ফিরে যেতে সেই কালো সাদা দিনে
যেদিন জীবনের রং পয়সা দিয়ে
না কিনলেও ,দিন ছিল অত্যাধিক রঙিন।
সবটুকু তো মনে পরেনা , তবে মনে পরে
নিচের তলার পেয়ারা গাছটা।
কতবার যে ওই গাছের গোড়ায়
মাথা ঠুকেছে , প্রমান আজ বয়ে চলেছে
একপাশের অল্প উঁচু কপাল।
আর সামনের পিছলে কুয়োতলা ,
বলা নেই কওয়া নেই শুধুই ধপাস।
এভাবে মাথা-কপাল ফাটিয়ে-উঁচু করে
কালোসাদা দিনগুলো আজও মনে রাখার।
ঠাকুমাকেও মাঝে সাঝে দেখি ,
ওই যে কুঁজো হয়ে জল ছেটাতে ছেটাতে
মন্ত্র পরে এগোচ্ছে তুলসী তলার দিকে
আর বলছে “মনি” সরে যা সরে যা ,
ছুঁয়সা আমায় , পুজো করবো পুজো !
কাকার সাথে রোজ বিকেলে গঙ্গার ধার
আর চারানা আটানার লেনদেন ,
মেলার সব খেলনা তো ন’ কাকা
তোর দেওয়া, কত রকম গাড়ি আর রান্নাবাটি।
পিসি ছাদে গুল দিতো আর বিকেলের
রান্না, গলা জড়ালেই বলতো , আমি
চলে যাবো, কাদঁবি নাতো !! কেঁদেছিলাম;
যেদিন বিকেলের রান্না ঘর এ প্রথম খুঁজে পাইনি তাকে,
এক বুক ব্যাথ্যা নিয়ে কেঁদেছিলাম।
কালোসাদা দিনের সেই কুয়োর
কালো কালো মাছ গুলো রোজ
আজ যেন খেলতে ডাকে ,আর
রঙের কাচের জীবন বাঁধ সাঝে মাঝে।
ছোটকাকা প্রথম যে গোলাপি জামা আর
কার্ড পাঠিয়েছিল , কোনো ক্যামেরা ছাড়ায়
সে মস্তিকে মনে বন্দি আজও,ঠিক মায়ের
জমানো পয়সায় কেনা ফিলফিলে
ফিতেবাধা পয়লা বৈশাখের জামা।
দিনগুলো পিছু ডাকে , বলে কিছুভাবে
ফিরে আয় , এখানে কাঁদলে মা এর
কোল পাবি , বাড়ির উঠোন পাবি ,
কিছু না পাস নিজেকে তো খুঁজে পাবি!!
যেতে তো চাই , সেই বর্ণহীন দিনের
রঙিন মা কে খুঁজতে , পারি কই !!
ইচ্ছে হয় চুপ করে ছাদের চিলেকোঠায়
বসে রাগ দেখায়, আর!!! আরও কতকিছু !
কুয়ো – ছাদ – গাছ -উঠোন- সবারই তো
ডাক পাই , এরাই আজ ডাকে নির্স্বার্থে নীরবে ,
যাওয়া হয় না ,যাওয়া হবে না।
তবু , তারা আছে , আছি আমি;
আমার কালোসাদা দিন আর আমি।
#মৌসুমী