উঠোন জুড়ে কিতকিতের ছক
দুপুরময় খেলা খেলা রব,
অন্ধকারে চৌকি পেতে শুয়ে
ঠাকুমা আর ভূতের গল্প সব।
দু-দালানের ঘর হলো যেদিন
সিঁড়িগুলো স্বপ্ন ছুঁতো রোজ,
আকাশ তখন জানলা দিয়ে উঁকি
কালো মেঘের ছিলো নাতো খোঁজ।
বৃষ্টি ভেজা জল ঢুকলে ঘরে
উল্লাসের নৌকো ভেসে যেত।
গ্রীষ্মকালের বিন্দু বিন্দু ঘাম
মায়ের হাতের পাখার পরশ পেতো।
ছাদে উঠে তারার সাথে কথা
মনখারাপ আর অভিমানী সব,
মাঝে মাঝে ফুলের বাগান মাঝে
মায়ের হাতে আল্হাদের টব।
দশটা বিশের স্কুলের সাইকেল
এলেমেলো চুলে তখন ফ্যাশন,
স্কুল ফেরতে একফালি সেই ডিম
ফুরিয়ে আসা মাসকাবারি রেশন।
বিকেল হলে আটআনা চারআনা
জোগাড় করে আলুকাবলির দোকান,
কেমন করে রাতের পরে দিন,
দিনের পরে -দিন হতো যোগান।
অনেকসময় ফ্যালফ্যালে দু-চোখ
স্বপ্ন দেখতো গোলাপি স্কুলব্যাগ,
নতুন জামা টিফিনবক্স তখন
বিলাসিতার অপর নাম এক।
তবুও যেন স্বপ্নময় সে দিন
আজ রূপকথার মতো করে ভাবায়
কিছু না পাওয়ার যা খুশি
পাওয়ার মাঝে সে সুখ আছে কোথায় ?
এখন তাই,
সবের মাঝে কিছুই যেন নেই
হারিয়ে যাচ্ছে সবই মাঝে সাঝে,
অতীতকে আঁকড়ে বেঁচে থাকা
বেঁচে থাকা আপন কর্মকাজে।
কলমে মৌসুমী কুন্ডু #মন ও মৌসুমী