সবাই তাকে ইন্নোস ব’লে ডাকে। আসলে তার নাম হ’লো ইউনুস। ইউনুস ঘরামি বাপ-দাদোর কাছ থেকে সে ঘর ছাওয়ার কাজ হাতে-কলম শিখেছে। সে খড় বিচালি পুআল গমের ডাঁটি কাশের সাবোই ইত্যাদি দিয়ে উত্তমভাবে ঘর ছাইতে পারে। চিকনেরও চাল ছাইতে পারে । চিকনের ঘর ছাইলে উপরে পুআলের দড়ি দিয়ে গোটা চালটাকে বাঁধন দিতে হয় না। আর একবার চিকনের চাল ছাইলে চার/পাঁচ বছর আর ঘর ছাইবার দরকার পড়ে না। ঝড়ের মধ্যেও তা উড়ে যায় না। ওটাই ইন্নোসের জীবন ও জীবিকা। খরার সময় নানা জায়গা থেকে চিকনের ঘর ছাওয়ার জন্য তার ডাক আসে। ঝড়-বাদলের দিনেও সে ডাক পায়।তার ক’জন পেটতলাও আছে, তারা তাকে ঘর ছাইতে সাহায্য করে। সে তার পেটতলাদের নিয়েই কাজে যায়।
সংসার এভাবে তার ভালোই চলছিল। বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী পুত্র কন্যাদের নিয়েই তার সংসার। – – হঠাৎ একদিন দুর্ঘটনা ঘটলো। চাল ছাইতে গিয়ে দুর্বল বাতা ভেঙে হাত ফসকে’ সে উঁচু চালাঘর থেকে নীচে প’ড়ে যায়। তার মাজা ভাঙে। তাকে লোক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা জেলার হাসপাতালে রেফার করে। জেলার হাসপাতালে তাকে দীর্ঘদিন প’ড়ে থাকতে হয় । প্রথম প্রথম বাড়ি থেকে ভাইয়েরা ছেলেরা দেখা করতে আসতো, মাস দুয়েকের পর ধীরে ধীরে সবাই আসা বন্ধ ক’রে দিলো। তার আর মাজা জোড়া লাগে না । তার জন্য বড়ো অস্ত্রোপচার দরকার, অনেক খরচ ,কে জোগাবে ? চিকিৎসায় আস্তে আস্তে সে ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু কোমর সোজা ক’রে উঠে দাঁড়াতে পারেনা। তাকে আর কেউ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পড়ে বিপদে। পুলিশ পাঠিয়েও লাভ হয়নি। তার দুর্ঘটনার অল্পদিনের মধ্যেই তার মা শোকে দুঃখে অবহেলায় মারা গেছে। তার স্ত্রী ও তার ছেলে মেয়েরা তার বৃদ্ধা মায়ের যত্ন -আত্তি করেনি। পরিবারের আয় বন্ধ হ’য়ে যাওয়াই সবাই পেটের দায়ে কোনো-না-কোনো কাজে লেগে গেছে। গ্রামের একটা মেয়েকে তার ছেলে বিয়ে করেছে। বোনেদের বিয়ে দেওয়ার জন্য সে অপেক্ষা করেনি।ইন্নোসের স্ত্রী তার মেয়ে দুটোকে নিয়ে ইন্নোসের বাড়িতেই থাকে। ছেলে এখন তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে আর তাদের পরামর্শে চলে। – – – অমন অক্ষম লোককে বসিয়ে বসিয়ে কে পুষবে ? তাই কেউ নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেনি। দীর্ঘ দিন এভাবে হাসপাতালে প’ড়ে থাকলে হাসপাতালের চলেনা ,সীট কভার হ’য়ে থাকে। তাই তারা ওখানে দুঃস্থ লোকজনদের সেবায় কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শরণাপন্ন হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওর বাড়ির সাথে যোগাযোগ ক’রে ওর ছেলেকে দিয়ে ইন্নোসকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় আর ওর ছেলের হাতে কিছু থোক টাকা দিয়ে ইন্নোসকে কিনে নিয়ে তাদের হোমে রাখে। কিছুদিন পর ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবার বেশ কিছু টাকার বিনিময়ে ইন্নোসকে একদিন মানুষ পাচারচক্রের কাছে বিক্রি ক’রে দ্যায়। ওরা অক্ষম ল্যাংড়া লুলা লোককে শিশুকে দিয়ে ভিক্ষে করায়। রোজ শহরের বড়ো রাস্তার একটা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসে আর সন্ধ্যায় নিয়ে যায়। তার ভিক্ষার পয়সাগুলো তারা আত্মসাৎ করে। গোপনে ওদের লোক নজর রাখে। কীভাবে ভিক্ষা চাইতে হবে ,দিনে কমপক্ষে কতো টাকা রোজগার করতে হবে সব তারা ট্রেনিং দিয়ে ঠিক ক’রে দ্যায়, বিনিময়ে তাদের হোমে আশ্রয় পায়। কম টাকা রোজগার হ’লে ঠিকমতো খেতে দ্যায় না , অনেক সময় মারধোর করে । আবার সকাল হ’তেই রাস্তার মোড়ে বসিয়ে দিয়ে যায় আর ভিক্ষা করায়। আশেপাশে সংস্থার চর ওত পেতে থাকে। বিশেষতঃ ওরা পুলিশকে কিছু বলছে কিনা বা কোনো দয়াবান লোকের কাছে নিজের দুঃখের কথা বলছে কিনা দ্যাখে। কোনোরকম বেচাল দেখলেই কপালে মারধর উপোস ইত্যাদি লেখা থাকে।
একদিন আসগর মোল্লা ওই রাস্তা দিয়ে কাজে হেঁটে যাচ্ছিল। সে মাথায় টুপি পরে ,দাড়ি রাখে ,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। তাকে দেখেই ইন্নোস ল্যাংড়া ফুঁপিয়ে কাতরভাবে আবেদন করলো, ল্যাংড়া লুলা মানুষকে আল্লার ওয়াস্তে কিছু দান ক ‘রে যান ভাই ,আল্লা রহম করবে , গুণাহ্খাতা মাফ করবে, দয়া ক’রে কিছু দান ক’রে যান ভাই । ইত্যাকার কাতরানো শুনে মোল্লা দাঁড়ালো , পকেট থেকে পাঁচ টাকা বের ক’রে তার ফুটো পাত্রে রাখলো। আলহামদুলিল্লা, আল্লা রহম করুক,ব’লে সে কপালে হাত ঠেকিয়ে সেলাম ঠুকলো । বেশ কিছুদিন পর আবার মোল্লা সাহেব ঘটনাচক্রে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আবার সেই লোক কাতরাচ্ছে। আবার কিছু দান করলো। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো, ভাই আপনার নাম কি ? সে বললো, ইন্নোস। বাড়ি কোথায় ? বলতেই সে মোটামুটি যা বলছে তাতে বুঝলো সে দুর্ঘটনায় অক্ষম হ’য়ে গেলে তাকে তার ছেলে এক এনজোর কাছে বিক্রি ক’রে দ্যায়। তারা আবার টাকা নিয়ে অন্য এক এনজোর কাছে তাকে বিক্রি ক’রে দিয়েছে।ওরাই তাকে সকালে এখানে রেখে যায় আর সন্ধ্যায় নিয়ে যায়। রোজগারপাতি সব কেড়ে নেয় , বদলে দু’মুঠো ফ্যানভাত খেতে দ্যায়। আর রোজগার না হ’লে মারধোর করে,আল্লা মরণও দিচ্ছে না ভাই ! এইসব বলতে বলতে অন্য পথিকের কাছ থেকে সে একইভাবে ভিক্ষা ক’রে যায়। এইসব শুনেটুনে আসগর মোল্লা মনে মনে ভাবে , পুলিশকে জানালে তো হয়, এভাবে দুঃস্থ মানুষকে দিয়ে ব্যবসা করানো হচ্ছে, অথচ পুলিশ সামনে থাকলেও দেখছে না ! সে স্বতঃপ্রণোদিত হ’য়ে বিষয়টা কর্তব্যরত পুলিশকে জানালো। পুলিশ বলে,ও বিষয়ে ওদের মাথা ঘামাবার সময় নাই , সে ট্রাফিক সামলাতে নাজেহাল। আর ওই সব দুঃস্থ ল্যাংড়াকে রাখার জায়গা সরকারের কোথায় আছে ? যা হচ্ছে হ’তে দ্যান। নইলে ওই পাচারচক্রের কুনজরে পড়বেন। আপনাকে হেনস্থা হ’তে হবে । নিজের কাজে যান। আসগর মোল্লা খুব বিচলিত হয়। কী করবে ভেবে পায় না। তবে বুঝতে পারে ওদের চর আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে। তারা হয়তো সব দেখছে। সমস্যার মধ্যে না জড়িয়ে সে নিজের কাজে এগিয়ে যায় – –
সেদিন সন্ধ্যার পর হোমে নিয়ে গিয়ে ঈন্নোসকে খুব মারধোর করা হয় , ওই লোকটা কে ছিল , কী কী জিজ্ঞাসা করছিল তা জানার জন্য । ইন্নোস মুখ খোলেনি। কারণ সে জানে যে মুখ খুললেই আরো মারধোর জুটবে। তার জীবনের প্রতি আর মানুষের প্রতি চরম ঘৃণা জন্মায়। সেই রাতেই সে মনস্থ করে , সে আর বেঁচে থাকবে না । এই নরক-যন্ত্রণা সে আর সহ্য করতে পারছে না। পরদিন সে এটার একটা হেস্তনেস্ত করবেই।
পরদিন ছিলো হাটের দিন। খুব লোক সমাগম। রাস্তায় তখন খুব ভিড় । পাশ দিয়ে একটা ঠেলাগাড়িতে ক’রে একজন ইঁদুর মারা বিষ আরশুলা মারা টিকটিকি মারা বিষ, সেফটিপিন , রুমাল , স্নো-পাউডার হজমের গুলি, যোয়ানের আরক ইত্যাদি হেঁকে যাচ্ছিল । ইন্নোস তাকে হাত বাড়িয়ে থামায় ও দুটো প্যাকেট ইঁদুর -মারা বিষ চায়। সে ফেরিওয়ালা কোনোরকম প্রশ্ন না ক’রে তাকে দুটো প্যাকেট দ্যায় ও বিনিময়ে দশ টাকা নিয়ে এগিয়ে যায়। ইন্নোস তৎক্ষণাৎ বরঞ্জিতে প্যাকেট দু’টো গুঁজে ফ্যালে আর আবার যথারীতি ভিক্ষায় মন দ্যায়। কেউ কিছু দেখলো কি না , সে পরোয়া করে না । সেদিন বেশ ভালো রোজগার হয় । তাই সন্ধ্যার পর তার রোজগার দেখে তার মালিক বেশ সন্তুষ্ট হয়। ভালো মনে খাবারদাবার দ্যায় আর মস্করা করে , আরে বেটা ইন্নোস তুই তো আজ ভালো দান মেরেছিস্ ! চলো বেটা আইসা হি চলো! আচ্ছা! – – –
ইন্নোস আজ একরোখা। সে কোনো কিছুই বলে না । খাবার সময় বিষদুটো লুকিয়ে ভাতের গ্রাসের সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফ্যালে।তার কিছুক্ষণ পর থেকেই সে পেটের ব্যথায় গোঁয়াতে গোঁয়াতে ছঠফঠ করতে থাকে, তার মুখে গাঁজলা উঠতে শুরু করে । চেঁচামেচিতে মালিকের লোক ছুটে আসে। মালিকের হুকুমে তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমন রোজগেরে ল্যাংড়াকে সহজে মরতে দিলে হবে না। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। হোমের লোকজন বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই মালিকের শত্রুরা কোনোভাবে বিষয়টা লোক্যাল মিডিয়ার কাছে ফাঁস ক’রে দ্যায়। এবং মুহূর্তেই সেই খবর ছবিসহ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ আর হাসপাতাল টাকা খেয়ে বিষয়টাকে ধামাচাপা দিতে পারে না।— ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে ইন্নোস ইঁদুর-মারা বিষ খেয়ে মারা গেছে। পুলিশ ওই হোমে আসে আর তল্লাসিতে ইন্নোসের ছেঁড়া ব্যাগের মতো বিছানার তলা থেকে ইঁদুর-মারা বিষের দুটো খালি প্যাকেট পাওয়া যায়। পুলিশ হোমের কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। মালিক গালিগালাজ দ্যায় , শালা ল্যাংড়া ম’রে গেলো তো মেরেও গেলো। এখন পুলিশের পিছনে মেলা টাকা গচ্চা যাবে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হোমের লোকজনের হাতেই ইন্নোসের ডেডবডি তুলে দ্যায়। হোমের পক্ষ থেকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ক’রে তা দাফন ক’রে দ্যায়, তার জন্য কান্না করার মতো কেউ ছিল না।
হোমের কেউ কিছু দ্যাখে নি ব’লে কয়েক দিনের মধ্যেই আটক কর্মচারীরা জামিন পেয়ে যায়। ইন্নোস তো বিদায় হয়, কিছুদিন পর আবার সেই জায়গায় অন্য একজন অক্ষম আতুর ব্যক্তি ভিক্ষা করতে বসে। জায়গার দখল রাখাও তো চায়। ইন্নোসের মতো অক্ষম ব্যক্তিরা আর কী-ই-বা করতে পারে ? মানুষের লোভ আর নৃশংসতার কাছে মানবতা হেরে যায়। মানবতা গুমরে গুমরে’ কাঁদতেই থাকে। সমাজের কি কোনো দায় নাই? সরকারের দায় নাই এইসব দেখার ?
প্রতিপক্ষ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপে ওই হোম কর্তৃপক্ষের থেকে ডান্ডা মেরে পুলিশ ইন্নোসের ঠিকানা আদায় করে আর পৌঁছে যায় ওর বাড়িতে। ধ’রে আনে ওর ছেলেকে। টাকার বিনিময়ে অক্ষম বাপকে বিক্রি ক’রে দেওয়ার জন্য তাকে গ্রেফতার করে। গ্রামে খবর চাউর হ’য়ে যায় , ইসোফ ( আসলে ইউসুফ) টাকা নিয়ে ওর ল্যাংড়া বাপকে কোন্ হোমে বিক্রি ক’রে দিয়েছিল, তাই পুলিশ তাকে ধ’রে নিয়ে গেছে।তার মা ও বোনেরা ইসোফ তার বাপকে বিক্রি ক’রে দিয়েছে শুনে পাথর হ’য়ে যায় আর আকুল কান্নায় ভেঙে পড়ে। তারা জানতো , তাদের বাপ দূরের কোনো দুঃস্থদের হোমে আছে । সেটাই ইসোফ বলেছিলো । থানার লক আপে পুলিশের গুঁতো খেয়ে সে সব স্বীকার করে আর মার খেয়ে বেহুঁশ ঘুমের ঘোরের মধ্যে দেখতে পায়, ওর অক্ষম বাপ বলছে, আল্লার কাছে কৈফৎ দিতে পারবি তো ইসোফ, তু আমার ব্যাটা হ’য়ে বাপকে বিক্রি ক’রে দিলি ? যা মসজিদে গিয়ে সবার সামনে স্বীকার কর কথাটা আর আল্লার কাছে মাগফেরাত ভিক্ষা কর। তু আমাকে পথের ভিখারী করেছিলি,তোওর বুড়ো বয়স আছে । তোর ছেলে তোকে কী করবে দেখবি ! – – – তাকে থানা থেকে ছাড়াবার জন্য কেউ আসে না। কোন্ এনজিওর কাছে সে তার বাপকে বিক্রি ক’রে দিয়েছিলো মনে করতে পারে না। সেই এনজিও-ও প্রমাণের অভাবে ধরা পড়ে না। সে লকআপে ভাবতে থাকে , পুলিশ চাইলে পারে না এমন কাম নাই। সে কি কোনোদিন ভেবেছিল, তার বাপ ম’রে গিয়েও তাকে এভাবে মেরে যাবে ? সে লক আপে শুনেছে, তার বিরুদ্ধে অক্ষম বাপকে পাচারকারী কেস দেওয়া হবে যার সাজা কমপক্ষে দশ বছর জেল বা তারও বেশী- – –
লকআপে সে ভাবে আর পস্তায়, সে বড়ো নিষ্ঠুর হয়েছিল যা সে ভেবেও দ্যাখেনি।
কলমে বদরুদ্দোজা শেখু , বহরমপুর
দারিদ্র্যের মধ্যেই গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ।পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। নেশায় কবিতা লেখালেখি।
এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক আত্মঘাত, দুঃস্বপ্নের নগরে নিভৃত নগ্ন,শব্দ ভেঙে সংলাপ,আরো থোড়া দূর,এবং পরী ও পেয়ালা ।তাঁর কবিতা অদলবদল , সপ্তাহ, দৌড় , কবিতীর্থ ,শব্দনগর, ঋতুযান ,একুশে বর্ণমালা প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত । বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।