তুমি যখন রজস্বলা হলে
কদমের রোঁয়ার মতো ফুটে উঠলো স্নায়ু
রোমাঞ্চের আতর দিয়ে স্নান করালাম তোমায়
দু’হাত ভরে নিলাম স্তন , শিশির , মুগ্ধ পরমায়ু
কী অকপট চোখের পলক দিয়ে
বিদুর সন্ধ্যার গায়ে লিখে দিলে রক্তপাত
তোমার সে পরাজয়
সে তোমার পরাজয় নিয়ে
দু’চোখে আঁকলো তার শৃঙ্গার
ঠোঁটের কাজল তিল
সন্তানসম্ভবা রাত …
হে আমার গভীর প্রপাত
যদি চাও দিতে পারি ঋণ
যোনি বন্ধক রেখে করবোনা প্রেম কোনোদিন।
কবি —ঝিলম ত্রিবেদী
কবি “ঝিলম ত্রিবেদী” র কলম থেকে —আমি কবিতা লিখছি ৫ বছর হল। লিখতে গিয়ে দেখেছি মানুষের, বিশেষত মেয়ে-মানুষের অবস্থান এই পৃথিবীতে যা ছিল তার পরিবর্তন এত সামান্য হয়েছে যে এখনও অসহায়তার অনাদর আমাদের সমস্ত মেয়েদের কুরে কুরে খাচ্ছে নিয়ত! মহাভারতে দ্রৌপদীকে মনে পড়ে আমার। যখন স্বামীদের বাজারে তার কেনাকাটা চলছে এবং সে বিনামূল্যে বিক্রি হয়ে গেল পাঁচ পাণ্ডবদের পাণ্ডুর নিলামে, তখনও সে চুপ!!!— কেন?? কেন সে যজ্ঞাগ্নিসম্ভূতা বলতে পারলনা একবার— “না! আমি পঞ্চ-খরিদ্দারের সংসার করবনা কোনদিন! আমি আজীবন একা থাকব মাথা উঁচু করে মানুষের মত। বাঁচব আমি কারো দাক্ষিণ্য ছাড়াই!”বলেনি পাঞ্চালি তখন।এখন বলবে।আজ বলবে।বলবে— “যোনি বন্ধক রেখে করবনা প্রেম কোনদিন!” এই আমার স্বপ্ন……..
লেখিকার আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুন "ইন্দির-ঠাকরুন" "ইউসুফজাই -উপত্যকা"
Excellent
অসাধারন
মুগ্ধ
এ নিয়ে কিছু বলা বোধ করি ধৃষ্টতা, তবু কবি তোমার ভাষার তীক্ষ্ণ ছুরি দিয়ে এই পুরুষ প্রধান সমাজের বুক চিরে মেয়েরা না বলতে শিখুক।
তোমার শব্দ চিরস্থায়ী হোক এ কামনা রইল।
অনবদ্য ঝিলম..”যোনি বন্ধক রেখে করবোনা প্রেম কোনোদিন”..আহা!..কবে মেয়েরা দীপ্ত কন্ঠে সোচ্চারে এই কথা উচ্চারণ করবে রে!..এ যে আমার স্বপ্ন..সেই সুদিনের আশায় আছি
অসাধারণ