বসন্তের ছন্দে খোঁপায় বাগান সাজিয়ো কোনোদিন, মীনাক্ষী!
উন্মাদ কালবৈশাখীতে ছন্নছাড়া হয়ে ধুলোবালি মেখো সুযোগ পেলে|
শীতের অলস সাদায় হিমের গন্ধ ফুসফুসে ভরে রেখো কিছুক্ষন| তারপর,
এই অনুভূতিগুলো শিশির দিয়ে এঁকে রেখো যেকোনো ঘাস-ভেজা মাঠে!
মেঠো গন্ধের কোনো এক ঠিকানা থেকে ফুটে ওঠে সহজাত সবুজের লড়াই!
একটা সবুজ রেনেসাঁর গল্প বলতে মোড়কের কেশর ছেড়ে জেগে ওঠে সে|
একগুচ্ছ ঝরাপাতার আনাচে-কানাচে যেই ছোট-ছোট অন্ধকার লুকোচুরি খেলে,
সেইখান থেকে জন্ম নেয় পৃথিবীর আরেক গল্পকথা! একটা সবুজ শিল্পের আবির্ভাব ঘটে!
তুমি নিশীথের নির্বিকার নিদ্রায় তখন মগ্ন থাকো! রাতের নিভৃত নীরবে,
নিঃশব্দে আগুন জ্বেলে আমি তোমার সবুজ স্বপ্ন সাজাই!
তুমি যে ক্লান্তহীন ক্লান্তি মেখে ঘুমিয়ে থেকেছো কতরাত! আমি সবুজের টুকরো কুড়িয়ে,
যা পেয়েছি এদিক-ওদিক থেকে, রাত জেগে জোগাড় করে সেগুলো করেছি সেলাই!
চোখের পাতা ফেলিনি এতটুকু, শুধুমাত্র গাছের সবুজ-পাতা এঁকে জোড়া লাগাবো বলে!
একথা তোমার অজানা, মীনাক্ষী! তুমি প্রভাতে চোখ মেলে দেখেছো,
কেউ বুনে গেছে একগুচ্ছ সবুজ রং তোমার মেঠো গন্ধের চিত্রপটে| মীনাক্ষী,
তুমি কি কোনোদিন আমার মতো পেঁচা, কিংবা, নিশাচর-কিছু সেজে,
বুনতে চাও সবুজ সুতো একসাথে? গাছের পাতা আঁকতে চাও কি?
মেঠো শুকনোয় খানিকটা নীল শীতল ঢেলে, সাজাতে কি চাও সবুজ, তার ফাঁকায়?
কলমে রত্নদীপ প্রামাণিক, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
বর্তমানে, গবেষণারত| কবিতা লিখতে ভালোবাসি, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমার লেখা কবিতা পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে!