ও ছেলে,তোকে কাঁদতে নেই-
ছেলেরা কাঁদে না।
উফ্ ! মনের জ্বালা মিটত,
যদি শেখাতে পারতাম-
ছেলেরা কাঁদায় না।
ও মেয়ে…..
তোর ইজ্জত খোয়াতে নেই
মেয়েরা ইজ্জত খোয়ায় না
সত্যি,শান্তি পেতাম,
যদি শেখাতে পারতাম
মেয়েরা কিভাবে
মরতে চায় না।
বুকটা জ্বলে ছারখার
আগ্নেয়গিরি জ্বলছে বোধহয়,
ফাটবে বোধহয় এখুনি,
সমাজের বুকে ফোটা ফোটা
রক্তের দানা…….
আগুনের ফুলকি হয়ে ফুটছে
মনের গভীরের ক্ষতটা…..
আরও ঘায়ের আকার নিচ্ছে
চিৎকার করে
বলতে ইচ্ছা করছে-
ও সমাজ, তুই কোথায়??
তোর মনুষ্যত্ব মরলো নাকি?
বিবেক হারালি!!
আসছি আমি আসছি,
ছিলাম আমি ছিলাম
মা হয়ে তোর,
জন্ম দিলাম যেদিন-
স্তন্যপান করালাম সেদিন।
আরও মনে হয়…..
নারী আমি কিসের?
নারী আমি কেনো?
আমার আঁচলে টান
পড়লে……….
দূর্গা হতে পারি যেন।
থাকবো আমি থাকব
সম্মান নিয়ে বাঁচবো।
ও ভবিষ্যৎ,চিত্রগুপ্তের
খাতা খোল…….
দেখ্,লিখেছি আমি
বিধির বিধান-
আমার মেয়ে,আমার ছেলে
কোটি ভারতের সবুজ কোলে
স্নিগ্ধরূপে দেখবে আমায়
করলে আমায় যতন।
চন্ডী রূপে খন্ডাব তাদের
যাঁদের…………….
নপুংসক করতে পারি তাঁদের।
আমি মা,আমি মেয়ে-
আমি তোমার প্রিয়া।
রেখো আমায়-
ভালোবেসে,
এই শতাব্দীর –
স্বপ্ন দেখতে যেন
মনে না হয়
ইচ্ছে করলেই আমায় পেতে।
ও ছেলে,ও মেয়ে-
কাঁদতে নেই।
কাঁদাতে নেই।
বাঁচো, বাঁচতে শেখাও,
সম্মানের সাথে
তীরন্দাজ হয়ে।
মমতাময়ী হাতের তলে
জীবনকে ধরে।
ও সমাজ,
আমায় দেখো….
আমি এলাম থাকব বলে
তোমার খোলা আকাশে
খোলা ডানা মেলে।
আলতা পায়ে যেদিন
মানসী হয়ে ছিলাম-
বোঝোনি বোধহয়
হোলির রঙে যেদিন
আবির মেখেছিলাম-
দেখোনি বোধহয়
হাতের সুপ্ত রক্তের রঙটা।
মনের দাবানল টা –
মাটি চাপা ছিলো।
ও ভবিষ্যতের মাথারা-
মাথা তোলো চিনে নাও-
কাঁটাতারের আড়াল থেকে
মাংসপিন্ড টা প্রাণ পেয়েছে
দেখে নাও-
চিৎকার শুনতে পাচ্ছো?
নন্দী-ভৃঙ্গীরা নাচছে।
তাণ্ডব হচ্ছে চারিদিকে-
তারা ছদ্মবেশে ঘুরতে গিয়ে
খুঁজে পেয়েছে তাঁদের মাকে-
বিকলাঙ্গগুলোর ঘরে ঘরে।
ছেলেরা কাঁদে না।
উফ্ ! মনের জ্বালা মিটত,
যদি শেখাতে পারতাম-
ছেলেরা কাঁদায় না।
ও মেয়ে…..
তোর ইজ্জত খোয়াতে নেই
মেয়েরা ইজ্জত খোয়ায় না
সত্যি,শান্তি পেতাম,
যদি শেখাতে পারতাম
মেয়েরা কিভাবে
মরতে চায় না।
বুকটা জ্বলে ছারখার
আগ্নেয়গিরি জ্বলছে বোধহয়,
ফাটবে বোধহয় এখুনি,
সমাজের বুকে ফোটা ফোটা
রক্তের দানা…….
আগুনের ফুলকি হয়ে ফুটছে
মনের গভীরের ক্ষতটা…..
আরও ঘায়ের আকার নিচ্ছে
চিৎকার করে
বলতে ইচ্ছা করছে-
ও সমাজ, তুই কোথায়??
তোর মনুষ্যত্ব মরলো নাকি?
বিবেক হারালি!!
আসছি আমি আসছি,
ছিলাম আমি ছিলাম
মা হয়ে তোর,
জন্ম দিলাম যেদিন-
স্তন্যপান করালাম সেদিন।
আরও মনে হয়…..
নারী আমি কিসের?
নারী আমি কেনো?
আমার আঁচলে টান
পড়লে……….
দূর্গা হতে পারি যেন।
থাকবো আমি থাকব
সম্মান নিয়ে বাঁচবো।
ও ভবিষ্যৎ,চিত্রগুপ্তের
খাতা খোল…….
দেখ্,লিখেছি আমি
বিধির বিধান-
আমার মেয়ে,আমার ছেলে
কোটি ভারতের সবুজ কোলে
স্নিগ্ধরূপে দেখবে আমায়
করলে আমায় যতন।
চন্ডী রূপে খন্ডাব তাদের
যাঁদের…………….
নপুংসক করতে পারি তাঁদের।
আমি মা,আমি মেয়ে-
আমি তোমার প্রিয়া।
রেখো আমায়-
ভালোবেসে,
এই শতাব্দীর –
স্বপ্ন দেখতে যেন
মনে না হয়
ইচ্ছে করলেই আমায় পেতে।
ও ছেলে,ও মেয়ে-
কাঁদতে নেই।
কাঁদাতে নেই।
বাঁচো, বাঁচতে শেখাও,
সম্মানের সাথে
তীরন্দাজ হয়ে।
মমতাময়ী হাতের তলে
জীবনকে ধরে।
ও সমাজ,
আমায় দেখো….
আমি এলাম থাকব বলে
তোমার খোলা আকাশে
খোলা ডানা মেলে।
আলতা পায়ে যেদিন
মানসী হয়ে ছিলাম-
বোঝোনি বোধহয়
হোলির রঙে যেদিন
আবির মেখেছিলাম-
দেখোনি বোধহয়
হাতের সুপ্ত রক্তের রঙটা।
মনের দাবানল টা –
মাটি চাপা ছিলো।
ও ভবিষ্যতের মাথারা-
মাথা তোলো চিনে নাও-
কাঁটাতারের আড়াল থেকে
মাংসপিন্ড টা প্রাণ পেয়েছে
দেখে নাও-
চিৎকার শুনতে পাচ্ছো?
নন্দী-ভৃঙ্গীরা নাচছে।
তাণ্ডব হচ্ছে চারিদিকে-
তারা ছদ্মবেশে ঘুরতে গিয়ে
খুঁজে পেয়েছে তাঁদের মাকে-
বিকলাঙ্গগুলোর ঘরে ঘরে।
–নীলাঞ্জনা সরকার
কবি নীলাঞ্জনা সরকার এর কলম থেকে —
“ছোটবেলা থেকে কবিতার আর গল্পের প্রতি আকৃষ্ট আমি। তবে কবিতা লেখার শুরু , নিজের প্রতি ভালোবাসা থেকে। মনে হয় কিছু শব্দ যা মনের মধ্যে খেলা করে তাকে একটু কলমের ছোঁয়া দি। জানিনা কতটা কবি হতে পেরেছি, তবে এতটুকু বিশ্বাস রাখি নিজের মনের আয়না হয়ে উঠতে শিখছি। “
বেশ লাগলো
Khub bhalo laaglo…..chaliye jao
Khub sundar
Khub khub bhalo laglo
Darun lekha!
Khub bhalo laglo.Asha korchi ei rakom aro bhalo kobita pabo kobir kach theke.
Khub bhalo laglo. Ei rakom aro bhalo bhalo kabitar ashate railam.
বেশ ভালো