অঙ্কন: অনন্যা আলোক

২০১০ সাল, মে মাসের শেষের দিক, জ্যৈষ্ঠ মাসের দাবদাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত । জ্যৈষ্ঠ মাসের এই ক’দিন বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাইরে এত লু’ বইতে থাকে যে প্রয়োজন ছাড়া কোন জনমানুষ বাড়ি বা অফিসের বাইরে বেরোতেই চায়না । তাই এইসময় দুপুরের দিকে শিয়ালদহ মেনলাইনে আপ-ডাউন দুদিকের ট্রেনই যে মোটামুটি ফাঁকা থাকবে সেটা সৌমেন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় একটা আন্দাজ করতে পেরেছিল, আর হলও ঠিক তাই । ফাঁকা ডাউন কল্যাণী-লোকালটাতে যখন সৌমেন নৈহাটি থেকে উঠল তখন দেখল কামরাতে সবশুদ্ধু মাত্র জনা পাঁচেক লোক বসা আছে । কাজেই বেশ আয়েশ করে সামনের সিটের উপর পা ছড়িয়ে বসে বেলা প্রায় তিনটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ দমদম স্টেশনে এসে পৌঁছল সৌমেন । স্টেশনে নেমে সৌমেন লক্ষ্য করল শুধু দু’নম্বর প্ল্যাটফর্ম নয়, পুরো স্টেশন চত্বরটাই মোটামুটি ফাঁকা ।
পরনের নেভি-ব্লু জিন্সের বামদিকের পকেটটা থেকে হাল্কা-খয়েরি রঙের রুমালটা বের করে ঘামে ভিজে যাওয়া কপাল, ঘাড়, মুখ সব মুছে নিল সৌমেন । এবার হলুদ রঙের টি-শার্টের বুকপকেট থেকে গগল্স’টা বের করে চোখদুটিও ঢেকে নিল সৌমেন, নাহলে সূর্যের তেজে যেন চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে পুরো । “উফ, গরমের হল্কা বইছে যেন” নিজের মনেই বিড়বিড় করে রুমালটা পকেটে ঢুকিয়ে এবার জিন্সের ডানদিকের পকেটটা থেকে নোকিয়া N70 মডেলের ফোনটা বার করল । সাধারণতঃ N70 মডেলটা সৌমেন নিয়ে বেরোয় না । দামি ফোন চুরি যাবার ভয় থাকেই, তাই নিজের কম দামী সাদাকালো নোকিয়া 3310 মডেলটা নিয়েই কলেজে বা বাড়ির বাইরে বেরোয় । কিন্তু আজ ব্যাপার আলাদা, পিয়ার সাথে ডেট আছে, কথায় বলে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটাই হল লাস্ট ইম্প্রেশন । তাই দামি মোবাইলটা নিয়েই বেরিয়েছে সৌমেন, পিয়ার সাথে প্রথম দেখা হবে আজকে, দুজনে ফটো তুলবেনা সেটা কি হয় !
ফোনের কল-লিস্টটা খুলে পিয়ার নাম্বারটা ডায়াল করল সৌমেন । ক্রমাগত রিং হচ্ছে, পিয়া ধরছেনা । “ও আসবে তো আদৌ ?” নিজের মনেই প্রশ্ন করল সৌমেন । সে এই গরমে নৈহাটি থেকে ছুটে আসছে শুধু পিয়ার সাথে দেখা করবে বলে, সেখানে পিয়া না এলে পুরোটাই পণ্ডশ্রম । অথচ সকালবেলাতেই পিয়া সৌমেনকে মেসেজ করে নিশ্চিত করল আজকে তার আসার কোন অসুবিধে নেই, কালরাতের করা প্ল্যান অনুযায়ী সাড়ে তিনটের মধ্যে দমদম স্টেশনে পৌঁছে যাবে । তাহলে এখন ফোন ধরছেনা কেন ? কিছু কি হল ! সৌমেন আবার ফোন করল, এবারও যথারীতি ফোন বেজে বেজে কেটে গেল ।
দুপুরে বেরোনোর আগে সৌমেন পিয়ার এয়ারটেলের নাম্বারে মেসেজও করেছিল যে সে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে, মজার কথা হল পিয়া কিন্তু এবার কোন রিপ্লাই দেয়নি । সৌমেন নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ ভেবে বেরিয়ে এখন বুঝছে বিলক্ষণ ভুল কাজ করেছে । অতঃপর প্রচণ্ড দোনামনায় পড়েছে সে, একমনে মনে হচ্ছে পিয়া তাকে এইভাবে মিথ্যা কথা বলবেনা, একবছরের উপর তাদের আলাপ-বন্ধুত্ব, আরেকমনে সৌমেন ভাবছে হয়তো এখনো তাকে পিয়া ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছেনা বন্ধু হিসাবে । কোথায় সৌমেন ভাবছিল নিজেদের আলাপ-বন্ধুত্বটাকে আরেকধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেখানে পিয়া কিনা ল্যাং মারল শেষে !
হঠাৎ সৌমেনের মনে হল, “ আচ্ছা রাস্তাঘাটে বিপদ হলনা তো কোন ? ” পরক্ষণেই মনে হল, “এই দুপুরবেলা কী বিপদ হবে ? আচ্ছা কোন অ্যাকসিডেন্ট হলনা তো আবার ? না না, সেসব হবেনা, শুভ শুভ ভাবি ।” নিজের মনকে নিজেই নানাভাবে বোঝাচ্ছে সৌমেন । এবার একটা মেসেজ টাইপ করে পাঠাল পিয়াকে, “ কিরে তোকে দুবার ফোন করছি, বেরোনোর আগে মেসেজ করলাম, কোন রিপ্লাই তো দিলি না । আমি দমদমে দশ মিনিট হল দাঁড়িয়ে আছি । কথা ছিল সাড়ে তিনটের মেট্রোটা ধরব, তোর তো এখনো কোন পাত্তাই দেখছি না । কল-ব্যাক করিস । অপেক্ষা করছি আমি । ”
এইভাবে আরও মিনিট দশেক কেটে গেল, ঘড়িতে ঠিক সাড়ে তিনটে, পিয়ার কোন রিপ্লাই কিন্তু এখনো এলনা । সৌমেন এবার একটু অধৈর্য্য হয়ে উঠল, “ নাহ, এই গরমে এভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবেনা । চারটে অবধি দেখব, কোন রিপ্লাই না পেলে সোজা ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আপ ট্রেন ধরে বাড়ি ।” আস্তে আস্তে দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি একটা কোল্ডড্রিঙ্কের স্টলের কাছে এগিয়ে গেল সৌমেন । “ দাদা, একটা পেপসি দিন তো এদিকে ” হেঁকে উঠল সৌমেন ।

কিছুদিন আগেই B.Tech কম্পিউটার-সায়েন্সের ফাইনাল ইয়ারের ফাইনাল সেমিস্টার শেষ হয়েছে । হিসেবমত তাই সৌমেনকে এখন B.Tech গ্র্যাজুয়েট বলাই যায়, যদিও ফাইনাল-রেজাল্ট আর সার্টিফিকেটটা হাতে পাওয়া বাকি । তা হোক, ওগুলো হাতে পাওয়া নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই, মুখ্য চিন্তা ছিল চাকরিটা পাওয়া নিয়ে, গত-পরশু কগনিজেন্টের পুল-ক্যাম্পাসিং ছিল টেকনো গ্রুপে, সেখানেই সিলেক্টেড হয়ে যায় সৌমেন । এরপরেই ঠিক করে আর ফেলে রাখা নয়, পিয়ার সাথে দেখাটা এইবার করেই ফেলা যাক । একবছরের উপর অরকূটের মাধ্যমে আলাপ, সেখান থেকেই বন্ধুত্ব আর ক্রমে ভালোলাগা, তাই সৌমেনের মনে হল ব্যাপারটা আর ফেলে না রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ভাল । এমনিতেই ছ’মাসের মধ্যে কগনিজেন্ট জয়েনিং দিয়ে দেবে বলেছে, কোম্পানির HR ফাইনালই সিলেক্টেড নামগুলো অ্যানাউন্সমেন্টের সময় জানিয়েছিল প্রথম পোস্টিং কোলকাতার বাইরেই হবে ট্রেনিং এর জন্য । তাই সৌমেন ভাবছে কোলকাতায় থাকতে থাকতে যদি পিয়ার সাথে বন্ধুত্বটা পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে বেশ হয় । যেমন ভাবা তেমন কাজ, পিয়াকে আজকের প্ল্যানটার কথা ফোন করে গতকাল রাতে জানায় সৌমেন তবে নিজের চাকরি পাবার কথাটা বেমালুম চেপে যায়, ভাবে দেখা হলে সারপ্রাইজটা পিয়াকে দেবে ।
পিয়াও ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট, তবে দুজনের বিভাগ আলাদা আর কলেজটাও আলাদা । পিয়া ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ফাইনাল ইয়ার পড়ছে টেকনো-ইন্ডিয়াতে আর সৌমেন পড়ছে মেঘনাদ সাহা ইন্সটিটিউটে । পিয়ার ও কিছুদিন আগেই ফাইনাল সেমিস্টার শেষ হয়েছে । পিয়া এদিকে কয়েকমাস আগেই টাটা কন্সাল্টেন্সিতে চাকরি পেয়ে বসে আছে, তাই চাকরি না পেলে পিয়ার সাথে দেখা করতে সৌমেনের কেমন যেন পৌরুষত্বে বাঁধছিল, নাহলে অনেকদিন আগেই হয়তো সৌমেন দেখাটা সেরে ফেলতো । আজ কোন বাধা নেই । হোক কাঠফাটা রোদ্দুর, দেখাটা আজকে সেরে ফেলতেই হবে । কিন্তু পিয়ারই তো পাত্তা নেই ! পেপসিটা শেষ করে দামটা মিটিয়ে দিল সৌমেন । ঘড়িতে তিনটে পঁয়ত্রিশ, এক একটা মিনিট যেন একঘণ্টা লাগছে এখন ।
একবছর আগে নিজের কলেজের এক বান্ধবীর সাথে অরকূটে চ্যাট করতে করতে ওর স্ক্র্যাপবুকে ঢুকে পিয়ার কিছু কমেন্টস পড়েছিল সৌমেন, পিয়া ছিল ওই বান্ধবীর স্কুল-ফ্রেন্ড, এখনও মনে আছে পিয়ার প্রোফাইল কভারটাতে ছিল কমিক্স-ক্যারেক্টার রাজকন্যা রাপুনজেলের ছবি । হাসিও পেয়েছিল, সাথে একটু ভালও লেগেছিল । ব্যস, একটা ফ্রেন্ড-রিকোয়েস্ট পাঠানো, তারপর পিয়ার সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করা, দুজনের কথাবার্তা, বন্ধুত্ব, ফোন-নাম্বার এক্সচেঞ্জ করা সবই হল কিন্তু দুজনের দেখা হয়ে উঠল না । ক্যাম্পাসিং, চাকরি এসব নিয়ে দুজনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ল যে মাঝে দু-তিন মাস খুব একটা নিয়মিত কথাবার্তা হতনা ।
পিয়া যখন চাকরির অফার লেটার পেয়ে সৌমেনকে ফোন করেছিল, সৌমেন স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি হয়েছিল আর তারপরই কোথাও যেন পিয়াকে হারানোর ভয় একটা জেগে উঠছিল মনের গভীরে । সৌমেন তখনো চাকরি পায়নি, চেষ্টা করছে কোন মাল্টি-ন্যাশানালে চাকরি পাবার কিন্তু দুবছর আগে রেসেশানের ধাক্কা কাটিয়ে কোম্পানিগুলো কোলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ক্যাম্পাসিং করতে বিশেষ আসছে না । মাঝে তো সৌমেনের মনে হচ্ছিল চাকরি বোধহয় আর হলনা, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে অফ-ক্যাম্পাসিং এর মাধ্যমে চাকরি খুঁজতে হবে । পিয়া ততদিনে বাইরে চলে যাবে, দুজনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় জড়িয়ে পড়লে তখন অনেকবেশি কষ্ট পাবে, এই চিন্তা-ভাবনাই সৌমেনকে বাধা দিচ্ছিল পিয়ার সাথে দেখা করতে ।
পিয়া কিন্তু মাঝেমাঝে দেখা করার কথা বলত, সৌমেন কোন না কোন অছিলায় এড়িয়ে যেত । পিয়া হয়তো ভাবতো সৌমেন দেখা করার ব্যাপারে আদৌ আগ্রহী নয় কিন্তু সৌমেন জানত সে ক্রমেক্রমে পিয়াকে ভালবাসতে শুরু করেছে । পিয়ার কথাবার্তা খুব পজিটিভ এনার্জি দিত সৌমেনকে, ওর সাথে কথা বলে ভারীমনটা হাল্কা হয়ে যেত নিমেষে । মাঝেমাঝে সৌমেন ভাবতো সামনা-সামনি না দেখে কি ভালবাসা হয় ? সৌমেনের প্রোফাইলে সৌমেনের নিজের দুএকটা ছবি আছে কিন্তু পিয়ার প্রোফাইলে পিয়ার কোন ছবি নেই । তাই পিয়া হয়তো সৌমেনকে দেখে চিনতে পারবে কিন্তু সৌমেনের সেই সুযোগও নেই।
এসব ভাবতে বসে সৌমেন একটু আনমনা হয়ে পড়েছিল । হুঁশ ফিরে আসতে দেখল ঘড়িতে পুরো চারটে । নাহ, পিয়া বোধহয় আসবে না । আপ-লাইনে নৈহাটি লোকাল ঘোষণা করেছে, ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাওয়া যাক, ওভারব্রিজের দিকে পা বাড়াল সৌমেন ।

সবে মাত্র ওভারব্রিজের দিকে পা বাড়িয়েছে সৌমেন, হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েলি গলায় কেউ বলে উঠল, “ ওই ! কোথায় যাচ্ছিস ? দাঁড়া একটু । ” পিছন ফিরে সৌমেন দেখল সাদা কুর্তি আর ব্ল্যাক জিন্স পড়ে গোলগাল ফর্সা মত একটি মেয়ে তার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে খুব হাঁপাচ্ছে । সৌমেন কিছু বলার আগেই মেয়েটি বলল, “ বাসটা এইমাত্র নামাল রে, স্টেশনের নীচে । বারাসাতে কিসের একটা অবরোধ চলছে যেন, তাই আমাদের লাইনের ট্রেন চলছে না । ওদিকে কতক্ষণ বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু কোন বাস নেই । শেষে অনেকক্ষণ বাদে একটা বাস পেলাম, সেটায় করে আসতে আসতে ঘেমেনেয়ে পুরো শেষ হয়ে গেছি । ফোনটা সকালে চার্জে বসানোর সময় সাইলেন্ট করা ছিল, তাড়াহুড়োয় ভুলকরে ওটাকে আর নর্মাল করা হয়নি রে, ভেরি সরি । আমি বাস থেকে নেমেই দেখছি তুই এতগুলো কল করেছিস, মেসেজ করেছিস । আরেকটু দেরী হলে তো বোধহয় তোকে আর পেতামও না । আমি নীচ থেকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠেই তোকে দেখতে পেয়েছি । তাড়াতাড়ি ওভারব্রিজের ভরসা না করে ওপাশ দিয়ে লাইন ক্রস করে ছুটতে ছুটতে আসছি । উফফ । ” মেয়েটি তখনো বেশ হাঁপাচ্ছিল ।
মেয়েটিকে চিনতে পেরেছে সৌমেন । আরে এই মেয়েটি তো গত-পরশু টেকনোতে কগনিজেন্টের পুল-ক্যাম্পাসিং এর সময় ভলান্টিয়ারের কাজ করছিল, যদিও ওদের গ্রুপে ওর সাথে আরও কয়েকজন ছিল কিন্তু এই মেয়েটার কথাবার্তা আর ব্যবহার খুব ভালো লেগেছিল সৌমেনের, ও খুব ভাল কোঅরডিনেট করছিল গোটা ব্যাপারটা । সৌমেন জানতে পেরেছিল, মেয়েটির নাম তপতী রায়, ওই তাহলে পিয়া ? সৌমেন ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে গেছিল পুরোপুরি ।
তপতী একটু ধাতস্থ হয়ে ওর হ্যান্ডব্যাগের থেকে একটা ক্যাডবেরি বার করে সৌমেনকে দিল । “কেমন ? চমকে দিলাম তো সৌমেন বাবু ! পিয়া আমার ডাকনাম । চাকরি না পেলে যে তুই আমার সাথে দেখা করবি না সেটা অনেক আগেই আমি টের পেয়েছিলাম । পরশু আমি জানতাম তুই আসবি ক্যাম্পাসিং এ । তাই কোন চান্স না নিয়ে সোজা ভলান্টিয়ার হয়ে গেছিলাম । পরশু তোকে নিজের পরিচয় দিলে তোর আরও চাপ লাগতো, এখন আশা করি সেই চাপটা নেই । বাই দা ওয়ে কনগ্র্যাজুলেশনস । ” পিয়ার বাড়ানো হাতটা প্রথমবারের জন্য ছুঁল সৌমেন । বুকের ভেতরটা যেন ধকধক করে উঠল ।
“ চল, তাহলে যাওয়া যাক । ” সৌমেনের মুখ থেকে পিয়াকে দেখে এই প্রথম কোন কথা বেরোল আর সৌমেনের হাসিমুখটা দেখে এবার পিয়া খিলখিলিয়ে উঠল । সাবওয়ে দিয়ে মেট্রোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেই সৌমেনের মোবাইলটা বেজে উঠল, “ তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি । ”

 

কলমে  সৌমাভ  নন্দী, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ

থ্রিলার, সাসপেন্স, হরর মুখ্যতঃ এই তিনটে জনারের উপর লেখালিখি বেশি কারণ এই তিনটে জনার খুব বেশি করে টানে তবে
সোশ্যাল ড্রামা আর প্রেম নিয়েও টুকিটাকি লেখা আছে । হবি হল ঘুমানো,প্যাশন এককালে ছিল ক্রিকেট কিন্তু ধোনি আর শচিন অবসর নিয়ে নেওয়ায় ওই পাটচুকে গেছে । যদিও INFORMATION TECHNOLOGY নিয়ে B.Tech করেছে কিন্তু ভাগ্যচক্রে বর্তমান চাকরি হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক দপ্তরে সিনিয়ার অ্যাকাউন্টেন্ট এর পদে ।  “



SOURCE সৌমাভ  নন্দী
Previous article
ঘরের রং
Next articleমেঘ – বৃষ্টি
Avatar
Disclaimer: Monomousumi is not responsible for any wrong facts presented in the articles by the authors. The opinion, facts, grammatical issues or issues related sentence framing etc. are personal to the respective authors. We have not edited the article. All attempts were taken to prohibit copyright infringement, plagiarism and wrong information. We are strongly against copyright violation. In case of any copyright infringement issues, please write to us. লেখার মন্তব্য এবং ভাবনা, লেখকের নিজস্ব - কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত..................

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here