অবোধ আবেগের ভীড়ে —
কুয়াশারা কাটাঘুড়ির মতো ছিটকে যায়,
কিছুতেই আটকাতে পারিনা তাদের
জীবন কি মুহূর্তের চেয়েও দামী!
বুঝতে পারিনা…
দিনবদলের ভীড়ে জোনাকিরা হারিয়ে গেছে ..
তাদের খুঁজে পাচ্ছিনা ঠিক।
তপোবনের আলোছায়া শ্বাপদসম হাঁটছে…
একটু একটু করে গিলে খাচ্ছে উদ্বায়ী বাস্তবতা,
মুক্তির উপায় দেখতে পাচ্ছিনা কিছুতেই।
আদপে কি মুক্তি পাওয়া যায়!
স্বাতীনক্ষত্রের জলে ইচ্ছেরা ভিজে গেলে —
তুলে আনা যায় বুঝি অমোঘ শৈশব!
জানিনা, কখনো জানতে চাইনি ঠিক।
বিধাতার দরবারে ‘ দাখিল করিনি নিরবতার আপিলনামা ;
ধুলো হওয়া দস্তাবেজ সময়ের গল্প বলতে পারেনা কক্ষণো।
শব্দেরা রোজ মিছিল করছে, শ্লোগান দিচ্ছে দিনবদলের…
কেউ তো শুনতে পাচ্ছেনা!
জিঘাংসাস্রোতে ভেসে যাচ্ছে হিসেবখাতার কালি, আটকানো যাচ্ছেনা।
তবুও স্বপ্ন দেখি…
বিষাদকণিকার ভেতর থেকে উত্থিত এক মেঘবালিকার স্বপ্ন,
আঁচলে যার বিদ্যুৎ পোষা থাকে।
ধ্বংস হোক, চুরমার হয়ে যাক সাবেক সামাজিকতা…
বোবারোদ থমকে দেখুক ঈশ্বরীর রক্তচক্ষু,
পলায়নপর কবিতার শৃঙখল ভেঙে যাক সীমান্তঘোষে।
কবিতারা নিষ্ঠুর হলে বিষাদ কেটে যায়…
বিপ্লব ফিরে আসে নৈতিক আক্রোশে,
স্মৃতিমেঘ তখন বৃষ্টি ঝরায়, খোলা জানালায় বাসন্তীরোদ ফিরিয়ে আনবে বলে।।
কলমে রিয়া ভট্টাচার্য, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর