি মোবাইল অপারেটর এর সাথে এই আপাতকালীন সতর্কতা মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন , জাপানের বসবাসকারী মানুষের জন্য। অতএব , আপনার মোবাইলে কোনো সিম না থাকলে আপনি এই মেসেজ পাবেন না।

এই সতর্কতার মেসেজের কথা বলতে গিয়ে মনে পড়লো আরো একটি মোবাইল সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়োগ ব্যবস্থার বিষয়ে। সেটি হলো , আমি যখন জাপানে প্রথম এলাম আর এদিক ওদিক ঘুরতে গিয়ে মোবাইল ফোনে ফটো তোলা শুরু করি , তখন হঠাৎ ই আমার মোবাইল ফোন ফটো তোলার আওয়াজ হতে থাকে , যা আমি অন্তত সক্রিয় করিনি। প্রথম প্রথম অগ্রাহ্য করলেও পরে বিরক্ত লাগতো , ধুর বাবা , কেন এই আওয়াজ , অনেক চেষ্টা করেও মোবাইল বিন্যাস ঘেটে , এই আওয়াজ বন্ধ করতে পারিনি। অনেকদিন পরে রহস্য উন্মোচন করে আমার এক জাপানীস বান্ধবী। এটিও নাকি জাপান সরকারের এক প্রয়াস নিরাপত্তার। আসলে কয়েক বছর আগে কয়েক যুবক মেয়েদের অশ্লীন ছবি তাদের মোবাইলে তুলতে থাকে আর মেয়েরা সেটা বুঝতেও পারেনা। আর তার পর থেকে এই ব্যবস্থা। মানে কেউ ফটো তুললে আশেপাশের লোকজনেরা যেন বোঝে যে কেউ ছবি তুলছে। যখনি কেউ জাপানে এসে তার মোবাইল ই জাপানের মোবাইল অপারেটর এর কোনো সিম লাগবে , তখন ই এই ব্যবস্থা আপনার মোবাইলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু হয়ে যাবে। এই জন্য বলি জাপান জাপান ই , যতই লোকে বলুক ভারতীয় হয়েও জাপানের প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ , তা বেশ। যা ভালো তা তো ভালোই , তা দেশ কাল সময় কি বেঁধে রাখতে পারে!!! জাপান দেশ যেমন ভাবে তার দেশবাসীর ছোটছোট সুবিধা অসুবিধার কথা , তেমনি দেশবাসী ভাবে তার দেশকে সুন্দর -সফল করার কথা। আমাদের দেশে যে ভাবে আজ ধর্ষণ বেড়েছে , তার কিছু % ও যদি আজ জাপানে হতো, না জানি জাপান অপরাধীকে ধরার জন্য বা এই অপরাধ বন্ধ করার জন্য কি কি না প্রযুক্তির ই না আবির্ভাব ঘটাতো।

আমাদের দেশের কেরালায় যখন শত শত মানুষ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে , ঠিক একই সময়ে , জাপানেও বন্যার সংকেত বার বার উঁকি দিচ্ছে। এই সংকেত বৃথা যায়নি , ভেসে গেলো আরো একবার হিরোশিমা। কিয়োটোর মতো হিরোশিমায় নদী -পাহাড়ের শহর , নদী বেশি ,তাই এই সংকেতকে উপেক্ষা করতে পারলো না। আমি এসেছি অবধি , জাপানের প্রাকৃতিক দুর্যোগের একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে। আরো একবার রেকর্ড ভাঙলো , ভূমিকম্পের পর এবার বন্যা। বন্যা ও ভূমিধসে 36 বছরএর রেকর্ড ভেঙে দেশের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া দুর্যোগে ২00 জন নিহত হলো , সব ঝড় বয়ে গেলো আবারো হিরোশিমার ওপর দিয়ে। হাজার হাজার লোক নিখোঁজ এবং ২00,000 এরও বেশি পরিবারের জল নেই। পশ্চিম জাপানের কিছু অংশে নিখোঁজ মানুষের সন্ধানে 70,000 এরও বেশি উদ্ধারকর্মী অপারেশনে নামলো ।সবচেয়ে খারাপ ভাবে প্রভাবিত এলাকাগুলি ছিল হিরোশিমা, কিয়োটো , ওকায়ামা এবং এহাইম ।
এই মাসের শেষে বা অগাস্ট এ আমাদের হিরোশিমা যাওয়ার কথা ছিল , কিন্তু সব বন্ধু বান্ধবদের উপদেশ অনুযায়ী , জাপানের সেই ঐতিহাসিক শহর ঘুরে দেখার ইচ্ছে মন থেকে প্রায় ছেড়েই দিলাম।

যখন এই বন্যার সংকেতে সব বন্ধ স্কুল -অফিস , সেরকম একদিনে ওলগা “আমার বিদেশি প্রতিবেশী ” ফোন করে বললো , চলো , কাছে একটা পার্কে ঘুরে আসি। সেই পার্ক সুগাকুইন এর সব থেকে বড় পার্ক। বাচ্চারা খেলতে পারবে , আমরাও একটু একঘেঁয়ে প্ৰাকৃতিক দুর্যোগ এর ভয়-ভীত জীবন থেকে একটু মুক্তি খুঁজে নেবো। বেরিয়ে পড়লাম সবাই সাইকেল নিয়ে। রাস্তাটা ছিল আমার মেয়ের স্কুলের পাশ দিয়ে , এগিয়ে অনেকটা ভেতরে। চোখে পড়লো জাপানীসদের বাড়ি -ঘর। এগিয়ে ৫-৭ মিনিটে পৌছালাম সেই পার্কে কিন্তু পার্ক বন্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ বোধহয় এই বন্ধ এর কারণ , আর সেটা একান্ত আমাদের অনুমান আর কি। কি করা যায় কি করা যায়। ওলগা বললো চলো আরো এগিয়ে একটা ঝিল আছে একটা পিকনিক স্পট ও। ঝিলে নাকি বড়সড় কচ্ছপের দেখা মেলে।

Tortoise
The LAke
The Mountain River

এগিয়ে চললাম এক রোমাঞ্চকর রাস্তা ধরে , বৃষ্টির পর সে রাস্তা যেন সবুজের গয়নায় সেজে উঠেছে। আমাদের মতো অনেক মানুষ এ আজ সে পথে নেমেছে। পিকনিক স্পট এ ও লোকের দেখা মিললো। আরো এগিয়ে হঠাত চোখে পড়লো , বিরল দৃশ্য , অরে একি দেখছি। সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিনের ছোট বড় বাচ্চারা , দেখা মিললো মা দের ও। সাথে লক্ষ করলাম এক জাপানীস দম্পতি , যারা পিকনিক করার মন করে এসে বেশ উপভোগ করছে হরিনের এই অবাধ বিচরণের দৃশ্য কে আর সাথে মাঝে মাঝে তুলছেন তাদের ছবি। দেখলাম এক পেশাগত ক্যামেরাম্যান কে , বুঝলাম , এসময় তাহলে হরিণদের আগমনটি অকস্মাৎ কোনো ঘটনা নয়। এগিয়ে চললাম ঝিলের উদ্দেশ্যে , পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছিলো পাহাড়ি নদী। যে নদীকে রোজ দেখি , মেয়েকে স্কুল থেকে আনার সময় , শান্ত , আজ যেন অত্যাধিক জলে সে টইটুম্বুর -একটু যেন জেদি। ঝিলে পৌঁছে দেখা মিললো কচ্ছপের। ফিরে আসার পথে নদীর পাশে একটা বিশালাকায় JOGGERS পার্ক দেখে এগিয়ে গেলাম সেখানে। অসাধারণ সেই পার্ক , একদিকে পাহাড় মিশেছে ,একদিকে নদী। চারিদিক শুধু গাঢ় থেকে হালকা সবুজে সেজে উঠেছে প্রকৃতি।

Picnic Spot

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নদীতে নেমে মেতে উঠেছিলাম বাচ্চাদের মতো জল নিয়ে খেলায় , সাথে লক্ষ করলাম বন্যার সময় কত উঁচুতে উঠেছিল এই জলের লেভেল। ফিরে এলাম কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে। ইতিমধ্যে দিন এগোতে থাকলো , মেয়ের স্কুল চালু হলো। মেয়ের স্কুলের এবার গরমের ছুটি পড়বে। জুলাই ১৭ থেকে আগস্ট ২০ অবধি। তার আগে স্কুলে চলছে বিবিধ আয়োজন।
এরই মধ্যে আমরা একদিন মেয়েকে স্কুলে রেখে চলে গেলাম সিকো ওয়ার্ড অফিস এ , আমার হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ এর সাথে হারিয়ে যাওয়া রেসিডেন্ট কার্ড পুনরায় কার্যকরী করতে। সব রকমের কাজগপত্র ভাস্কর আগেই ঠিক করে রেখেছিলো , শুধু সেগুলো রাখা ছিল তার কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বসার ঘর এ। সেই সূত্রে আমার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সুযোগ।

Kyoto University, Yoshida Campus

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটে ক্যাম্পাস রয়েছে কিয়োটোতে , Yoshida, Katsura, Gokashō বা Uji . এর মধ্যে ভাস্করের কর্মস্থল হল Yoshida ক্যাম্পাস, যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাস।আমরা সাইকেল এ পেছনের গেট দিয়ে ঢুকেছিলাম , ভাস্কর যেতে যেতে প্রতিটি বিল্ডিং তার কি কি কাজ এসব বর্ণনা করেছিল। ওর কথাতে এটুকু বুঝলাম ও খুব গর্বিত , সাথে আমিও। সামনে পরলো লাইব্রেরি , ক্যান্টিন , আরো কিছু ডিপার্টমেন্টাল বিল্ডিং। দেখলাম ছাত্ররা দলবদ্ধ হয়ে মাঝে মাঝে কিছু একটা ডান্স বা ব্যায়াম খুব মন দিয়ে অনুশীলন করে চলেছে। চলে এলাম প্রধান গেটের কাছে যেখানে একটি বট গাছ তার প্রভাব বিস্তার করে দাঁড়িয়ে , এটাই কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক চিহ্ন। পাশে ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন। এগিয়ে চললাম একটু আগে , মেটালারজি ডিপার্টমেন্ট এর দিকে , ভাস্কর দেখালো তার জায়গা , তার গবেষণার জিনিস , আর তার রোজকার জীবনের কিছু অংশ , কোথায় সে বসে খায় , সেই ক্যান্টিন এ কি কি পাওয়া যায় সব , সব। অনেকটা আবেগ যে জড়িয়ে আছে বুঝলাম , আমার ভালো লাগলো। এতো গেলো আমার চোখে দেখা কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা , এবার বলি তার ইতিহাস।

কিয়োটো ইউনিভার্সিটি (京都 大学 Kyōto daigaku), অথবা কিয়োদাই (京 大 Kyōdai) জাপানের কিয়োটোতে অবস্থিত একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দ্বিতীয় প্রাচীনতম জাপানী বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ার সর্বোচ্চ স্থানধারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের জাতীয় সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় গবেষণা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি, কিয়োটো ইউনিভার্সিটি বিশ্বব্যাপী গবেষক তৈরির জন্য বিখ্যাত, ১৮ টি ( বর্তমানে ১৯- ২০১৮ সালে মেডিসিন এ নোবেল জিতেছে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, ২ টি পদক পদক এবং একটি (Gauss Prize) গৌস পুরস্কার বিজয়ী। এটি বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে এশিয়ার সবথেকে বেশি বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী হয়েছেন ।

মূলত কিয়োটো ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটি 1947 সালে বর্তমান নাম পায়। সাম্প্রতিক বছরে প্রায় 23,000 শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছে । কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ক্যাম্পাস রয়েছে – প্রধান যোসিডা ক্যাম্পাস এবং উজি এবং কাৎসুরার ক্যাম্পাস – এছাড়াও পাশাপাশি অঞ্চল রয়েছে গবেষণাের জন্য ফিল্ড স্টেশন। টিউশন খরচ আন্তর্জাতিক এবং গার্হস্থ্য ছাত্রদের জন্য একই, এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাউজিং এর সুবিধা পেয়ে থাকে ।

Canteen

সর্বোপরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের 10 টি একাডেমিক ডিভিশন স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে: সমন্বিত মানব গবেষণা, লেটারস , শিক্ষা, আইন, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, ঔষধ, ফার্মাসিউটিকাল বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও কৃষি। আন্ডারগ্র্যাডস-দের জন্য রয়েছে liberal arts ,বিজ্ঞান এর পাশাপাশি আরো বিশেষ কিছু কোর্স। কিয়োটো ইউনিভার্সিটির 18 টি স্নাতক স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান ও আফ্রিকান এলাকা অধ্যয়নের স্কুল। স্নাতক স্কুল এর পাশাপাশি রয়েছে মাস্টারস , ডক্টরস এবং পেশাদার ডিগ্রী প্রোগ্রাম অফার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার সেমিস্টারে ভিত্তিক, এবং নির্দেশ প্রাথমিক ভাষা জাপানি। কিছু ইংরেজি শেখানো প্রোগ্রামগুলি বেশিরভাগ স্নাতক স্তরের স্নাতক পর্যায়ে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং এমবিএ প্রোগ্রামে একটি প্রোগ্রাম। জাপানী ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কেন্দ্র আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং গবেষকদের জন্য 15 সপ্তাহের সম্পূরক জাপানী ভাষা ক্লাস রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ইনস্টিটিউটের কয়েকটির মধ্যে রয়েছে ,ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল সায়েন্সেস, দ্য ডিসাস্টার প্রিভেনশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং প্রিমিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

Metallurgy Division

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে বেরিয়ে দুজনে চললাম সিকো ওয়ার্ড অফিসার দিকে। কিন্তু ভাস্কর পরে বললো সিকো অফিসের কাজ ওর হয়ে গেছে এখন আমরা যাবো অভিবাসন অফিসের দিকে । অনেক পথ ঘুরে , জাপানীস-দের মোবাইল এ তোলা রাস্তার ফটো দেখিয়ে শেষ মেশ পৌছালাম অফিস এ। পৌঁছে জানলাম আমার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট ছবি চাই। নিচেই নাকি ফটো বুথ আছে , সেখানে গেলে নিজেই নিজের ফটো ২ মিনিটে তুলে জমা দিলে ওরা আমার রেসিডেন্স কার্ড হাতেনাতে দিয়ে দেবে।
আগে বলা হয়নি , তাই এখন বলছি , জাপানে রাস্তার পাশে পাশে ভেন্ডিং মেশিনের মতো রয়েছে তাৎক্ষণিক ফটো বুথ বা Purikura। যেখানে ফটো তুলতে ৬০০ থেকে ৮০০ ইয়েন মতো খরচ হয়। কয়েকমিনিট এ আপনার হাতে চলে আসবে একসাথে ৬টি পাসপোর্ট সাইজ ফটো ।

Instant Photo Booth

একটু বিস্তৃত বর্ণনা যদি দি এই ইনস্ট্যান্ট ফটো বুথের ব্যাপারে , তাহলে বলি :

আপনি আপনার সারসংকলন সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক ছবি প্রদান করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে না। জাপানে যে মান। কাজের জন্য আবেদন করার পাশাপাশি, আমরা প্রতিটি সময় ভিসা বা পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করি, আমাদের একটি সাম্প্রতিক ফটো (সাধারণত গত তিন-ছয় মাসের মধ্যে গৃহীত) প্রয়োজন।

The Instructions

জাপানে কাজের জন্য আবেদন করার পাশাপাশি, প্রতিটি সময় ভিসা বা পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করার প্রয়োজন (সাধারণত গত তিন-ছয় মাসের মধ্যে গৃহীত), এই উদ্দেশ্যে জাপান জুড়ে রয়েছে ফটো বুথ, বিশেষত স্টেশনগুলির কাছাকাছি। 500-1000 ইয়েন এবং কিছু ফটো বুথের দামগুলি অতিরিক্ত (কারণ সেলফি অথবা অভিনব beautifying ফটো প্রদান করার জন্য )। এই মেশিনগুলির বেশিরভাগই একটি ইংরেজী ভাষার বিকল্প রয়েছে, তবে যদি না থাকে তবে স্ক্রিন এ ছবি সহ ধাপ অনুযায়ী বর্ণনা দিয়ে বিষয়টি মোটামুটি পরিষ্কার ভাবে আঁকা থাকে ।কিছু ফটো বুথ দুই বা তার বেশি retakes ব্যবস্থা থাকে ।

 

 

 

মেয়ের স্কুল চালু হলে প্রায় আমি বেরিয়ে পড়তাম সাইকেল নিয়ে এদিক ওদিক। একদিন মনে হলো আমার এই খুব অল্প সময়য়ের এটি আপন -পরিচিত রাস্তা গুলো আমি যেন কখনো না ভুলে যায় , আর সেই ভাবনা নিয়ে একদিন ফোন এক হাতে নিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এই রাস্তা দোকান মুহূর্ত হয়তো অন্য সবার কাছে খুব নগন্য , কিন্তু আমার কাছে অমূল্য , আমার ভালোবাসার জায়গা।

আসল ভিডিও টি ১০ মিনিটের ও বেশি সময়ের জন্য আপলোড করা সম্ভব হয়নি , তাই একটি ছোট্ট ভিডিও আমার পাঠকদের জন্য।

 

 

<< জাপান পর্ব :২০                                                                                     পরবর্তী : ক্রমশঃ >>

                Copyright © জাপান পর্ব ২১, 2018 by M K Paul, monomousumi.com

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here