নীরবতার ভাষা দুর্বোধ্য মনে হয়,
তাকে পাঠোদ্ধার করতে.নিজেকে আগে
ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে ;
নীরবতা কখনও অনেক কথা বলে
মগ্নতায় তাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে হয়,
অনুভবের উঠোনে তাকে স্পর্শ করে
ভালবাসে,
যখন নীরবতা মনে করে,
তাকে পড়তে আসা “মন”
একেবারেই অন্যরকম,
আর পাঁচটা মনের মতো নয় ;
হিসেবী নয় একেবারেই
কোন বাজারী ক্রেতা নয়–
সেই মন একজন শিল্পী–
যে সারাদিন
তার মনের আকাশটাকে খোলা হাওয়ায়,
স্নান করায় বৃষ্টিতে,
ভিজে ভিজে শিল কুড়োয়,
কাগজের নৌকা ভাসায়, রাস্তায়–
চেয়ে থাকে উদাস দৃষ্টি নিয়ে,
সেই বয়ে যাওয়া,
হঠাৎ নদীর পাড়ে বসে চেয়ে থাকে,
অনেক দুরে;
অবিশ্রান্ত শিলাবৃষ্টির আনন্দে
যে তখন শিল কুড়োয় —
গোলাকার বল তৈরি করে শিশুর আনন্দে খেলে বেড়ায় ;
আস্তে আস্তে ফুলের কুড়ির মতো,
নীরবতার সব পাপড়ি গুলো খুলে যেতে থাকে-
পড়তে না পারা লিপিরা তখন স্পষ্ট,
সবাক,মুখর হয়ে ওঠা , এক রামধনু
যে শ্রাবণের ধারায় স্নান করে,
বর্ণময়, রঙীন হয়ে উঠেছে।
নীরবতা তখন অনেক কথা বলে যায়-
এক অনন্য ভঙ্গিমায় ;
সবাক থেকে সে যা এতদিন বলতে পারেনি,
যা এতদিন বলা হয়নি কাউকে;
আজ সে শুধু নিজের অন্য সত্তাকে বলবে,
বলবে, যাঁরা তাকে বুঝতে পেরেছে,
বুঝতে পারবে, শুধু তাঁদের জন্যই তাঁর এই নীরবতার ভাষা,
সবার জন্য নয়,
কারন এ ভাষার মূল্য বোঝবার মনন আর মন সবার থাকেনা,
সব মাটিতেই কি মহীরুহ হয়!
কবি পরিচিতি : ডাঃ নীলাঞ্জন চ্যাটার্জী,পশ্চিমবঙ্গ .বিশিষ্ট আইনজ্ঞ,নট- নাট্যকার মিহির কুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাহিত্য – শিল্প অনুরাগিনী নিয়তি চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় – এর সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ কলেজ জীবনের প্রারম্ভেই।
সেই সময় থেকেই, “ভারতবর্ষ”, “দিশারী” সহ নানা পত্রিকায় কবির, কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
কবি, বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
পেশার বাইরে সেবামুলক কাজের জন্য স্থাপন করেছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ডাঃ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত লেখা, সংবাদপত্রে ও “প্রসাদ” পত্রিকায় ইতিপূর্বে অনেকবার প্রকাশিত হয়েছে।