দিব্যেন্দুদের পরিত্যক্ত বাড়িটা ,হয়ে উঠেছিল আমাদের স্থায়ী আড্ডার জায়গা।বছর তিনেক আগে, ওর বাবার চাকরীর বদলির জন্য ওদের চলে যেতে হয়েছিল পুনেতে। নিচের ঘরের সমস্ত আসবাব পত্র নিয়ে গেলেও ছাদের ওপরের একটি মাত্র ঘরটাই দু একটা রেখে গিয়েছিল , যাতে আমরা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। যাবার সময় আমার হাতে দিব্যেন্দু ঘরের চাবিটা তুলে দিয়ে বলেছিল , ” এটা রাখ। পারলে বাড়িটার একটু খেয়াল রাখিস। “
এরপর আমি আর পুলক প্রায় ফাঁকা সময়ে সে বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দিতাম। বাড়িটাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে যে মারাত্মক ঘটনাটা আমার মনে পড়ছে , এখনও চোখ বন্ধ করলে সেটা সামনে ভেসে ওঠে। পৌষ মাস । জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। সন্ধে নামার অনেক আগের থেকেই চারিদিকে কুয়াশা ঘিরে ধরে , পরিবেশ রহস্যময় করে তুলছে। আমি আর পুলক দিবেন্দুদের বাড়িতে বসে একটা পিকনিকের প্ল্যান করছি । এমন সময় ইলেক্ট্রিকের বাতিটা ফস করে নিভে গেল। ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে হাতড়ে মোমবাতি বের করে জ্বালালো পুলক। সেই কম্পমান আলোয় সমস্ত ঘরটা যেন দুলে দুলে উঠছে। হঠাৎ স্পষ্ট দুজনে শুনলাম নীচের দরজা ঠেলে সিঁড়ি বেয়ে কেউ উঠে আসছে।ভুরু কুঁচকে অন্ধকার দরজার দিকে চোখ ফেলে দুজনে চেয়ে আছি। মনের মধ্যে হাজার কৌতূহল বুদ বুদ কাটছে। ধীরে ধীরে পায়ের শব্দ চৌকাঠের কাছে এসে জমাট অন্ধকার ভেদ করে দেখি বেরিয়ে এলো দিব্যেন্দু।আমি আর পুলক তো অবাক। এতদিন পর আচমকা ওর আগমনে, আনন্দ আর হাজার কথাবার্তার পর দিব্যেন্দু বলল , ” শীত পড়াতে তোরা দুজনে কেমন যেন মিইয়ে গেছিস ! ” ” কেন কেন ? ” – উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল পুলক।দিব্যেন্দু বলে উঠল , ” এই শীতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে তোরা ভয় পাস না ? আচ্ছা তোরা ভূতে বিশ্বাস করিস ?পুলক বললো , ” ধুস ! কি যে বলিস ! “আমি বললাম ” মাঝামাঝি !” দিব্যেন্দু আবার বলে উঠল , ” পুনেতে গত কয়েকদিন আগে একটা খেলা খেলেছিলাম বুঝলি । আশ্চর্য রকমের খেলা। এখানকার মফস্বলের খেলায় সে চমক নেই ! “পুলকের কথাটা গায়ে লাগায় সে বলল ,” কি খেলা শুনি ? ” ” ব্ল্যাক ম্যাজিক গেম !খেলবি ? দম আছে ? ” জিজ্ঞাসা করলো দিব্যেন্দু। ঠান্ডা মাখানো আবছা অন্ধকারে আমাদের উত্তরের অপেক্ষা না করেই দিব্যেন্দু বলল , ” খেলেয় দেখনা , আশ্চর্য খেলা ! একবার খেললে বারবার ইচ্ছে করবে।”
ওর শেষের কথা গুলো নেশার মতো শোনালো। এরপর আমরা দুজনেই যেন অদৃশ্য শক্তির বশে মুহূর্তেই ওর অধীন হয়ে পড়লাম।দিব্যেন্দু পুলক কে বললো, ” মোমবাতিটা আয়নার সম্মুখে রেখে চোখ বন্ধ করে তিন বার বল ‘ ব্ল্যাডি মেরি , আর ইউ হেয়ার ‘ ! তারপর বলবি ‘ আই স্টোল ইওর বেবি ‘ যা বল ! “পুলক হাসি মুখে বলল , ” এতে কি এমন দমের প্রয়োজন ! আর এ বলে কি হবে ?” “বলেই দেখ না , কি হয় ? “জবাব দিল দিব্যেন্দু।
আমি তখন নীরব দর্শক। বুকের ভিতর টা একটা অজানা আতঙ্কে ঢিপ ঢিপ করছে।একবার মনে হল পুলক কে বারণ করি এসব ভূতুড়ে খেলা খেলতে। পাছে কাপুরুষ বলে বদনাম রটে, তাই চেপে গেলাম। পুলক আয়নার সামনে দাঁড়ালো । দিব্যেন্দুর কথা মতো ও মোমবাতি দাঁড় করিয়ে চোখ বন্ধ করে বললো , ” এই দ্যাখ আমি বলছি ! ব্ল্যাডি মেরি ! ব্ল্যাডি মেরি ! ব্ল্যাডি মেরি ! আর ইউ হেয়ার ? “সমস্ত কিছু নিস্তব্ধ। ঘরের কোনায় চাপ চাপ অন্ধকার। সময় যেন সবার অলক্ষ্যে থেমে গিয়েছে।আবার ও বলে উঠলো , ” – আই স্টোল ইওর বেবি! “
তক্ষনি, একটা টিকটিকি সজোরে শব্দ করে উঠলো। জানলা দরজার ফাঁক ফোকর থেকে একটা ঠান্ডা হাওয়ার স্রোত ঘরে ঢুকে মোমবাতিকে নিভিয়ে দিয়ে চলে গেল। পুলক আবার ড্রয়ার টেনে দেশলাই দিয়ে মোমবাতি টা জ্বালাতেই তৎক্ষণাৎ আয়নার দিকে চেয়ে তীব্র গোঙানি ছেড়ে জ্ঞান শূন্য হয়ে মেঝেতে পড়ে গেল। এক মুহূর্তে ব্যাপারটা কি ঘটলো এগিয়ে দেখতে গিয়ে দেখি ,আয়নায় ভেসে উঠছে একটা বীভৎস ,কুৎসিত ,ফ্যাকাসে মেয়ের ক্ষিপ্ত মুখ। যার চোখ , মুখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। সাপের ফনার মতো লকলকে চুল আছড়ে পড়ছে আয়নার ভেতরের কাঁচে।বিস্ফারিত চোখ জোড়া স্ফটিকের মতো জ্বলছে।যেন গিলে খেতে আসছে আমায় !
মুহূর্তে ভয়ে আমার সর্বাঙ্গ পাথর বনে গেল। গলা শুকিয়ে কাঠ । মেরুদন্ড বেয়ে একটা ঠান্ডা শীতল স্রোত বয়ে যাচ্ছে ওপর নীচে। এক পা দু পা করে পিছতে পিছতে দেয়ালে সেঁটে গিয়ে অনুভব করলাম, প্রায় অবশ শরীরে আর যেন শক্তি নেই। সে ভয়াল নারী মুখ নারকীয় উল্লাসে ফেটে পড়ে হেসেই চলেছে। কানের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে সে হাসির শব্দ আমার বুকের রক্ত হিম করে দিচ্ছে। রক্ত স্রোত ছিটকে মেঝে ভিজিয়ে চলেছে ক্রমশ। এরপর চোয়াল ফাঁক করে থুতনি অব্দি ঝুলন্ত জিভ আর কান পর্যন্ত চেরা চোয়াল নিয়ে একটা হুঙ্কার দিল পিশাচীনি । তারপর আয়নার কাঁচ ভেদ করে তার ভেতর থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে থাকলো কুৎসিত নারী মূর্তি টির শীর্ণ পচা মাংস শুদ্ধ হাত- পা। এই বীভৎস ,ভয়াল দৃশ্য দেখে আমার শরীর ঘামে ভিজে জব জব করছে। বুকের ভেতর যেন হাপর চলছে। বুকের বাম দিকে তীব্র যন্ত্রণা উঠে ,চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসলে মুখ থুবড়ে মেঝেতে পড়ে গেলাম।
চোখ টা খুললো একটা তীব্র টর্চের আলো অনুভব করে।চোখ খুলে দেখি সামনে একজন অপরিচিত লোক।আর তার পাশে ছোট কাকা দাঁড়িয়ে। আমি কিছু বলবার আগেই কাকা বললো , ” – ভয়ংকর সব শব্দ শুনে এখানে এসে দেখি এই হাল, তারপর আমি ওকে ডেকে এনেছি ।” উঠে বসলে সেই অজ্ঞাত পরিচয় লোকটা বলল ,” নমস্কার ! আমার নাম অম্বরিশ সেন। আমি একজন প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর। “কথা টা শুনে আমার ভুরু কুঁচকে উঠলে , ও আবার বলল , ” – মানে ভূত সন্ধানী।আমার সিক্স সেন্স বলছে এই ঘরে গন্ডগোল আছে। কি দেখেছিলে এখানে ?”
শেষ কথা টা শুনে স্মৃতি ফেরত আসায় শরীরে একটা কাঁপুনির স্রোত যেন খেলে গেল। প্রবল শীতে আমার গা ঘামছে। তারপর সমস্ত ঘটনা তাকে বলতেই ,ও বললো -, ” হম ! বুঝেছি !এই পেশায় আমি আছি দীর্ঘদিন। আর সেই সুবাদে মেরীর সঙ্গে পরিচয় আমার নতুন নয়। ব্ল্যাডি মেরীর আসল নাম মেরি টিউডর। জন্মে ছিলেন ১৫১৬ সালে ইংল্যান্ডে। ঘটনা চক্রে সে রক্ত পিপাসী , অত্যাচারী শাসক হয়ে উঠে ছিল। তীব্র প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ও লোকজন দের পুড়িয়ে কিংবা মুণ্ডচ্ছেদ করে প্রাণ নিত।তারপর সেই রক্তে স্নান করতো। লোকে তাকে ডাইনি হিসেবেই জানতো।হঠাৎ একদিন গৃহান্তরে তার মৃত দেহ আবিষ্কার করে সকলে। এদিকে আয়না হলো এমন একটি বস্তু যেটিকে অতৃপ্ত আত্মারা যাতায়াত এর পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। রক্ত পিপাসী মেরীর অতৃপ্ত আত্মা কে আয়নার সামনে আহ্বান করলে সে নিমিষেই হাজির হয়, কারণ এই ভাবেই সে এখনো মৃত্যুর লীলায় মাততে চায়। যেহেতু গর্ভেই তার তিনটি সন্তান মারা গিয়েছিল ,তাই ‘আই স্টোল ইওর বেবি’ এই কথাটি শুনলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ” সমস্ত কাহিনী শুনে আমি বললাম , ” পুলক এর কি অবস্থা ? “কাকা বললো , ” ও ভালোই আছে। ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। “” আর দিব্যেন্দু ? “কাকা ও অম্বরিশ দুজনেই বলে উঠল , ” আর কাউকে তো দেখিনি ? “আমি জোর দিয়ে বললাম , ” ও ছিল ! আমাদের সঙ্গেই ছিল এই ঘরে! “এরপর সমস্ত ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও দিব্যেন্দু কে পাওয়া গেলো না ।
এরপর খানিকক্ষণ চিন্তা করে অম্বরিশ সঙ্গে আনা ছোট হ্যান্ডবাগ থেকে কয়েকটি যন্ত্র বের করে টেবিলে রাখল। ভিডিও ক্যামেরার মতো কিছু পরিচিত জিনিসের সঙ্গে একে একে বেশ অনেক গুলি দেখা মিলল অপরিচিত যন্ত্রের।এরপর আমি যন্ত্র গুলির সমন্ধে কৌতূহল প্রকাশ করলে , হাতে করে এক একটা যন্ত্র তুলে ধরে তার সাথে আমাদের পরিচয় পর্ব টা সেরে ফেলল অম্বরিশ।” এটা হলো ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর। এর স্ক্রিনে ওঠা রেটিং হঠাৎ বাড়লে ,বুঝতে হবে ঘোস্ট উপস্থিত। আর এটা কে বলে ইলেকট্রনিক্স ভয়েস ফিনোমেনা। লো ফ্রিকোয়েন্সির ভয়েস ধরে ফেলার ক্ষমতা এই যন্ত্রটির আছে। পরে সেই সাউন্ড কে কম্পিউটার এর মাধ্যমে অনেক গুন বাড়িয়ে শোনা সম্ভব। “এই যন্ত্রটির নাম এক্সটার্নাল থার্মোমিটার। যেখানে ভুত এর উপস্থিতি হয় সেখানকার তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে। সেটিকে ক্যাচ করতে এই যন্ত্রটা সাহায্য করে। আর আমি যদি কোন আত্মা কে কল করতে চায় তাহলে দরকার এই লেজার গ্রিট নামক যন্ত্র টি। এর থেকে নির্গত আলোর পিন পয়েন্ট দেয়ালে ফেলে সেই আত্মার উপস্থিতি বোঝা সম্ভব। আর এটা হচ্ছে মোশন সেন্সর, এর পাশ দিয়ে কিছু চলা ফেরা করলে সেটার গতিবিধি এতে ধরা পড়ে।এটা হলো ইকো বক্স। যার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে কোনো স্পিরিটের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব। ”
এরপর লেজার গ্রিট থেকে একটা নীলাভ আলো আয়নার ফেলে অম্বরিশ আমার দিকে চেয়ে বলল , ” ব্ল্যাডি মেরিকে কল করো। কুইক ! ” আমি ভয়ে শুকনো গলায় ঢোক গিললে ও বলল , ” ভয় নেই আমি আছি ! এছাড়া কোনো উপায় নেই দিব্যেন্দুর খোঁজ নেবার। ”
শরীরের সমস্ত সাহস জড়ো করে মোমবাতি নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পূর্বের পদ্ধতিতে ব্ল্যাডি মেরিকে ডাকতেই নীলাভ আলোর পিন পয়েন্ট টা দুলে উঠলো।আচমকাই ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর এর রেটিং বেড়েই চলল।তার সঙ্গে এক্সটার্নাল থার্মো মিটার এর পয়েন্ট নামতে শুরু করলো শূন্যের দিকে। তারপর বিকট চিৎকার করে কুৎসিত ডাইনি মেরির অবয়ব ফুটে উঠলো আয়নায়। পুনরায় সেই বীভৎস চেহারা আর হাসি। আমি ভয়ে সরে পিছিয়ে গেলে অম্বরিশ ডাইনি মেরিকে জিজ্ঞাসা করল , ” হোয়্যার ইস দিব্যেন্দু ? “ব্ল্যাডি মেরি খন খনে গলায় উত্তর দিল , ” ব্লাড ! ব্লাড ! নলেজ ডিমান্ডস ব্লাড ! “অম্বরিশ পকেট থেকে একটা ক্ষুদ্র ছুরি বার করে তার বাম হাতের কব্জি কেটে খানিক রক্ত আয়নায় ছুড়ে দিতেই ডাইনি তার লকলকে জিভ প্রসারিত করে চেটে নিয়ে ,খিল খিলিয়ে হাসি ছেড়ে উধাও হলো ।
আবার ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর যন্ত্রের রেটিং বাড়তে শুরু করল। তারপর আয়নায় ভেসে উঠলো দিব্যেন্দুর ফ্যাকাসে মুখ। ওর জ্বলন্ত চোখ আর মুখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ভয় যখন বিরাট অন্ধকার অজগরের মত আমাকে গ্রাস করছে ঠিক তখনই ,দিব্যেন্দু মুখ থেকে রক্ত ছিটিয়ে আয়নার ভেতর থেকে বলে উঠল , ” ব্ল্যাক ম্যাজিক গেম খেলে, ব্ল্যাডি মেরি আমার রক্ত দিয়েও স্নান করেছে। “
আমার হৃৎপিন্ড লাফিয়ে উঠছে, নিজের হার্টবিট নিজেই যেন শুনতে পাচ্ছি। অম্বরিশ ওকে জিজ্ঞাসা করল , “এদের এই গেম খেলতে বাধ্য করলে কেন ? “ক্ষিপ্ত হয়ে দিব্যেন্দুর আত্মা জবাব দিল , ” সবাই আয়নায় ব্ল্যাডি মেরি কেই ডাকে ! আমাকে কেউ ডাকে না ! খুব একা হয়ে পাড়েছি এখন! ভীষণ একা। কিন্তু আমারও তো রক্ত চাই ! উষ্ণ রক্তের স্বাদ আমারও চাই ! রক্ত ধারায় কতকাল স্নান করিনি ! ওদের রক্ত আমার চাই ! গাঢ় উষ্ণ রক্ত আমার পিপাসা মেটাবে। রক্তের পিছনে ছুটে চলেছি এখন। রক্ত রক্ত আরো রক্ত !এরপর অতৃপ্ত আত্মা বিকট দাঁত প্রসারিত করে হাসিতে ফেটে পড়ল। অম্বরিশ লেজার গ্রিট মেশিন অফ করে, হাতের ছুরিটা দিয়ে আয়নার কাঁচ টা ভেঙে ফেলতেই ,ইলেক্ট্রিকের আলো ফেরত এলো। সঙ্গে সঙ্গে সব কোথায় মিলিয়ে গেলো। অম্বরিশ আমার আর কাকার দিকে তাকিয়ে বলল , ” অতৃপ্ত আত্মার যাতায়াত এর পথ বন্ধ । এবার চলা যাক ! “
এঘটনার পর ও বাড়িতে আর আমরা কোনোদিন যায়নি। রাত বিরেতে কারা যেন যাতায়াত করতো ওই ঘরের আনাচে কানাচে। তবে মাঝ রাত্তিরে দিব্যেন্দুর হাড় হিম করা নারকীয় হাসি অনেক দিন শুনেছি।