হঠাৎ একটা আগুনের সৃষ্টি হলো আমার ভিতর,

আর অন্তরটা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো –

একেবারে শূন্য, একেবারে নিঃস্ব !

লিখতে বসেও লেখাটা আর হলনা ।

কলমে কালিটা শুকিয়ে গেছে,

ধুলোর এক মোটা প্রলেপ জমেছে খাতার ওপর ।

চারি দিকে যখন এতো ঝড় উঠতে দেখি,

তখন মনে হয় যে একি !

কি করছিস তুই অনির্বাণ ?

তুই না বলেছিলিস যে তুই এক নতুন গাছ পূতবি ?

আর সেই গাছের সার হয়ে উঠবে তোর লেখা ?

তুই নাকি রবির মতন মন কে ছুঁবি ;

নজরুলের মতন জন্ম দিবি শত শত বিদ্রোহী ??

হৃদয় আর মস্তিষ্কের অনর্গল সংঘর্ষে

অনির্বাণ, তুই আজ খুব ক্লান্ত, তাইনা ?

এতটাই ক্লান্ত যে তোর কলমের ওজন হয়ে উঠেছে এক পৃথিবী !

এই পৃথিবীটাকেই তো খোঁজার জন্যে একদিন হারিয়ে গেছিলিস তুই ।

অচেনা শহরের অচেনা রাস্তার অচেনা কোনো এক স্ট্রিটলাইটের তলায়,

ছবিটা কিন্তু চেনাই রয়ে গেছে –

কত হাজার হাজার ভাঙা কাঁচের টুকরো আজও সেখানে পরে –

কোনোটা রবীন্দ্রনাথ, কোনোটা নজরুল, কোনোটা হয়তো মাইকেল, কোনোটা বা সুকান্ত !

এই এতো ভাঙা কাঁচের টুকরো গায়ে বিঁধে

তুই নিজের স্বপ্নটাকে কিকরেই বা আগলে রাখতে পারতিস !

হায় রে অনির্বাণ ! পৃথিবীটা কে খুঁজে পেলেও দিগন্তে গিয়ে আকাশটা আর মিলল না !   

কলমে ময়ূখ গোস্বামী

Participate in Creative writing Contest & International Essay Contest and win fabulous prizes.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here