আজ তুমি আমাকে দেখে নাও মন ভরে –
কী ভাবে কাঁপছে আমার সিংহাসন,
কেমন ফাটল ধরেছে আমার ঘরে ;
ভালো করে দেখো চেয়ে আমার স্বপ্নের রংমহল
কেমন ভাবে একটা ধ্বংসস্তূপে হচ্ছে পরিণত !
এই সুখ তো তোমারি দান –
এই এতো ঝড়, এতো বৃষ্টি, এতো ক্ষত !!
মনে পরে সেই দিন টা যেদিন
তোমার কাছে প্রকাশ করেছিলাম প্রথম
আমার লেখার ইচ্ছে ?
তুমি খানিক্ষন নীরব রয়ে
হঠাৎ তোমার সেই প্রিয় কলমটি
দরাজ থেকে বেরকরে এনে
আমায় দিয়ে বললে –
“ভয় কিসের ? তুমি লেখো”
আমি বললাম –
“কিন্তু আমার কাছে যে নেই স্বপ্ন, নেই কল্পনা !”
তুমি বললে –
“আমি আছি তো !! সে কি এতো ফিকে ?”
আমি অশ্রু ভরা চোখে
শুধু স্তব্ধ হয়ে চেয়ে ছিলাম তোমার দিকে…
সেদিন তুমি বুঝিয়ে দিয়েছিলে
যে আমার এই দুর্গম পথে
তুমিই হয়ে উঠবে আমার স্বপ্ন, আমার কল্পনা ;
আর আজ যখন আমি তোমার দেয়া সেই কলমটি
পতাকার মত তুলে ধরলাম এভারেস্টের শিখরে ,
তুমি তখন আমার দোয়াতের শিশিটা হঠাৎ করে
ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দিতে পারলে অনামিকা ?
একবার দেখো তাকিয়ে,
কেমন সারা মেঝে দোয়াতের কালিতে
হয়ে উঠেছে নীল !
কেমন ভাঙা দোয়াতের শিশির টুকরো
আছে চারিদিকে ছড়িয়ে !!
অনামিকা, কি সুন্দর লাগছে আজ তোমায় – অপূর্ব !
আজ তুমি সেজেছো অনেক ;
অথচ এই বিষাক্ত নীল কাঁচগুড়ো দিয়ে
তুমি করলে আমার অভিষেক !!
তোমার এই পতাকা – রূপী কলম দিয়ে
আমি এখন কি করবো ?
দমকা ঝড় এসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে আমার মুকুট
আমি যে এখন শূন্য !!
আজ শেষ সাজে দেখছি তোমাকে
তোমার ঠোঁটে যেন এক অচেনা মৃদু হাসি ;
লাল কাপড়ে সাজানো তোমার দেহ,
রজনীগন্ধা রাশি রাশি ;
ধূপ ধুনো চন্দন – কিছুই রাখোনি বাকি ;
তাহলে তাই কি ঠিক করেছো ? চলে যাবে ?
সাথে নিয়ে আমার সব স্বপ্ন, সব কল্পনা ;
আমি পরে রইবো একা, পুরো একা !
এই পাষাণ – রূপী অন্তর আমার
খালি দুটি কথা বলিবারে চায় তোমায় –
দুটি কথা – “অনামিকা, বিদায় !!”
কলমে ময়ূখ গোস্বামী
Participate in Creative writing Contest & International Essay Contest and win fabulous prizes.