আসন্ন বিপদে স্তব্ধ হাহাকার, চারিদিক বিধ্বস্ত।
কূল কিনারা না পেয়ে দেবাতারা ভয়ে স্বন্ত্রস্ত।
অবশেষে ব্রক্ষ্মা,বিষ্ণু,মহেশ্বর ,
করলেন এক আদ্যাশক্তির আবিষ্কার।

কুন্দ শুভ্র দন্ত তার ; বর্ন চন্দন চর্চিতা,
ঘন কালো কেশ তার সদাই রণ হুংকারে গর্জিতা
আলতা বর্ন পাড় যুক্ত হয়েছে চন্দ্র বর্নের শাড়ি,
কোমল স্বভাবা সুমধুর ভাষী হরিণী চক্ষু নারী।

একে একে দেবতারা করলেন অস্ত্র প্রদান,
গ্রহন করে মোহিনী হলেন সর্বশক্তিমতী ।
রণাঙ্গিনী নৃত্য করে,বলে হুংকারে
যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আমি, ডাকো সম্মুখে তারে।

বাক্য শুনে মহিষাসুর হা হা করে হাসে,
আমারই করবে নাশ এই মোহিনী এসে।
ক্রোধে রঞ্জিত মন্দ্রিত বর্ন হল মোহিনীর লোহিত,
মোহিনী মহিষাসুরকে করবেই পরাজিত।

রণক্ষেত্রে রক্তবীজ নাশ করে দীর্ঘ রনের পর
ত্রিশূলবিদ্ধ করে মহিষাসুরকে করলেন নশ্বর।
স্নিগ্ধা সুশীলা কোমল স্বভাবা নন্দিনী
হলেন কাপালিনী চন্ডালিনী মহিষাসুরমর্দিনী।

কলমে মিঠু দাস পাল, দিল্লী

একজন গৃহবধূ।পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি।


 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here