আমি নাকি তখন তিন বছরের শিশু
সপ্তমী শেষে অষ্টমীর পূজো শুরু,
আকাশে সাদা তুলোর মতো
মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে—
মন্ত্রোচ্চারণে মায়ের শারদর্চনা
হচ্ছে, চারিদিকে শুধু আনন্দের
পদধ্বনি।
তখনো অজানা উপাখ্যান শুরু
হয় নি,
নীল আকাশে কালো মেঘের
আনাগোনা একটু একটু করে
জমতে শুরু করেছে।
অনেক কিছু হারানোর মহড়া
তখনই আরম্ভ হলো একটু করে,
সন্ধ্যা নামলো বাইরে
আঁধার হলো ঘর।
আশ্রয় নেমে এলো পথে
বাইরে তখন অষ্টমীর সন্ধ্যারতি
চলছে মহাসমারোহে,
পূজো আরম্ভ হতেই
বিসর্জন হয়ে গেল
আর এক দুর্গার।
তাই এখন আর শিউলির গন্ধ
আমার মনে উন্মাদনা জাগায় না
ঢাকের আওয়াজে চমকে ওঠে
আমার বুকের ভেতর।
দীপাবলি আমার কাছে এক
ভীষণ অমাবস্যা,
আতসবাজির রোশনাই মুগ্ধতা
আনেনা
থেকে যায় এক বুক শূন্যতা নিয়ে
অসহায় এক মায়ের তীব্র হাহাকার।
প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত
রক্তাক্ত হয়েছে প্রতিটি অনুভূতি
সেখানে স্হান নেই আনন্দ আতিশয্যের
রয়ে গেছে এখনও বিরামহীন ভাবে নিরন্তর
কান্নার একমাত্র কাহিনী
যার কালান্তর সাক্ষী শুধু আমি
আর আমার অসহায় অস্হির মন।।
প্রবীর ভদ্র এর কলম থেকে “লেখা আমার পেশা নয়, আমার নেশা।
আমার আবেগতাড়িত মন ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাকে শব্দ ছন্দের দোলায়।
মানুষের মনের অন্দরমহলে প্রবেশ করার ও তাঁদের অনুভূতি অনুভব করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।”