বিচ্ছিন্ন
অসম্ভব পথ দিয়ে হাঁটছি
চারপাশে টিমটিম করছে জীবন
চাওয়ালা গীত গায়- “…..ও…… সঁইয়া হামার……..!”
ভেজা ত্বকে পূর্ণিমা রাত পড়ে
মাঠ থেকে ফিরে যাচ্ছে খেলা
ছোট ছেলে মেয়ে, বাদামের খোসা ওড়ে
অন্ধকার অশ্রুসজল হয়
নাটকের মহলা চলছে
সুর সুর ভেসে ভেসে আসে
শুধু আকাশের অনুকম্পা নেই
আমি হাঁটি
গাছের তলায় গিয়ে বসি
জোনাকি পাখির মত বিচ্ছেদ জ্বলে জ্বলে ওঠে
নিভে যায়
আবার জ্বলল?
যে নেই, তার সঙ্গে বসে থাকি গাছের তলায়……….
পায়রা
তুই যদি
দিনান্তের দিগন্তের শেষ চিঠি ওড়াস আকাশে
আমি তবে আন্ধার
আমি তবে পায়রা-স্তনের মত নদী………..
আয়নায় জেগে আছি সারারাত
প্রভাতী প্রতিভার পানে বয়ে যায় গৌরবহীন ডুরিশাড়ি
খালি গায়ে
পালক লাগলে প্রিয়সখা
ঠোঁট দিয়ে খুঁটে নিস ব্যথা!
পুঁটুলি তুলেনে
চল আজ হ’য়ে উঠি ভোরের আরতি-
আমি আর তুই আর পৃথিবীর সব শরণার্থী………..
কবি পরিচিতি- ঝিলম ত্রিবেদী, জন্ম ১৯৮৪ সালের পৌষমাসে।"দর্শন" নিয়ে
পড়াশোনা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখায় প্রবেশ বেশ পরে,২৭/২৮ বছর বয়সে।
অনুভূতির গভীরে তাঁর লেখার শিকড়। তাঁর কবিতার প্রতিটি চরণ আমাদের
সকলকে আয়নার সামনে দাঁড় করায়। বিষয় বৈচিত্রে, ভাষার প্রয়োগে, শব্দের
ব্যবহারে ঋদ্ধ তাঁর লেখা পাঠ করা,এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তাঁর লেখনী একাধারে
যেমন চাবুকের মত উদ্ধত, তেমনই আবার ভালোবাসার মত কোমল। কবিতার
পাশাপাশি চলছে গদ্য ও নাটক লেখা-ও।
২০১৫ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ "নিরুদ্দেশ সম্পর্কিত ঘোষণা"-র প্রকাশ। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখে
চলেছেন। "দেশ" অনলাইন পত্রিকায় "নির্বাচিত কবি"-র সম্মান প্রাপ্তি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে, আমন্ত্রিত
কবি হিসেবে, ৪র্থ বাংলা কবিতা উৎসবে অংশগ্রহণ।
লিখতেই হয় তাঁকে ঈশ্বরের অদৃশ্য নির্দেশের মত।
লিখে যাবেন, যতদিন তিনি লিখতে বলবেন।
যে নেই তার সঙ্গে বসে থাকি গাছ তলায়…. আহা,
সত্যি তুই কি আদৌ স্বাভাবিক গড়পড়তা জীবনে বিরাজ করিস সকাল দুপুর রাত! তোর লেখা ক্রমশঃ এক অন্য জীবনের ঈশারা দিচ্ছে দিনান্তে। যদিও অন্ত কথাটায় আমার বিশ্বাস নেই বা অন্ত বলে কিছু হয় না।
বাদামের খোসা ওড়ে
মিষ্টি ভালবাসা নিস
কী সুন্দর করে বললে কাকু… আমার বড় আনন্দ হয় যখন তোমার মতো একজন মানুষ, এ’ভাবে আমার লেখা পাঠ করেন… প্রণাম নিও আমার..