করাল বদনে, কঠোর মৃত্যু নাড়ছে কড়া দ্বারে দ্বারে,
রক্ত চক্ষুর আস্ফালন দিকে দিকে,কে উপেক্ষা করতে পারে?
শমন যখন জারি হবে তখন যেতেই হবে পর পারে,
দিনের শেষে কেউ শ্মশানে যায়,কেউ বা যায় গোরে।

মৃত্যু যখন অবশ্যম্ভাবী,নিত্য ঘটা,চিরন্তন এক সত্য, কিন্তু হঠাৎ পাল্টেছে দৃশ্য,মৃত্যুর অত্যাচার যে অকথ্য।
স্বজন হারানোর দুঃখে,পাশে থেকে কেউ সহানুভূতি জানাবার নেই,
মৃত্যুর হাহাকারে,দলে দলে মরছে মানুষ লেগেছে মড়কের ঢেউ।

মৃত্যু যাত্রীর পাশে থেকে সহমর্মিতা জানাবার  নেইতো আপনজন,
সংক্রমনের ভয়ে দূর থেকে দূরে যাচ্ছে সরে পরিজন,প্রিয়জন।
এলে শমন যেতে হবে ত্বরা,হায়রে জীবন,দিলো না কেউ দুধ-গঙ্গা জল,
সাধের আঙিনার,তুলসী তলায় দিলো না ফুল-চন্দন,বললো না হরি বল।

কারা যেন এনে ফেলে গেলো চলে,শিয়াল-শকুনে ছিঁড়ে খায়,
চেয়ে দেখি এ নয়তো শ্মশান,নয় গোরস্হান,নয়তো সমাধিক্ষেত্র হায়!
যেদিকে তাকাই সবাই শব,এখন আমার আপনার লোক তারা,
মৃত্যু মিছিলে নিষ্প্রাণ আমরা চলেছি এগিয়ে,নেই জীবিত মানুষের সাড়া।

কলমে কুন্তলা ঘোষ

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here