ধানক্ষেতের সোনালী ধানগুলোর
গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে
দু এক কালি গানও কোনোদিন
গেয়ে উঠেছিল দূর্গা।
অন্যদিনের মতো সেদিনও গিয়েছিল ধান কাটতে।
কিন্তু পারেনি, নিজেকে বাঁচাতে পারেনি,
মানুষরূপী পঙ্গপালের হাত থেকে।
খুবলে নেওয়া চোখ, ভেঙে দেওয়া ঊরু,
আর উপর্যপুরি পাশবিকতায়
দশমীর অনেক আগেই বিসর্জন হয় তার,
ধানক্ষেতের মাটিতে লেগে থাকা রক্ত ও যেন
জীবন্ত মেয়েটাকে ‘লাশ’ হয়ে যেতে দেখে।
মিটিং, মিছিল, উত্তপ্ত নাগরিকমঞ্চর আড়ালে
এভাবেই হারিয়ে যায় দূর্গারা
মুখ ও মুখোশের কাছে স্তব্ধ হয়
এক নির্যাতিতার করুন আর্তনাদ।
কলমে নীলাঞ্জনা রায়
কবিতা ভালোবেসে বেঁচে থাকা। আর আমার কবিতার মধ্যে দিয়ে পাঠকের ‘হৃদয়ের শ্রাবণ’ নামে, তবে বুঝবো আমি আছি, থাকবো