পৃথিবী মহামানবদের আগমনের ফলেই প্রকাশ করে তার আপন ঔজ্জ্বল্য। অন্ধকারের মধ্যেও সূক্ষ্ম আলোক রেখার সূচনা করেন তারা। মানুষকে আলোর দিকে নিতে মহামানবেরা আত্মোৎসর্গও করতে প্রস্তুত থাকেন। পৃথিবী চায় এসকল মানুষদের। তাঁরা নিজ কর্মগুণে স্মরণীয় ও বরণীয় থাকেন মানুষের মাঝে। মৃত্যুর পরেও তারা থাকেন অমর হয়ে। পৃথিবীতে আলোর বার্তা নিয়ে যারা উপস্থিত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকে তাদের কাজের স্বাক্ষর দিয়ে স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বের বুকে। বাঙালি জাতিরও গর্ব করার এমন একজন মহান নেতা আছেন যিন্ না থাকলে বাঙালি নামক কোনা জাতির অস্তিত্ব টিকেই থাকত না। তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু যদি বাঙালিদের স্বাধীনতার জন্য অণুপ্রাণিত না করত তাহলে আজও বাঙালি সমাজ পরাধীনতার কালো অন্ধকারে ডুবে থাকত। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজও শত শত নিরীহ বাঙালি হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো পাশবিক আচরণের শিকার হত। বাঙালি সত্তাকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করার মাধ্যমে যিনি নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন এবং কারাবরণ করতেও পিছপা হন নি, তিনিই বাংলার মহান নেতা, স্বাধীনতার আহ্বায়ক এবং হাজারো বাঙালির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার মৃত্যুর ৪৫ বছর পরও তিনি প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে আছেন অমর হয়ে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও পরিচয়:
বিশ্বর কোনো কোনো দেশ বা রাষ্ট্রের জীবনে এমন দু একজন ক্ষণজন্মা পুরুষের আবির্ভাব ঘটে যাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সে দেশের মানুষের কাছে সৌভাগ্যের দরজা উন্মোচন করে দেয়। তারা পরাধীন দেশবাসীর জীবনে মুক্তি এনে দেন, দুর্যোগের ঘনঘটা দূর করে তাদের হাতে স্বাধীনতার সূর্য পতাকা উপহার দেন। বঙ্গবন্ধু তাদের মধ্যেই একজন। শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। তিনি ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মায়েরা নাম সাহেরা বেগম। বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিল খোকা।
বঙ্গবন্ধুর বাল্যকাল:
বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা কাটে গ্রামের স্নিগ্ধ শ্যামল পরিবেশে। ছেলেবেলা থেকেই তিনি সাহস এবং দায়িত্ববোধের জন্য সকলের কাছে স্নেহভাজন ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে পড়ার সময় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এই স্কুল পরিদর্শনে আসলে তিনি তার স্কুলের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ছাত্রাবাসের পানির ট্যাংকি ছিদ্র থাকায় পানি পরত এবং ছাত্রদের সমস্যা হত। তিনি উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করেন। তখন তিনি তার সাহসীকতার পরিচয় দেন এবং পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে নির্ভীকভাবে যোগদান করেন।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও বিবাহ:
বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন সিভিলকোর্টের সেরেস্তাদার। তাদের পরিবারটি মধ্যবিত্ত ছিল। পিতার কর্মস্থল মাদারীপুরে শেখ মুজিবরের লেখাপড়া শুরু হয়। অতঃপর তাকে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। সেখান থেকে ১৯৪১ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় যান। তিনি ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে আই.এ এবং ১৯৪৭ সালে বি.এ পাশ করেন।
তিনি ১৯৩৯ সালে তার চাচাতো বোন ফজিলাতুন নেসা রেনুকে বিয়ে করেন, কিন্তু বিবাহ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ছিল অতীব চমকপ্রদ। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অতঃপর প্রথমে গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের সম্পাদক এবং পরে সাবেক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে তিনি ছিলেন ঐ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মী। তারপর ১৯৪৯ সালে গঠিত হলো আওয়ামী মুসলিম লীগ। তিনি এই দলের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ক’ বছর পর১৯৫৩ সালে সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব:
পাকিস্তান সৃষ্টির শুরু থেকেই এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব করা হলে পূর্ব বাংলার জনগণ এর তীব্র বিরোধীকা করে। ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে যখন পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় তখন এ বিতর্কটি আবার শুরু হয়। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেয়া হসে পূর্ব হাংলায় প্রত্বাদের ঝড় ওঠে। ভাষার দাবি রক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করে “ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ”। “ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” স্লোগানসহ মিছিল, মিটিং ও পিকেটিং করা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু, অলি আহাদ সহ ঊনসত্তর জনকে গ্রেফতার করা হয়। কারাবন্দী শেখ মুজিব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী কর্মসূটী পালনের ঘোষনা দেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হতে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ভাষার দাবিতে অনশন শুরু করলে আন্দোলন তীব্র হয়। অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারী চূড়ানিত আন্দলন হয় এবং অনেকে নিহত হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালের ২১ শে নভেম্বর স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের ইতি ঘটে। বঙ্গবন্ধুর অবদানেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর শহিদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পায়।
ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান:
পাকিস্তানিরা নানাভাবে বাঙালিদের ওপর বৈষম্য শুরু করেছিল। তাই বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষায় ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:
(১) পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার হবে।
(২)কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে দুটি বিষয় থাকবে ; প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
(৩) সারাদেশে অবাধে দুটি ভিন্ন মুদ্রা থাকবে বা একই মুদ্রা শর্ত-সাপেক্ষে ব্যবহৃত হবে।
(৪) সকশ প্রকার কর ধার্যের ক্ষমতা থাকহে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।
(৫) অঙ্গরাজ্য গুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার মালিক হবে।
(৬) পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আধা সামরিক বাহিনী গঠন করা হবে।
৬ দফা দাবিগুলো ছিল বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক অধিকারের প্রত্যয়। এ কর্মসূচী বাঙালীদের জীতীয় চেতনায় বিষ্ফরন ঘটায়। স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। কিন্তু আইয়ুব খান একে বিছিন্নতাবাদী কর্মসূচী বলে ও বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনের নামে মামলা করে।
গণ-অভ্যুথ্থানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব:
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি না মেনে তার সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধ দায়ের করা হয় ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা। মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ত্রিপুরায় গিয়ে বাংলাকে বিভক্ত করীর পরিকল্পনা করছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে। তারা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা সহ তাদের ১১ দফা নিয়ে মাঠে নামে। অবশেষে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ঈইয়ুব খান সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এবং আইয়ুব খান তার সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা দিয়ে পদত্যাগ করেন। এতে বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও বঙ্গবন্ধুর অবদান:
ইয়হিয়া খান ক্ষমতা হাতে পেয়েই সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন পায়। অন্যদিকে পি. পি. পি. ( পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি) পায় মাত্র ৯ টি আসন। বঙ্গবন্ধুর যথাযথ প্রচার, দলের সমন্বয় ও সততার জন্য তারা বিজয়ী হয়। কিন্তু তারপরেও তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় না। এতে বাঙালিরা ক্ষুব্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে।
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণ:
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের কর্মকাণ্ড দেখে বুঝেছিল এরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই তিনি ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে বাংলার ২৪ বছরের কলঙ্কিত ইতিহাস ও বাঙালিদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। তিনি ,
“ এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম”
বলে সুস্পষ্টই যুদ্ধের আহ্বান যানান। এতে সর্বস্তরের মানুষ অণুপ্রানিত হয় এবং যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু:
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পুরো বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং যুদ্ধ পরিচালিত হয়। বাঙালিদের মুক্তিবাহিনী ও ভারতের মিত্রবাহিনী মিলে গঠন করে যৌথ বাহিনী। ভারত ও রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক সহায়তা করেছিল। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধর পর আমরা শাভ করি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা আমাদের একটি নতুন রাষ্ট্র উপহার দেয়। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি স্থান করে নেয়।
বঙ্গবন্ধুর অবদান:
বঙ্গবন্ধু জাতির অবিসম্বাদিত নেতা। দেশ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৯৭২ সালে তিনি নতুন সংবিধান চালু করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা করেন। ফলে, বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধ পায়। তিনি ৩০ লাখ শহিদদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়। প্রায় ৩ লাখ ধর্ষিত মা-বোনেদের বীরাঙ্গনা উপাধি দেন। তিনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গড়ায় ভূমিকা পালন করেন। ৩৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবদান স্বরূপ বিশ্ব শান্তি সংস্থা তাকে “ জুলিও কুরী” পদক দেয়।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু:
বঙ্গবন্ধু কতিপয় দেশদ্রোহীদের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ধানমণ্ডির বাসভবনে সপরিবারে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে এখনও বিধ্বস্ত পুরো বাংলাদেশ। হাজারো বাঙালির প্রাণে ধ্বনিত হয়,
“ যদি রাত পোহালে শোনা যেত,
বঙ্গবন্ধু মরে নাই,
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা,
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা
বাংলার অধ:পতন:
বঙ্গবন্ধু তার ঐকন্তিক সাধনায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। কিন্তু তার মৃত্যুতে বাংলা আজ নির্মম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সিলেট ও নোয়াখালী জেলায় নির্মমভাবে দুজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়ট এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। এর বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাদেশ আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, ফানুস উড়ানো, আন্দোলন, ধর্ষকের ফাসির দাবিতে শেষ হয় সংগ্রাম। কিন্তু ধর্ষণ হয়েই চলে এবং ধর্ষকও নির্দিধায় ঘুরে বেড়ায় সমাজে। প্রতিকার হয় না এই পাশবিক অত্যাচারের। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাংলাকে এসকল অমানুষেরা ঘিরে ফেলেছে। কোথায় আমাদের স্বাধীনতা, কোথায় মা-বোনদের সম্ভ্রমের নিরাপত্তা? এই কি আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন বাংলা?
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনে জনগনকে যে আপোষহীন সংগ্রামের জাক দিয়েছিলেন তার ফল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধু বাঙালির গর্ব, বাঙালির অহংকার। বাঙালি জাতি কখনোই তাঁকে ভুলবে না। বঙবন্ধু আমাদের লাল-সবুজের পতাকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে তা চিরদিনই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুকে চিরদিন হৃদয়ের মনিকোঠায় ঠাঁ দেবে। বাঙালির মনে,
“ যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, গৌরী বহমান,
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবর রহমান।”
কলমে নাহিয়ান তাসনিম নায়লাহ্, ঢাকা, বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী
Nice
[…] বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু … SOURCEকলমে পূজা রায় Previous articleহোলি এবং দোলযাত্রা | ইতিহাস ও উৎযাপন “মন ও মৌসুমী”https://monomousumi.com/bengaliDisclaimer: Monomousumi is not responsible for any wrong facts presented in the articles by the authors. The opinion, facts, grammatical issues or issues related sentence framing etc. are personal to the respective authors. We have not edited the article. All attempts were taken to prohibit copyright infringement, plagiarism and wrong information. We are strongly against copyright violation. In case of any copyright infringement issues, please write to us. লেখার মন্তব্য এবং ভাবনা, লেখকের নিজস্ব – কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত……………… […]