আমাদের ছাত্র জীবনে, যখন দুই চাকার পক্ষীরাজ অর্থাৎ সাইকেল নিয়ে বর্ধমান তন্ন তন্ন করার দিন, সেই সময় সাধারণ মানুষ, বর্ধমান শহরের মধ্যে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করতে, যে যানবাহনটি বহুল মাত্রায় ব্যবহার করতেন সেটি হল সাইকেল রিক্সা।সময়টা নব্বইয়ের দশক। এক মিশ্র সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল। ঐ দশকটা ছিল পূর্বের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র, সেতুর মত। ঘরে ঘরে টেলিভিশন পেয়েছে তার ছাড়পত্র, কিন্ত তখন ও সব টিভি রঙিন হয়ে উঠতে পারেনি। কিছু মানুষ তখনও দূরদর্শনে সম্প্রসারিত সিনেমার উপরেই যেমন নির্ভরশীল, তেমনি কিছু মানুষের টেলিভিশনে ই.টিভি, জি.টিভির মনোরঞ্জন। তখন পাড়ার মাইকে একদিকে যেমন বাজতো গোষ্ঠ গোপালের বাউল গান, কিংবা মান্নাদের “যখন কেউ আমাকে পাগল বলে”..তেমনই জনপ্রিয় হয়ে উঠল নচিকেতার জীবনমুখী গান। বাচ্চারা তখনও মূলতঃ অষ্টা,লুডো কিংবা লুকোচুরিই খেলছে। তবে কোনো কোনো বাচ্চা চলে গেছে ভিডিওগেমের আশ্চর্যজনক জগতেও। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ‘নিউ ইয়ার’ উপলক্ষে বন্ধুকে যেমন আর্চিস্ এর গ্রিটিংস্ কার্ড দিচ্ছে, তেমনই সঙ্গে দিচ্ছে খাতার পাতায় লেখা দীর্ঘ প্রেমপত্র। গ্রামের কাঁচা কিংবা লাল মোড়ামের রাস্তায় গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ির পাশাপাশি চলছে হিরোহোন্ডা বাইক, বাজাজ এম.এইট্টি। চারচাকা গ্রামে তখন বিশেষ দেখা যেতনা। শহরে অবশ্য অনেকের ছিল। গ্রামে বড়লোকদের থাকতো ট্রাক্টর, ধানঝাড়া মেশিন। এইরকম একটা সময়ে, হাই-স্কুলের গণ্ডি ছাড়িয়ে, গ্রাম থেকে পড়তে এলাম শহরে। বর্ধমান শহরে। আমরা জানি, বর্ধমান শহর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ছাত্রাবাস এবং মেস নিয়ে বহু বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কেন্দ্র। বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স, ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এর মত নানারকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্ধমানের সেই গৌরবকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। যাইহোক, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম বর্ধমানের এম. ইউ. সি. উইমেন্স কলেজে (মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহিলা মহাবিদ্যালয়)। হোস্টেলে থাকছি। গ্রাম থেকে শহরে এসে প্রথমেই যে জিনিসটা মনে, খুব বেশি করে রেখাপাত করল, তা হলো, শহরের যানজট, ভিড়ভাট্টা আর সাইকেল রিক্সার হর্ণের আওয়াজ। সে এক হতচকিত অবস্থা! একই রাস্তায় শ’য়ে শ’য়ে পায়ে হাঁটা মানুষ, সাইকেলের সওয়ারী, যাত্রীবাহক সাইকেল রিক্সা-বাস-মোটরসাইকেল, সব মিলিয়ে সে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি! সেই রাস্তায় হেঁটে, যেতে হবে কলেজে! রাস্তায় হাঁটতে গেলে যে এমন সামনে পেছনে ডানে বামে দেখে চলতে হয়, সে কথা জানা থাকলেও সেই প্রথম হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা লাভ। কিভাবে সাইকেল রিক্সার হর্ণের প্যাক প্যাক কিংবা ঘন্টির ক্রিং ক্রিং শব্দকে সম্মান জানিয়ে পথ ছেড়ে দিতে হয়, সেই অভিজ্ঞতাও সেই প্রথম। তাতে কি! “এ বয়স জেনো, ভীরু কাপুরুষ নয়/ পথ চলতে এবয়স যায় না থেমে” ঠিক তাই, ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার বয়স সেটা নয়, সে বয়সে “প্রাণ তীব্র আর প্রখর”। সেই তীব্রতা আর প্রখরতা নিয়েই একদিন শহরের পথকে মানিয়ে নিল গ্রামের মেয়ে। শহরের রাস্তায়, সাইকেল রিক্সার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলল এক ঝাঁক হোস্টেল গার্লসের বাইসাইকেলের দৌরাত্ম্য। টিউশন কিংবা কলেজ যাওয়ার পথে প্রায়ই চলত সেই রেস। সেইরকম সময়ে, সাধারণ মানুষ যারা কোনো বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে থেকে বর্ধমান এ আসতেন, তাঁদের জন্য অপরিহার্য ছিল ওই সাইকেল রিক্সা। ধরাযাক কোন ব্যক্তি, সাতগেছিয়া থেকে বর্ধমান এসেছেন। বাস তাকে নামিয়ে দিল তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডে (পুরনো বাস্ট্যান্ড)।সেখান থেকে তিনি যাবেন খোসবাগান, ডাক্তার দেখাতে। সেই পথটা হেঁটে যাওয়ার জন্য অনেকটা। অতএব তিনি চড়ে বসবেন সস্তার সাইকেল রিক্সায়। চলে যাবেন খোসবাগান। আবার হয়তো কাজ মিটিয়ে ফেরার পথে তিনি যাবেন দত্ত সেন্টার, স্ত্রীর জন্য শাড়ি কিনবেন। একটি রিক্সায় উঠে তিনি চলে যাবেন দত্ত সেন্টার। এভাবে শহরের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ব্যক্তিগত বাহন কিংবা টাউন সার্ভিস ছাড়া আর যা বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হতো তা হলো এই সাইকেল রিক্সা। বলা যায়, দশ বছর আগেও বর্ধমান শহরের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য সাইকেল রিক্সাই ছিল অন্যতম বাহন। তখনো পর্যন্ত শহরের ভিতরে চওড়া রাস্তাই হোক অথবা গলি রাস্তা, জ্যাম লেগেছে মানেই পাশাপাশি অসংখ্য সাইকেল রিক্সার আটকে যাওয়া এক লম্বা লাইন। আর সীটে বসা সওয়ারীদের উদ্বিগ্ন মুখ। কারও বাস ধরার তাড়া, কারও স্কুলে পৌঁছানোর তাড়া, কারও আবার অসুস্থ রোগীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে পৌঁছানোর তাড়া। বলা বাহুল্য বর্ধমান শহরের বুকে আজ আর সে চিত্র নেই!
কেবল বর্ধমান শহর নয়, সমগ্র ভারতবর্ষ তথা সারা পৃথিবী জুড়েই, স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হত এই রিক্সা। প্রচলিত মত অনুযায়ী, জাপানেই প্রথম রিক্সার নির্মাণ এবং বাহন হিসেবে তার ব্যবহারের প্রচলন ঘটে। অবশ্যই সেই রিক্সা ছিল হাতে টানা রিক্সা। মানুষ বাহিত যান। জাপানে মেইজি যুগে, পালকির মত একটি বাহন (জাপানী ভাষায় যার নাম কাগো) প্রচলিত ছিল। ১৮৬৯/৭০ দিকে কাগোর পরিবর্তে রিক্সার প্রচলন ঘটে। তারপর তা ক্রমে ক্রমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এশিয়ায় রিক্সার প্রচলন সর্বাধিক।স্বাভাবিকভাবেই বাহনটির মত, ‘রিক্সা’ শব্দটিরও সূতিকাগৃহ জাপান। মূল শব্দটি হল ‘জিন্ রিকিশা’- ‘জিন্’ হল ব্যক্তি বা মানুষ, ‘রিকি’ অর্থ বল বা শক্তি আর ‘শা’ হল যান বা বাহন। অর্থাৎ মানুষের বল প্রয়োগে চালিত যান। সেই জিন্ রিকিশাই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হাতেটানা রিক্সা। জাপানে আজ আর তার অস্তিত্ব নেই। তবে নিজেদের ঐতিহ্য জিইয়ে রাখতে, জাপানের পূর্বতন রাজধানী কিয়োটোতে আজও পর্যটকদের জন্য রয়েছে জিন্ রিকিশা ভ্রমণের মনোরঞ্জন মূলক ব্যবস্থা।
অবিভক্ত ভারতে প্রথম জিন্ রিকিশা ওরফে টানা রিক্সার প্রচলন হয় সিমলায়। ক্রমে কলকাতা, ঢাকা সহ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে। হাতে টানা, মানুষ বাহিত রিক্সার চালকের অমানুষিক পরিশ্রমের মধ্যে সভ্যতার অমানবিক ছবিটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই টানা রিক্সার বদলে এলো সাইকেল রিক্সা। যদিও কলকাতার বুকে আজও অব্যাহত হাতে টানা রিক্সা। এর পিছনে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত, ভিন্ন যুক্তি। টানা রিক্সার পরিবর্তে সাইকেল রিক্সা প্রথম প্রচলিত হয় সিঙ্গাপুরে। ১৯৫০ এর দিকে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে এই সাইকেল রিক্সা।
পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য স্থানের মত বর্তমানে বর্ধমান শহরেও সাইকেল রিক্সার স্থান দখল করে নিয়েছে টোটো রিক্সা বা ই-রিক্সা(ইঞ্জিন চালিত)। যেমন নাম তেমন তার গতি। আর তেমনি সস্তা। চালকের জন্যও লাভজনক। যাত্রীর জন্য সস্তা, কারণ শেয়ারে যাওয়া যায়। মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় জন যাত্রী যেতে পারে প্রত্যেকের ভাড়া দশ টাকা। তবে টোটো রিক্সা, সাইকেল রিক্সার মত যাত্রীকে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেয় না। রাস্তার মোড়ে তাকে ছেড়ে যেতে হয়। ব্যাটারি চালিত এই বাহনটি, সাইকেল রিক্সার থেকে অনেক কম সময়ে পৌঁছে যায় গন্তব্যে। স্বাভাবিকভাবেই গতিশীল সময়ের মানুষ সাইকেল রিক্সা পরিহার করে দ্রুততর টোটো রিক্সাকেই বেছে নিয়েছে সঙ্গত কারণে। তাই বর্ধমান শহরের বুকে রাস্তায় রাস্তায় সাইকেল রিক্সার আর বিশেষ দেখা পাওয়া যায় না। (সাইকেলরিক্সার জন্য সংরক্ষিত সীমিত কয়েকটি রাস্তা ছাড়া)। টোটোর দ্রুততায় ছুটে যেতে যেতে, রাস্তার পাশে ক্লিষ্টমুখে অপেক্ষারত একটা-আধটা সাইকেল রিক্সা চোখে পড়ে বৈকি। যদি বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে! কোনো কোনো যাত্রীর মনের কোণে হয়তো একটু বেদনাও জন্মায়, আবার তা মিলিয়েও যায় টোটোর গতির দ্রুততায়।
সেদিন বর্ধমানের উল্লাসের ইন্দ্র থেকে আমন্ত্রণ রক্ষা করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। গৃহকর্তৃ এবং গৃহকর্তাকে বিদায় সম্ভাষণ সেরে, যখন বেরোচ্ছি, তখন রাত সাড়ে এগারোটা। রাস্তা শুনশান। অনেকটা অপেক্ষার পর একটা টোটো পাওয়া গেল। সে যেতে নারাজ। অনেক অনুরোধ শেষে রাজি হলো বটে, কিন্তু বলল খুব আসতে যাবে। আমরা দুজনেই বললাম চলবে চলবে। মন্দ কি! সুন্দর নিরিবিলি রাতে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ধীরগতিতে চলুক না টোটো, আমাদের তাড়া নেই। এমনিতেই সেই সুদূর মুম্বাই থেকে, সারাবছরে মাত্র একবার বর্ধমানে আসি। তাই বাইরে বেরোলে আমি সারাক্ষণই আমার সেই পুরনো বর্ধমানকে খুঁজে ফিরি। সেই চেনা রাস্তা, চেনা গলি, দোকানপাট সব.. সব। আমি তখন মুম্বইয়ের ব্যস্ততম রোজনামচার হাতের বাইরে।কোনো ছোটাছুটি নয়, সব ঘটুক ধীরেসুস্থে। অবশ্য আজকাল টোটোতে বসলে সেটা যেন আর হয়ে ওঠে না! টোটোতে উঠে বসতেই গন্তব্যে পৌঁছে যাই। তাই ভাবলাম আজ আবার সেই সুযোগটা হলো! কিন্ত একটু যাওয়ার পর আবিষ্কার করি, এতো হেঁটে যাওয়ার থেকেও ধীর! যে টোটো নিমেষে হাওয়া হয়ে যায়, সেই টোটো কিনা এত ধীর! এতো যাচ্ছেই না! ব্যাপারটা কি জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, ব্যাটারী শেষ! যারা বর্ধমানের নিয়মিত বাসিন্দা তারা হয়তো সকলেই জানেন। আমি সেদিন প্রথম জানলাম। শঙ্কিত হয়ে পড়লাম! রাত বাড়ছে, এদিকে অনেকটা পথ! বাড়িতে ঠাকুমার কাছে রেখে আসা মেয়ে দুটোর জন্য মন ছটফট করে উঠল! চালক আশ্বস্ত করল, একটা কিছু ব্যবস্থা নাকি হয়ে যাবে। পথ চলতি দু-একটা টোটো যা পাওয়া গেল, সবার একই অবস্থা, ব্যাটারী শেষ! এখন বুঝতে পারছি, কেন ইনিও ভাড়া নিতে চাইছিল না। শেষ পর্যন্ত বীরহাটার মোড়ে এসে একটা অন্য চিত্র চোখে পড়ল। রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে তিন,চারটে সাইকেল রিক্সা! চালকরা কেউ ফুটপাথে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে, কেউবা নিজের রিক্সাতেই বসে আছে। ভরসা পেলাম। একটা রিক্সায় উঠে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। কৌতূহলবশত জানতে চাইলাম এইভাবে অত রাতে ওরা রাস্তায় কেন? দিনে তো দেখা যায়না! বলল, “কি করবো বলুন দিনের বেলায় টোটোর দৌরাত্ম্যে রিক্সা তো আর কেউ ধরেনা, রাতে যখন টোটোর চার্জ শেষ হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায়, তখন মানুষরা সাইকেল রিক্সায় ওঠে। তাই আমরাও চেষ্টা করি, একটু বেশি রাতের ভাড়া গুলো ধরতে। মোটামুটি রাত এগারোটা থেকে ভোর পর্যন্ত আমরা থাকি। যা দু-একটা ভাড়া হয়! সংসার তো চালাতে হবে!” জানতে চাইলাম, সাইকেল রিক্সা বেচে, টোটো কেনা যায় না?
“নাহ, রিক্সার দাম কোতায়! এক সুমায় এই রিকশাই ষাট-সত্তর হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছিল, এখন পাঁচ দশ হাজারেও কেউ নেয় না। তবুও অনেকে রিকশা বেচে টোটো করেচে, যাদের পয়সা আচে।” আমরা চুপচাপ। নিজের নিজের ভাবনায় বহমান। এরপর আর কোন্ কথাই বা থাকতে পারে!
একদিন দেশের বুকে, হাতে টানা রিকশার স্থান দখল করে নিয়েছিল সাইকেল রিক্সা। সেদিন অনেক মানুষ হয়ে পড়েছিল জীবিকাহীন! যারা টিকে আছে কোনরকমে, তারাও ধুঁকছে। আজ বর্ধমানের বুকে বা বলা যায় সমগ্র বাংলা থেকে,সেই সাইকেল রিক্সাও বিলুপ্তির পথে। এটাই বোধহয় কালের নিয়ম। এ পৃথিবী ঘূর্ণায়মান, গতিশীল। পরিবর্তনশীলতায় গতির নিয়ম। তাই টিকে থাকতে গেলে খাপ খাইয়ে নিতেই হবে। এভাবেই হয়ত সময়ের সাথে সাথে, টোটোরিক্সা বা ই-টোটো উন্নততর হবে। প্রযুক্তির আবিষ্কারে টোটো একদিন চব্বিশ ঘন্টাই সার্ভিস দিতে পারবে। সেদিন টোটো, রাতেও তার দখলদারি নেবে।
কলমে নার্গিস পারভিন,মুম্বাই
মুম্বাই থেকে প্রকাশিত ষান্মাসিক পত্রিকা লাবণ্যর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে রত। প্রথম গ্রন্থ ‘হিরোশিমার সন্ধানে’ (২০১৪)। হিরোশিমা ভ্রমণের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা, হিরোশিমার পরমাণু বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তথ্য এবং বিশ্লেষণ মূলক গ্রন্থ।কবিতার বই দুটি, *স্বপ্নখোরের শার্সি (২০১৯)এবং ঝিঁঝি ডাকা নীরবতা(২০২০) এছাড়া ও বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা গল্প ও প্রবন্ধ লেখেন।
[…] সাইকেল রিক্সা বনাম টোটো রিক্সা […]
বাহ্, সুন্দর লাগলো, সেই ফেলে আসা দিনগুলো আবার দেখতে পেলাম যেন!
সত্যিই তাই কিছুদিন আগেও সাইকেল রিক্সার রমরমা ছিলো কত…আজ তা অবলুপ্তির পথে।সাইকেল রিক্সার জন্মকথাসহ দেশ বিদেশের নানান তথ্যসহযোগে সমৃদ্ধ ‘সাইকেল রিক্সা বনাম টোটো রিক্সা’ নিবন্ধটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।