তোমার জন্মের পরই নিজেকে সৃষ্টি করেছি
প্রতিনিয়ত সত্তার ভাঙচুর অর্বাচীন আবহে ,
কত ঘণ্টা কত মিনিট কত সেকেন্ড
বেঁচে গেছে অর্থহীন অথবা অর্থভরা
নশ্বর জীবনের উপাখ্যানে।
সৃষ্টি করেছি একাকী গন্তব্যে ফেরার মানচিত্র
নৈরাশ্যের রাতে জ্বেলেছি সন্ধ্যাদীপ ;
ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটেছি তিলোত্তমার আহ্বানে
সেখানেও সৃষ্টি সুখের উল্লাস।
অরণ্যের আদিমতার স্বাদ দুর্গম পাহাড়ের রহস্য
চেয়েছি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নির্বাসন
প্রাণ ভরে নির্মল সকালের সূর্যালোক
ফিরেছি ট্রামলাইন বরাবর হাঁটতে হাঁটতে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় মিশেছে তোমার বিবর্ণ মুখ ,
ঘড়ির কাঁটায় সময় চলেছে মৃদু কম্পনে
আমার হৃদপিণ্ডেও রোমাঞ্চকর উত্তেজনা
সমুদ্রে অশান্ত ঊর্মিমালার মতো ।
সে খবর পায়নি কলকাতা
সাফল্যের অগণিত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে
অবসন্ন শরীর মুখ থুবড়ে পড়বে একদিন ডানাকাটা পাখির মতো।
হে ঈশ্বর, সেদিন তুমিই রাস্তা ভয়হীন শূন্যতার
বিছানায় শুয়ে ছড়িয়ে দেব অনাবৃত দুটো পা
আবছা দৃষ্টি অসাড় অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ নিয়ে।
প্রিয় ঝুল বারান্দা ভেদ করে সুদূরের শঙ্খধ্বনি
চন্দন কাঠ ধুনোর গন্ধ নিয়ে আসে ঘুমের মৌতাত ;
অবিশ্রান্ত সৃষ্টির দিনরাত তোমার চোখে সংগোপন থাক
ঘুমের ভিতরেই সৃষ্টি হোক একরাশ স্বপ্ন
খাতায় শুয়ে ক্লান্ত কলম আজ আমার মতোই নির্বাক।
কলমে শ্রীপর্ণা দে, মুর্শিদাবাদ
প্রেসিডন্সি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চার বছর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। কৈশোর থেকেই লেখালিখি করা নেশা। দেশ, উনিশ কুড়ি, নন্দন, কথাসাহিত্য, প্রসাদ, গৃহশোভা, এ যুগের রুদ্রাক্ষ এবং আরও অনেক লিটিল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথম কবিতার বই ‘সময়ের সাঁকো’ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত।
খুব সুন্দর লেখনী। আরও সুন্দর সুন্দর কবিতা পড়বার ইচ্ছা রয়েছে। আশা করবো ইচ্ছা পুরণ হবে।
Khub sundor hyeche👍👍
দারুণ লাগল।