কাজটা ঠিক সময়মতো শেষ করতে পারল না বিকাশ। শেষ ট্রেনটা রাইট টাইমেই স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। মাত্র একমিনিটের জন্য ট্রেনটা ধরতে পারলো না বিকাশ। কি দূর্ভাগ্য!  স্টেশন দাড়িয়ে মাথায় হাত বিকাশের। এবার ? রাত ৯ টা।অফিসটাও বন্ধ হয়েগেছে সাড়ে ৮ টায়। আসলে ৮ টায় অফিস বন্ধ হয়। বিকাশের জন্যই সাড়ে ৮ টা প্রযন্ত খোলা রেখেছিলো অফিসটা। কোন হোটেলে গিয়ে উঠতে হবে তাকে। কিন্তু কোথায় যাবে ? তারকাছে তো এ এক নতুন জায়গা।  স্টেশন এ সিঁড়ি থেকে নামতেই একটা একচোখো রিক্সাওয়ালা হাঁসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে বললো , “ কি বাবু হোটেলে যাবেন – আসুন ভালো হোটেলে নিয়ে যাব” — কি করে জানলে আমি হোটেলে যাব ? আমার বাড়িও তো এখানে থাকতে পারে। — বাবু আমরা লাগেজ আর হাঁটাচলা দেখলে বুঝতেপারি কে কোথায় যাবে।আবার সেই বিচ্ছিরি হাঁসি।চারদিকে তাকালাম। আশেপাশে একটাও হোটেল নেই। একটা টোটো রাখা আছে কিন্তু তাতে কোন ড্রাইভার নেই। বেশদূরে একতা ছোট দোকান থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। হয়তো চায়ের দোকান। নিরুপায় হয়ে রিক্সায় চড়ে বসলাম। প্রচণ্ড জোরে চালাতে লাগলো সে , ঠিকযেন টোটো। — আস্তে চালাও ভাই।                                                                                         — হোটেল অনেক দূরে বাবু , আস্তে চালালে অনেক সময় লেগেযাবে।
কেমন জায়গা রে বাবা! একটাও দোকান আশেপাশে চোখে পড়েনা। মাঝে মাঝে তারাদের অল্প আলোয় বাঁশের মতো ঝোপ-ঝার অনুভব করা যায়। কখনো ঝিঁঝিঁ পোকার ঐকতান কানে আসে বিকাশের। সবমিলিয়ে একটা গা ছমছমে আবহাওয়া। — আমাকে কোথায় নিয়ে চলেছ ভাই ?— ঐ যে দেখুন বাবু এখানকার সবচেয়ে বড়ো হোটেল। দূরে একটা ঝা চকচকে হোটেল দেখতে পেল বিকাশ। কেউ বিশ্বাস ই করতে পারবেনা এই জাইগায় এতোবড়ো হোটেল থাকতে পারে। বুকে প্রান এল বিকাশের। হোটেলের সামনে এসে দাড়িয়ে পড়লো রিক্সাটা। রিক্সা থেকে নেমে মানিব্যাগটা বেরকরতে যাবে বিকাশ , এমন সময় দেখল হুস করে উধাও হয়েগেল রিক্সাটা। থতমত খেয়েগেল সে। একিরে বাবা! ভাড়া না নিয়েই চলেগেল। হঠাৎ পেছনথেকে বেশ গম্ভিরভাবে কে যেন বলে উঠলো , “রিক্সাওয়ালাটাকে খুঁজছেন ? ওরসঙ্গে আমাদের কন্ট্রাক্ট আছে। ও ভাড়া আর কমিশন আমাদের থেকে নেয় , ভেতরে চলে আসুন।’’ কে বললো রে বাবা ? তবে আওয়াজটা হোটেলের ভেতরথেকে এসেছে এটা বুজতে পারলো বিকাশ। ভয়ভয়ে গেটদিয়ে ভেতরে ঢুকল সে। দেখতে পেল বছর ৮০ র রিসেপসনিষ্ট চেয়ার টেবিল নিয়ে বসেআছে। ইয়া বড়ো বড়ো পাকানো গোঁফ। চোখ দুটো বেশ লাল। মদ খেয়েছে বোধহয়। হাজারটা ভাঁজ পরা গালটার ওপরে চোখদুটো কোটরে ঢুকেগেছে অনেকটা তাই ঠিকমতো দেখা না গেলেও লালাভ আভাটা বোঝাযায়। বেশ গম্ভীর শ্বরে বললো , “ আপনি একা কেন ? আমরা তো একজনকে হোটেল ভাড়া দিইনা।’’ — একটা কম্পানির কাজে এসেছিলাম , কাজ শেষকরতে দেরী হোলো। শেষ ট্রেনটা মিস করলাম। তাই রাতটুকু কাটাব। — কিন্তু সিঙ্গেল রুম ডবোল বেড নিতে হবে। চার্জটা একটু বেশি পরবে।— কতো ? — হাজারটাক। এখন দিতে হবেনা , কাল যখন যাবেন তখন দেবেন।— ঠিক আছে। ঘর কোনটা ?চামচিকে,,,,,,, এদিকে আয়।একটা কালো শুকনো চেহারার ছেলে সাদা চাদর আর সাদা বালিশের তোয়ালে নিয়ে হাজির হোলো।— ৯ নম্বর ঘরে বাবুকে নিয়ে যা। সবকিছু দেখিয়ে বুঝিয়ে দিস।কালো ছেলেটা বিকাশকে নিয়ে দোতলার একটা কনার ঘরে নিয়েগেল।ঘরটা খুলতেই বিচ্ছিরি একটা বাজে গন্ধ নাকে এলো বিকাশের। ঠিক যেন কিছু পচে গেলে যে গন্ধটা হয়। দরজার আওয়াজ শুনে মনে হোলো ঘরটা অনেকদিন খোলাই হয়নি। — কি ব্যাপার ভাই , এতো গন্ধ কিসের ? এরকম ঘরে থাকা যায় নাকি ? — আর কোন ঘর খালি নেই বাবু। সব বুক আছে। একটা আছে চারতলায়। যাবেন ?— না না না থাক। অতো উঁচুতে যাবনা। আমাকে জলদিয়ে যাও।— সব পাবেন বাবু এক এক করে। চামচিকে চলে গেল। সাদা চাদর পাতা বিছানায় হাত-পা ছড়িয়ে বসলো বিকাশ। তবু সেই গন্ধটায় গা গুলিয়ে যাচ্ছে যেন। বিছানায় উঠে জানলাটা খুলল বিকাশ। ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে কপাট গুল খুলতেই একটা বড়ো সড়ো টিকটির কঙ্কাল পড়লো বিছানায়। তারপর বেশ সুন্দর ফুরফুরে ঠাণ্ডা বাতাস ভেতরে ঢুকে বিকাশকে যেন অক্সিজেন দিল।ওহ , কি আরাম। দমভর শ্বাস নিল বিকাশ।— বাবু , জল।চামচিকে একটা ট্রেতে চা , জলের জগ , দুটো টোস্ট সাজিয়ে নিয়ে এসেছে। টেবিলে সেগুলো সাজিয়ে রেখে চামচিকে খোলা জানালাটার দিকে কটমত করে তাকিয়ে বললো , “ ঘুমানোর সময় ঐ জানালাটা বন্ধকরে নেবেন বাবু , রাতে পোকা মাকড় আর চামচিকের বড়ো উপদ্রপ এখানে। ’’ — ঠিক আছে , খাবার কি পাওয়া যাবে ভাই ?— যা বলবেন তাই পাবেন। তাড়াতাড়ি বলুন , আমি বাড়ি চলেযাব। — যদি কিছু লাগে কাকে ডাকবো ? — আমি গেলে কালু আসবে। রাত্রে ঐ এখানে থাকে।— চারটা রুটি আর একটা সবজি হলেই হবে এখন।চামচিকে চলে গেল। ওর পা টা অদ্ভুত , একটু বেশি বাইরের দিকে বেঁকানো। বিকাশের একটু ভয় ভয় করতে লাগলো। জানলাদিয়ে বাইরে তাকালো সে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। গ্রাম না শহর কিছুই বোঝা গেলনা। একটাও আলো জ্বলছে না। আকাশে চাঁদও নেই। অমাবস্যা বোধহয়।বিকাশ আরো আশ্চর্য হোলো , এই চারতলা হোটেলে একটুও সাড়া সব্দ নেই! সবাই কি ঘুমিয়ে পড়েছে ? চামচিকে তো বোললো সব ঘর বুকড আছে ,তাহলে?— বাবু , আপনার খাবার। চামচিকে চলে এলো হাঁসি মুখে। কিন্তু তাকে দেখে আঁতকে উঠলো বিকাশ। গলার কাছে বেশ গভীর একটা গর্ত। কিছুবলার আগেই চামচিকে বিকাশকে বোললো , “ লোহার রড ঢুকে গেছে বাবু , ও ঠিক হয়ে যাবে ’’। আরো কিছুবলার আগেই চামচিকে চলে গেল।এর আগে ঘর খুলতে যখন এসেছিলো তখন তো এই গর্তটা ছিল না। তবে কি ঘটনাটা এর মধ্যেই ঘটেছে ? তাতে ও এতো স্বাবাভিক কেন ? মনে হাজারটা প্রশ্ন বিকাশের। খাবারটা ঠিকমতো টেবিলে রাখতে যাবে , এমন সময়ে জানলায় কি একটা শব্দ হোলো। তাকিয়ে দেখে একটা বড়ো চামচিকে জানলাদিয়ে ঢুকে ওপরে সিলিং এ চরকির মতো পাক খেতে শুরু করেছে। দেখতে চামচিকের মতো হলে কি হবে তার মুখটা বেশ বড়ো – বাদুরের চেয়েও বড়ো। চোখদুটো ভয়ানক লালচে। দাঁতগুলো অনেকটা বেরোনো। ছোটবেলায় ভ্যাম্পায়ারের গল্প বিকাশ অনেক পড়েছে। বিদেশী গল্প। ওসব এখানে বর্ধমানের এই ছোট জায়গায় আসবে কিভাবে। কিছুক্ষন ঘুরপাক খাওয়ার পর সেই ভয়ঙ্কর দর্শন বাদুরটা নিজের থেকেই বেরিয়ে ছলেগেল ,আর বিছানায় টপ্ টপ্ করে দু ফোঁটা রক্ত ঝরে পড়লো। ধপ্ করে বিকাশ বিছানায় বসে পড়লো। সামনের টেবিলে চামচিকের দেওয়া খাবার – চারটে রুটি , মেশানো তরকারী আর একটু আঁচার আর বিছানায় আরএক চামচিকের দেওয়া দু ফোঁটা রক্ত। সবকিছু কেমন যেন গুলিয়ে গেল বিকাশের। কি সব ঘটে চলেছে তার সাথে। চামচিকের চেহারা দেখে ঐ খাবার খাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই তার। তাড়াতাড়ি জানলাটা লাগিয়েদিয়ে টেবিলের কাছে বসতেই হঠাৎ কারেন্ট চলেগেল। পুরো ঘোড়টাই অন্ধকারে ডুবে গেল। মোমবাতি জ্বালানোর কোন ইচ্ছেই নেই তার। আলাতে সেই ভয়ঙ্কর বাদুরমুখো চামচিকে আর গলায় গভীর ক্ষত ওয়ালা মানুষ চামচিকের যে দৃশ্য দেখেছে বিকাশ তাতে অন্ধকারটাই ভালো লাগছে তার। এরপর হঠাত কখন যে ও ঘুমের কোলে ঢলে পড়লো টা সে নিজেই জানেনা। হঠাত মাঝরাতে একটা গোঙানির শব্দে ঘুমটা ভেঙেগেল তার।কানপাতল বিকাশ। ঠিক কুকুর যেমন কেঁদে ওঠে অনেকটা ওইরকম। তবে আওয়াজটা খুব কাছথেকেই আসছে যেন।জোরকরে ঘুমোনোর চেষ্টা করলো বিকাশ। নাহ , আবার সেই আওয়াজ। এবার মনে হোলো এটা মানুষের। দমবন্ধ হয়ে আসলে যে আর্তনাদ গলাদিয়ে বেরয় ঠিক ঐ রকম। তবে আশেপাশে কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে ? জানলাটা খুলে দেখবে নাকি একবার ?না , চামচিকে বারণ করেগেছে। আবার চুপচাপ পরে থাকলো বিকাশ। বুকে হনুমান আর রামচন্দ্রের ছবি ওয়ালা লকেটটা হাতেনিয়ে বারকতক রামের নাম আর হনুমারের নাম করেনিলো সে।বিপদে আপদে এই নাম নাকি খুব কাজে দেয়। নাম করতে করতে আবার সামান্য তন্দ্রা এলো তার। হঠাৎ বিকট একটা শব্দ শুনলো বিকাশ। কিছু ভেঙেপড়ার শব্দ এর আগে কোনদিন সে শোনেনি। সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর গোঙানির শব্দ। একসঙ্গে অনেক লোক বাঁচার জন্য চিৎকার করতে শুরু করলো এবার। ধরপড়িয়ে উঠলো বিকাশ। ভয়ে লকেটটা সজোরে হাতের মুঠোয় চেপে ধরলো সে। তারপর হঠাৎ আওয়াজ গুলো থেমে গেল। ঘরের লাইটটা এবার নিজের থেকেই জ্বলে উঠলো। তবে তার তীব্রতা অনেক কম। সেই আবছা আলোতে বিকাশ যা দেখলো টা সে ভাবতেও পারেনি। ডবোল বেডের বিছনাতে পাশেই একটা মানুষ। গোটা শরীরটা চিরে চাপটা হয়ে গেলেও মাথাতা অক্ষত, তবে খুলিতা বেরিয়েগেছে। গালের পাশথেকে গল গল করে রক্ত বেরহয়ে সাদা চাদরটা একেবারে ভিজিয়ে দিয়েছে। কিছুই বুঝতে পারলোনা বিকাশ। মাথাতা বন বন করে ঘুরতে শুরু করলো। ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লো সাথে সাথে। তারপর আর কিছুই জানেনা সে। জ্ঞান ফিরলো তখন ভোর হয়ে গেছে। কিন্তু সে এখানে এলো কি করে ? একটা ভগ্নস্তূপটা পাশে শুয়ে আছে সে। ডানহাতে তখনো লকেটটা চেপে ধরা আছে। পাশে ডেলিপাসেঞ্জারির ব্যাগটা। তাড়াতাড়ি ব্যাগটা হাতে নিয়ে দাঁড়ালো সে। বুকের ধকধকানিটা তখনো বেশ প্রবল। কমরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। কোনরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো বিকাশ। আশেপাশে কেউ কোথাও নেই। দূরে একটা চায়ের দোকান। তাতে দুটো লোক বসে চা খাচ্ছে। ভাবলো সেখানে যাবে। কিন্তু ততক্ষনে দূরথেকে একটা টোটো আসতে দেখলো সে।টোটো ওয়ালাটা কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, “ কোথায় যাবেন বাবু ? ’’— স্টেশন যাবে ? — সে তো অনেক দূর বাবু , পঞ্চাশ টাকা নেবো।টোটোতে উঠে বসলো বিকাশ। খুব খুশি হোলো টোটোওয়ালা। সকাল সকাল পঞ্চাশ টাকা ওর কাছে অনেক মনে হোলো।ভগ্নস্তূপটা দেখিয়ে বিকাশ টোটোওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলো , “ এটা কি ভাই ? ’’টোটোওয়ালার মুখে এবার ভয়ের চিহ্ন। কানদুটো লাল হয়েগেল তার।— এটা একটা বিরাট হোটেল ছিল বাবু। বছর তিনেক আগে বোম ব্লাষ্ট হয়ে গোটা হোটেলটাই ভেঙে পরে। যারা হোটেলে ছিল সবাই মারাযায়। সেইথেকে যায়গাটা ভূতেদের আড্ডাখানা হয়েযায়। আপনি এখানে কি করতে এসেছিলেন বাবু ? — ও কিছুনা , একটা কাজে এসেছিলাম।— আমাকে লুকাচ্ছেন বাবু ? নিশ্চয়ই খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন। — না না। একটা কম্পিউটার কম্পানির কাজে এসেছিলাম। — যারা খোঁজখবর করতে এসেছিলো তারা কেউ ফিরে যাইনি বাবু ,তারাও মারা গেছে। বিকাশ আর কিছু বলতে পারছিলোনা। গতরাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা গুলো তাকে ক্রমশঃ গ্রাস করছিলো যেন। প্রেসারটা আবার বেড়েগেল।— ভাই তোমার কাছে জল আছে ? — হ্যাঁ বাবু এই নেন।টোটোওয়ালা সিটের তলাথেকে বোতল বারকরে দিল। ঢক ঢক করে বেশ কিছুটা জল খেয়ে বিকাশ জিজ্ঞাসা করলো, “ বোমটা ফাটলো কি করে ? ’’ — একজন লোক বোমভরতি সুটকেস এনেছিল, আর হোটেলের দোতলায় উঠেছিলো কিন্তু রাতে কোন কারনে সুটকেসটি ফেটে যায়, আর গোটা হোটেলটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় বাবু। বিকাশের গলাদিয়ে আর আওয়াজ বের হচ্ছিলনা। শুধু বোললো, “ তুমি কি করে জানলে এসব ? ’’— আমার ছোট ভাই কালু এই হোটেলে কাজ করতো সেও মারাযায় বাবু।এক এক করে সবকিছুই যেন পরিষ্কার হয়েগেল বিকাশের কাছে। স্টেশন এসেগেল।— নামুন বাবু। রাতে এই স্টেশনে এলে টোটো করে কোথাও যাবেন, রিক্সায় ভুলেও চড়বেন না। এখানে একটা রিক্সাওয়ালাকে রাতে দেখাযায় – সে সবাইকে ঐ খানেই নিয়ে যায় কারন সে ঐ হোটেলর তলায় চাপা পড়ে মারা যায়।বিকাশ পঞ্চাশ টাকা টোটোওয়ালার হাতে গুঁজেদিয়ে টিকিট ঘরের দিকে হাঁটে।মাথাটা তার হিম হয়েগেছে। টোটোওয়ালা টার শেষ কথাটা শুনে। তার কানে বেজে চলেছে সেই একচোখো রিক্সাওয়ালার সেই বিচ্ছিরি হাঁসির আওয়াজ।

কলমে শঙ্কর নাথ প্রামাণিক, মালদা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here