<< জাপান পর্ব ১৫ ২য় জুন ,২০১৮
Ningyocho-Eki-Kita এই স্টেশন থেকে টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম প্লাটফর্ম এ , গার্ড ক জিগেস করতেই দেখিয়ে দিলো, কোন প্লাটফর্ম এ ট্রেন আসবে। ৪ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ট্রেন নিয়ে ৬ মিনিটের মধ্যে Asakusa আসাকুসা স্টেশন। বাইরে বেরোতেই যেন মেলা বসেছে , এতো ভিড় , জমজমাট , বেশ বেশ। আমার এই ভালো লাগে। জিপিএস অন করে শুরু করলাম সেনসোজি টেম্পলে খোঁজা।একদম পাশেই ৩ মিনিট হাঁটা রাস্তায়। বিশালকায় মন্দির ,সামনে জেব্রা ক্রসিং টা একটু অন্যরকম। এদিক ওদিক না হয়ে চারিদিক থেকে সেই রাস্তা পার হয়ে যায়।একে বলে স্ক্র্যাম্বল scramble ক্রসিং , টোকিও র রাস্তায় এটা নতুন কিছু নয় , কারণ এতো বেশি জনসংখ্যা আর এতো ভিড় রাস্তা ,তাতে ট্রাফিক সিগন্যাল , ২ মিনিট লাল হলে , শ এ শ এ লোক জমা হয়ে যায় ,রাস্তার এপার ওপারে , তাই হয়তো এই ব্যবস্থা।
টোকিওর একটা ক্রসিং বিখ্যাত , সেটা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে লোক আসে , নাম Shibuya Crossing, আমাদের আছে ছিল সেখানে যাওয়ার , দেখা যাক , কি হয়। শোনা যায় , এটি , বিশ্বের সব থেকে ব্যস্ত ট্রাফিক সিগন্যাল ক্রসিং (রাস্তার ) . এটিও শোনা কথা যে , ব্যস্ত সময় এ এখানে একসাথে ১০০০ লোকের ও বেশি লোক একসাথে রাস্তা এপার ওপর করেন। ক্রসিং টি ভালো করে দেখার জন্য , অনেক গুলো view point আছে , তার মধ্যে , একটি হলো , কাছের একটি sky walk , পশে থাকা sturbucks এর দোকানের ২nd ফ্লোর।
আসাকুসার স্ক্র্যাম্বল ক্রসিং পেরিয়ে পৌছালাম সেনসোজি টেম্পলে এ। বেশ ভিড়। মন্দিরের সামনে এক ফটো তোলা দায়। এই প্রথম চোখে পড়লো বিশাল আকারের লণ্ঠন , সে সত্যিই বিশাল। কারণ আমাদের দেশে আজ কাল দীপাবলি তে যে ছোট ছোট লণ্ঠনের ন্যায় জিনিস ঘর সাজানো, আলো বাতি লাগানোর কাজে লাগে , তার থেকে প্রায় ৫ গুন্ বড় জাপানীস লণ্ঠন এর ন্যায় এই আলোক বাতি , এখনো পর্যন্ত কিয়োটো র সব মন্দিরে দেখে এসেছি , কিন্তু এ তার ও ১০ গুন. একটি লাল, একটি কালো। মন্দিরের গেটের মাঝ খানে ঝোলানো। মন্দিরের গেট তাহলে কতটা উঁচু , সে আন্দাজ করতে পারবেন এবার। ভেতরে ঢুকে , পেছন ফিরে গেট এর দিকে তাকাতে দেখলাম তাতে দুপাশে চটের তৈরি চটির ন্যায় চটির শো piece লাগানো। এটাও এদের কোনো ধার্মিক বিশেষ ব্যাপারে চিহ্ন মনে হয়। কারণ , aoi masturi তে সব পদচালকদের ঠিক এরকম চট বা বেত (ঠিক জানিনা কিসের তৈরী এই চটি ) এর চটি পরতে দেখেছিলাম।
ভেতরে ঢুকতে দেখা গেলো দুদিকে সারি দিয়ে নানান দোকান , খাবারের , মিষ্টির , ঘর সাজানোর , চিনামাটির বাসন , ব্যাগ , ছাতা , খেলনা ,আইস-ক্রিম , কিনা নেই , একদম মেলা।
এগিয়ে গেলাম মন্দিরের দিকে , এখানে নজরে পড়লো মন্দিরের সাথে সাথে পাশেই রয়েছে পাঁচ তলার প্যাগোডা ও। মন্দিরের সামনে হাত ধোয়ার জায়গা , যেখানে সব মানুষ আগে হাত ধোয় , তারপর মন্দিরে প্রবেশ করে। ছিল বিশাল একটা ধূপের ছাই স্তুপ ,তাতে অজস্র ধুপ জ্বলছে আর তার ধোঁয়া লোকেরা মাথা পেতে নিচ্ছে , ঠিক আমাদের বাড়ির পুজোতে পঞ্চপদীপের আশীর্বাদ।
মন্দিরের সামনের ঘন্টা আর আলোকবাতি দুই এ বিশালাকায় আর তেমনি বড় মন্দিরের দরজা , মনে হচ্ছিলো এ কেন রাজার প্রাসাদ। ভেতরে বুদ্ধের মূর্তি। আমার চোখ এটুকু পর্যবেক্ষণ করলেও এই মন্দিরের ইতিহাস অনেক কিছুই বলে —
সেনসজী (浅 草 寺, সেন্সোজি, যা আসাকুসা কানন মন্দির নামেও পরিচিত) আসকুসায় অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির। এটি টোকিওর সবচেয়ে রঙিন এবং জনপ্রিয় মন্দিরগুলির মধ্যে একটি।
কিংবদন্তি বলছেন যে 6২8 বছর বয়সে, দুই ভাই সুমিদা নদী থেকে কাননের মূর্তি, (যা নাকি করুনার দেবী দেবীমূর্তি) পান এবং এমনকি তারা মূর্তিটিকে নদীতে ফিরিয়ে দিয়ে আসা সত্বেও , তা বার বার তাদের কাছে ফিরে আসে। ফলস্বরূপ, সেনজোজি কাননের দেবী জন্য নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটি 645 খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়, এটি টোকিওর প্রাচীনতম মন্দির ।
মন্দিরের কাছে পৌঁছানোর পর দর্শকরা প্রথমে যেটি দেখতে পান সেটি হলো।, কুমন্যারিমন (থান্ডার গেট), সেনসজী মন্দিরের বাইরের গেট এবং আসকুসের প্রতীক।
এর পরেই রয়েছে নাকামিস নামে ২00 মিটারের বেশি রাস্তার একটি শপিং রাস্তা যা বাইরের গেট থেকে মন্দিরের দ্বিতীয় গেট, হজোমোন পর্যন্ত চলে যায়। এখানে কি কি পাওয়া যায় তা তো আগেই উল্লেখ করেছি। শপিং রাস্তাটির নাকি অনেক শতাব্দীর ইতিহাস রয়েছে।
Hozomon গেট অতিক্রম করে মন্দিরের প্রধান হল এবং একটি পাঁচটি তলোয়ার প্যাগোডা দাঁড়িয়ে আছে ।যেটি যুদ্ধে ধ্বংস হবার পর , অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক কালে পুনর্গঠন করা হয় । 166২ সালে টোকুগা আইমেৎসু আসাকুসা শেরাইনটি নির্মাণ করেন , যা মন্দিরের প্রধান ভবনের বামে মাত্র কয়েক ডজন মিটার দখল করে আছে ।সেনসজী মন্দির এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় Sanja Matsuri,সানজা মাতসুরি, মে মাসে অনুষ্ঠিত আসাকুসা শেরনের বার্ষিক উৎসব। আগস্টে আসকুসা সাম্বা কার্নিভাল এবং হ্যগোটা-ইচি (হাগিটা মার্কেট) অন্য ইভেন্টগুলি রয়েছে যেখানে হানসেটিকির hanetsuki বলে একটি ঐতিহ্যগত খেলা অনুষ্টিত হয়।
কি করে এখানে পৌঁছাবেন :
সেনসজি মন্দিরটি আসাকুসা স্টেশন থেকে কয়েকটি ধাপ, যা গিন্স সাবওয়ে লাইন, আসকুসা সাবওয়ে লাইন এবং টোবু রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত।
টোকিও স্টেশন থেকে
কান্দ্রা Kanda স্টেশনে (২ মিনিট, 140 ইঞ্চি) জেআর ইয়ামানোট লাইনটি JR Yamanote Line নিন এবং আসাকুসার জন্য গিন্স সাবওয়ে লাইনের কাছে (10 মিনিট, 170 ইয়েন) ট্রেন পরিবর্তন করুন।
শিনজুকু Shinjuku স্টেশন থেকে
কমলা জেআর চুউ লাইনকে JR Chuo Line এর ট্রেন এ করে কাঁদা স্টেশন (10 মিনিট, 170 ইয়েন) এ যান এবং সেখান থেকে আসাকুসার জন্য Ginza সাবওয়ে লাইনের কাছে (10 মিনিট, 170 ইয়েন) ট্রেন পরিবর্তন করুন।
প্রবেশ সময় ও প্রবেশ মূল্য :
প্রতিদিন খোলা এই মন্দিরটির প্রধান হল: সকাল ৬:00 থেকে বিকেল ৫:00 তা অবধি (অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬:৩0 টা থেকে) খোলা থাকে এবং মন্দিরের বাকি অংশ সর্বদা খোলা থাকে।
এই মন্দির এ ঢুকতে কোনো প্রবেশ মূল্য লাগেনা।
মন্দির দর্শনের পর মন্দিরের সামনে খোলা বসার জায়গায় বসে একটু জিরিয়ে নি , আর সাথে সাথে চোখে পরে , টোকিও skytree এর শীর্ষ। দেখে মনে হচ্ছিলো কাছেই কোথাও , হয়তো ১০ মিনিট হাঁটলে পৌঁছে যাবো। আমরা তখন ও দোনোমনায় যে টোকিও skytree যাবো কি যাবো না , কারণ কিয়োটো টাওয়ার ইতিমধ্যে দেখা হয়ে গেছে , এতে আর কি নতুন দেখবো। ভাবছি আর এগোচ্ছি। আসাকুসা স্টেশন এর সামনের জায়গাটা সত্যি মায়ানগরীর মতো। সেখানে কি না নেই। সামনে রাস্তায় অনেক পরিচিত দোকান (মানে যে সব খাবারের ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া তেও আছে ), সেরকম এ এক দোকান burger king এ ঢুকে বিকেলের খাওয়াটা সেরে ফেললাম। আসলে আমরা শরীর আর মনের দিক থেকে খুব এ ক্লান্ত। কিন্তু মস্তিস্ক চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে। এত দূরে এসে দেখবোনা এসব ঘুরে। এসব ভাবতে ভাবতে এগোতে থাকলাম , টোকিও skytree যে দিকে দেখা যাচ্ছে সে পানে মুখ করে। রাস্তায় পড়লো Azumabashi সেতু , যার নিচে বয়ে গেছে সুমিদা Sumida নদী।
কি অপূর্ব সেই বিকেল। মনে হচ্ছিলো ওই নাদির পারে গিয়ে বসে থাকি। হাওয়া বইছিলো মনমোহক।সেতুর নিচ দিয়ে নদীতে চলে যাচ্ছিলো বড় বড় স্টিমারের ন্যায় সব জলযান। মেয়ে অনেক বায়না করলেও আমাদের আর সেই নাদির পারে বসা হয়ে ওঠেনি , কারণ আমাদের মাথায় তখন চেপেছিল টোকিও skytree দেখার ভূত।
হাঁটতে শুরু করি তখন ৫:৩০ বিকেল হবে , ভাবলাম কতক্ষন আর লাগবে , হেঁটে ১০-১৫ মিনিট , ওই তো দেখা যাচ্ছে , চলো। চলা শুরু হলো। সামনে দেখলাম বিশাল উঁচু উঁচু বিল্ডিং , তাও অদ্ভুত সব আকারের। এখানে আমাদের মতো মানুষের আর museum এ গিয়ে কাজ নেই। আসে পাশে যা সব নজর এ পড়ছিলো সব এ আমাদের দেশের museum এ রাখার মতো। চোখ আর মাথা যে ভাবে আমাদের টোকিও skytree কে দেখা ছিল , ঠিক সে ভাবে মস্তিষ্কের জিপিএস অন রেখে হাঁটা চলতে থাকলো। কিন্তু একি , যতই হাঁটি , টাওয়ারটি ঠিক অতোটাই ছোট আর দূরে মনে হয়। কি জ্বালা। ভাস্কর কে বললাম কাউকে জিগেস করো। কিন্তু আশেপাশে দু তিন টি যে মানুষ দেখছিলাম , তারা সবাই আমাদের মতো বিদেশী , আর আমাদের মতো বোকা হয়ে ওই skytree দেখে skytree এর উদ্যেশে হাঁটছিলো। মেয়ে বলতে শুরু করলো আর পারছিনা মা। তা তো ঠিক এ। সেই সকাল থেকে চলছে। কিয়োটো থেকে টোকিও , তার পর আবার টোকিও ভ্রমন। সত্যি মনে হচ্ছে জাপান থেকে আমরা পুরোপুরি না হলেও ছোটোখাটো সামুরাই হয়ে ফিরবো। এই দেশে এসে যে হারে আমি সাইকেল চালায় , তা আমি আমার স্কুল জীবনে পুরো সময়ে ও চালায় নি আর হাঁটা !!! সে আর কি বলি। এক একদিন সপ্তাহান্তে এতো হাতি যে পা এ ব্যাথা পরের দিন বিকেল অবধি থাকে। আজ আবার মনে হচ্ছে সেরকম হাঁটা কপালে আছে।
হেঁটেই চলেছি হেঁটেই চলেছি। কখনো আমাদের সাথে লোক গুলো কে অনুসরণ করি , কখনো তারা হারিয়ে যায়। এরুম করে প্রায় ৬:৩০ মিনিট সন্ধ্যে তে আমরা , মানে প্রায় এক ঘণ্টা বা তার বেশি হবে , হেঁটে আমরা Tokyo skytree এর আসল রাস্তা খুঁজে পায়। আর রায় নি , এ রাস্তা আর হেঁটে কিন্তু ফিরবো না , তাহলে আজ আর ফেরায় হবে না , একদম মরে যাবো। যে ভাবেই হোক ট্রেন বা বাস খুঁজে বার করতে হবে।
ঢুকলাম টোকিও skytree এর চত্বরে। এর আবার অনেক নাটক। বিশেষ লাইন আর সাধারণ লাইন। বুঝতেই পারছেন কেন তা বিশেষ। সাধারণ চিনে এ তখন অপেক্ষা সময় ১ ঘন্টার ও বেশি আর বিশেষ লাইন এ কোনো অপেক্ষারত সময় নেই , কিন্তু এক একজনের টিকিট মূল্য তিনজনের সমান। আমি জেদ করলাম সাধারণ লাইন এ যাবো, ভাস্কর অনেকবার বোঝানো সত্বেও , কিছুর ভূত মাথায় চেপেছিল। এবার লাইনে দাঁড়ানোর পালা। সত্যি একি আমি !!মানুষ কেমন বয়েসের সাথে অভিজ্ঞতার সাথে বদলায় , নইলে আমার মতো সুখী মানুষ আজ ১ ঘন্টা হেঁটে , তাও আবার ১ ঘণ্টার ওপর লাইন দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত। ভাবা যায়না সত্যি বলছি , অন্তত যারা আমাকে চেনে , তারা বলবে এ আমি সে আমি নয়। যাক সে কথা , ভাস্কর আগেই বললো, তাড়াতাড়ি দেখে ফিরে আসবো , কারণ কি করে ফিরতে হবে জানিনা আর হোটেল এ ফিরে খাবার ব্যবস্থা ও করতে হবে। সব চিন্তা তখন মেয়ে কে নিয়ে। আমাদের জন্য বেচারা মেয়ে কে আমার অত্যাচারিত মনে হচ্ছিলো।
ভাগ্যিস , কিয়োটো টাওয়ার দেখিছি বলে , এটা দেখবোনা , এই ভূত মাথা থেকে নেমেছিল। কারণ কোথায় কিয়োটো টাওয়ার আর কোথায় এই টোকিও Skytree। এটি বিশ্বের সর্ব উচ্চ টাওয়ার (যদিও ভূর্জ খলিফা কে এখন উচ্চতম বলা হয় , কিন্তু আসল টাওয়ার হিসেবে এটিই প্রথম ), সেই skytree এ উঠে শহর দেখা , তাও টোকিও , সৌভাগ্য আছে বৈকি। আমাদের বোকামির জন্য আমরা বিকেলের বা দিনের আলোয় টোকিও শহর কে দেখতে পাইনি ঠিক এ , কিন্তু এ কিছু কম পাওনা ছিল না। যে চোখ দিয়ে তা দেখলাম তা এ জীবনে ভোলার নয়। সব ক্লান্তি তখন বেমানান লাগছিলো। এদিক ওদিক দিয়ে দেখতে থাকলাম , দূরবীন দিয়ে , খালি চোখে। সুমিদা নদীর ওপর স্টিমার গুলো , ঝলমলে শহর , এ যেন তাকিয়ে দেখা স্বপ্ন।
টোকিও স্কাইট্রি (東京 ス カ イ ツ リ ー) একটি টেলিভিশন সম্প্রচার টাওয়ার এবং টোকিও এর ল্যান্ডমার্ক। এটি আসাকুসা কাছ থেকে বেশি দূরে নয়, এটি সুমিদা সিটি ওয়ার্ডের টোকিও স্কাইট্রি টাউন এর কেন্দ্রপাত্র। 634 মিটার উচ্চতার (634 টোকিও অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নাম “মুসাশী” হিসাবে পড়তে পারে), এটি জাপানের সবচেয়ে লম্বা কাঠামো এবং এটি সমাপ্তির সময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঠামো হিসাবে নির্বাচিত হয় । অ্যাকোয়ারিয়ামের সাথে একটি বড় শপিং কমপ্লেক্স তার বেসে অবস্থিত।টোকিও স্কাইট্রি এর হাইলাইটটি তার দুটি পর্যবেক্ষণ ডেক । দুটি ঘেরাও ডেক যথাক্রমে 350 এবং 450 মিটার উঁচুতে অবস্থিত এবং যা জাপানের সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ডেক এবং বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ।
Tembo ডেক, দুটি ডেকের নীচের ডেকে এটি , 350 মিটার উঁচু এবং তিনটি ধাপে বা তিন তলাতে বিভক্ত। । ডেক এর চারপাশের বিস্তৃত জানালা যা শহরটির সেরা রূপের 360 ডিগ্রি প্যানরামিক দৃশ্য আপনাকে দেখায়। । মধ্যম তল একটি স্যুভেনির দোকান এবং Musashi স্কাই রেষ্টুরেন্ট রয়েছে, যা ফরাসি-জাপানি ফিউশন রন্ধনপ্রণালীতে খাদ্য পরিবেশন করে, আর সর্বনিম্ন তল এ রয়েছে একটি ক্যাফে এবং কিছু গ্লাস প্যানেলে, যেখানে আপনি টাওয়ারের বেস থেকে সমস্ত পথ নিচে দেখতে পারেন ।এর মেঝেতে একটি কাঁচের ব্লক বসানো যেখান থেকে আপনি পুরো নিচ পর্যন্ত skytree র নির্মাণ দেখতে পারেন, তা যেমন চমৎকার, তেমন এ ভয়ানক। যদি আপনার উচ্চতায় ভয় থাকে তবে সে দৃশ্য না দেখায় ভালো।
এলিভেটর এর একটি দ্বিতীয় সেট ,450 মিটার উচ্চ টেমো গ্যালারি থেকে টেম্বো ডেককে সংযুক্ত করে। “বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কাইওয়ক” নাম এ পরিচিত এই টেম্ব গ্যালারিতে একটি সর্পিল ঢালাইয়ের ঢাল রয়েছে যা উচ্চতা বৃদ্ধি করে এবং এটি টাওয়ারকে বৃত্তাকার আকার প্রদান করে । ইস্পাত এবং কাচের টিউব দ্বারা নির্মিত এই টাওয়ার দর্শকদের এক আলাদা দৃশ্য প্রদান করে , টোকিও শহরের ।
সর্পিল এই ব্যালকনির শীর্ষে একটি প্রথাগত পর্যবেক্ষণ ডেক এ রয়েছে লাউংজিং এলাকায় এবং লম্বা জানালা যা দিয়ে টোকিও র অসাধারণ সৌন্দর্য্য ধরা পরে । এই তল আনুষ্ঠানিকভাবে 451.2 মিটার এ অবস্থিত এবং সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ডেক পয়েন্ট ।
কি করে পৌঁছাবেন :
টোকিও স্কাইট্রি চত্বরের চতুর্থ তলায় টোকিও স্কাইট্রি টাউন অবস্থিত, যা টোকিও স্কাইট্রি স্টেশন (পূর্বে নাম্বারহারাশি স্টেশন হিসেবে পরিচিত) টাবু ইসেসাকি লাইন এবং আশিউয়াস সাবওয়ে লাইনের হিশিয়েজ স্টেশন, হানজোমন সাবওয়ে লাইনের এলাকা ও Keisei Oshiage লাইন পর্যন্ত বিস্তৃত এবং বিকল্পভাবে, এটি আসাকুদের কাছ থেকে সুমিদা নদী জুড়ে ২0 মিনিট হাঁটা হয়।যে রাস্তা আমরা ১ ঘন্টা তে এসেছিলাম।
টোকিও স্কাইট্রি বাস এ করে সরাসরি যেতে পারেন
টোকিও স্টেশন থেকে (৩০ মিনিট, ৫২০ ইয়েন , ২টি বাস প্রতি ঘন্টায় চলে ),
ইউেনো স্টেশন (৩০ মিনিট, ২২০ ইয়েন, ৩-৪টি বাস প্রতি ঘন্টায় চলে ) ,
টোকিও Disney রিসোর্ট (৪৫- ৫৫ মিনিট, ৭২০ ইয়েন, ১টি বাস প্রতি ঘন্টায় চলে ) এবং
হেনডা এয়ারপোর্ট (৫০-৭০ মিনিট, ৯২০ ইয়েন,১টি বাস প্রতি ঘন্টায় চলে)।
প্রবেশ সময় ও প্রবেশ মূল্য :
সকল ৮ টা থেকে রাত ১০ তা অবধি খোলা , শেষ টিকিট রাত ৯ টা অবধি বিক্রি হয়।
প্রথম পর্যবেক্ষণমূলক ডেকে প্রবেশ মূল্য : 2060 ইয়েন
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণমূলক ডেকে প্রবেশ মূল্য: অতিরিক্ত 1030 ইয়েন অর্থাৎ ২০৬০+১০৩০
দ্রুত বা বিশেষ স্কাইটিরি একক টিকিট (প্রথম পর্যবেক্ষক): 3000 ইয়েন
দ্রুত বা বিশেষ স্কাইটিরি কম্বো টিকিট (প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণকারী): 4000 ইয়েন
বেশি সময় হাতে ছিল না বলে , ৮ তা:১৫ নাগাদ আমরা skytree থেকে বেরিয়ে এলাম এবং জানতে পারলাম . এই skytree ৪থ তল একটি স্টেশন এর সাথে যুক্ত। ট্রেন নিয়ে পৌঁছে গেলাম Ningyocho স্টেশন। ফেরার পথে বুঝলাম আমরা হেঁটে ২ টি স্টেশন চলে গেছিলাম।
সেদিন কার মতো রেডিমেড রামেন বা নুডল খেয়ে রাতের খাবার শেষ করলাম। আসল রোমাঞ্চ শুরু হবে কাল সকালে , যাকে দেখতে এখানে আসা।মাউন্ট ফুজি। ভূগোলে অনেক পড়েছি , এটা এখনো একটা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে। সকাল ৮ টার শিনকানসেন বুলেট ট্রেন। উত্তেজনায় আলাদা।
<< জাপান পর্ব ১৫ পরবর্তী : ক্রমশ >>
Copyright © জাপান পর্ব ১৬, 2018 by M K Paul, monomousumi.com
together with one after it…. you’d need certainly to get upstairs for here in the
first place… therefore it must certanly be that you went upstairs as
soon as.
[…] << জাপান পর্ব ১৪ জাপান পর্ব ১৬>> […]