এক যুবতী ঢাকিনী।
নন্দীদের পুজোয় ঢাক বাজায়।
একদিন মনে মনে মনে
বলে সে মাকে,
মা গো আমি কি তোকে
মন থেকে ডাকিনি?
কত্ত কত্ত কত্ত জনে
তোকে ফুলের মালায় সাজায়।
আমি ক্যানে তোকে
সাজ্জাতে পারি নি?
আমি তো বোল তুলি ঢাকে-
দুগ্গা মাঈয়া কী, জয়!
বল দিকিনি মা!
আমি কী ভক্তিভরে
বাজ্জাতে পারি নি?
ক্যানে আমি ঢুকতে পারি নি
তোর ওই ঘরে?
ক্যানে দাঁইড়ে থাকি
শুধুই বাইরে, দূরে,
আঙিনার পরে?
তুই নোস হামার মাইয়া কী?
কত্তোই না ভক্তির সুরে
হামি বাজ্জাই হামার এই ঢাক ই!
কত্তো মন থিকে ডাকি
আমি তোরে!
আমার ঢাক ই
সদাই বোলে,
জয় দুগ্গা মাইয়া কী!
দ্যায় সারা আঙিনা তোর নামে ভরে।
এবার তো তুই আমায় ডাক!
আমি ঢুকে তোর ঘরে
পেন্নাম করি ছুঁয়ে তোরে!
শুনে মেয়ের কাতর ডাক,
দুর্গা মা বাইরে এলেন, ঘর ছেড়ে।
পরনে তাঁর শাড়ি, লাল পেরে।
ঢাকিনীর হাত ধরে
নিয়ে গেলেন আপন ঘরে।
নিজের হাতে তুলে দিলেন ঢাকিনীর হাতে,
একটি মালা।
আর বললেন, আমায় পড়া!
ওরে! আমি যে মা!
আমি কী আর ভিন্ন দেখি নিচু জাতে?
তোর অন্তর তো এক পূর্ণ ভক্তির ডালা!
শুদ্ধ বিশ্বাসে গড়া।
একটুও পাপ যে নেই তাতে।
মা-মেয়ের ডাকাডাকি হল সম্পূর্ণ।
পৈতের হল দর্প চূর্ণ।
মা হল সকলেরই মা……