মেঠো
সহস্র পথের রেখা মিলিয়ে
আলোর পথে পথে ঘাস জন্মায় ,
শুকতারা সাথী হয় নতুন ভোরের ।
তারা ঘর ছেড়ে আসে পাখিদের মতো…
শ্রাবণের কালো মেঘ গায়ে জড়িয়ে
অভিমানী আকাশ কেঁদে যায় অবিরত,
তখনও ক্লান্ত শরীর পুঁতে যায় ধানের বীজ।
আমি অপলক চেয়ে থাকি মাঠের দিকে…
তারা শুধু মাঠে মাঠে যায় খেটে,
ফলায় সোনা ,সোনার মানুষ হয় না,।
কত স্বাধীনতা, কত কমিশন বসে ,অথচ
ফসলের সঠিক দাম নিজে কখনই পায় না তারা ….
***
প্রিয় ঠিকানা
ডালিমের রসের মতো ছোট্ট নদীর
ক্ষীন ধারা বয়ে চলে আজন্ম ,
অগনিত মানুষ তাকে আঁকড়ে ধরে
বাঁচে। বর্ষায় ধ্বংস করে শীতে শীর্ণ
হয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদ।
শীতের রোদে এ নদীতে ডুব দিই, উঠে
বাড়ি যাই, নদীর ডুব ছাড়া গা ভেজে না।
একদিন ডুবে যাব , ঘুম আর আমি
মা, কাকিমা, ঠাকুরদা,দিদিদের মতো
নদীর এই জলে শুদ্ধ করবে প্রিয় ।
জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ছুঁয়ে যাবে হৃদয়
ভস্মীভূত জীবন যাপনে বিদায় বেলা
সবকিছু নদীতেই মিশে যাবে আবার ।
নদী আপন করে নেয় অনেক মানুষকে ।
***