যেই খাঁচা বেঁধে রাখে ছটপটে ডানা, শুধু একমুঠো পৃথিবী দেয় উপহার,

সেই খাঁচার ভেতর আবার কখনো আমি কয়েদি সেজে বন্দি হয়ে যাই|

মনের পাখনা গুলো রাখি সেলাই করে, তালাচাবি সর্বক্ষণ;

অসহায় হয়ে ছেঁড়া দেওয়ালে ছবি আঁকি চোখের কালোয়;

মাকড়সার জাল বুনি চারিপাশে শুকনো চামড়ায়| দূর থেকে

ভেসে আসে ক্লান্ত হাওয়ায় তখন মাকড়সার বিদ্রুপ হাসি!

পাখির ডাক হারিয়ে যায়, শিল্পীর শিল্প কালী মাখে মুখে!

কয়েদির বয়স বাড়ে, আর স্রষ্টার সৃষ্টি প্রক্রিয়া থেমে যায়!

মনের ভেতর অসংখ্য আসামি তখন শিকার করে পাখি,

খাঁচায় জমতে থাকে পরাজিত ডানা, ব্যর্থ শিল্পী আর নির্বাক মন!

ক্রমশ, সেই খাঁচা ছোট হয় বিন্দুর মতো, বেড়াজাল শক্ত হয় আরও|

তারপর, সেই খাঁচা গুটিয়ে ফেলে একদিন, নাটকের ইতি আঁকে পরিচালক;

লুটায় মাটিতে তখন ছেঁটে ফেলা ডানা, কয়েক ফোঁটা রং আর কয়েদির পোশাক!

 

 

কলমে রত্নদীপ প্রামাণিক

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here