৫ই সেপ্টেম্বর ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন,
সারা ভারতবর্ষজুড়ে শিক্ষক দিবস রূপে পালিত হয় ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ-এর জন্মদিন,
শিক্ষার প্রয়াসে এনার ভূমিকা অন্তহীন।
শিক্ষক হলেন মোমবাতির মত যিনি নিজে পুড়ে অন্যকে পথ প্রদর্শন করেন,
যিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি পেশার মানুষকে স্বমহিমায় গঠন করেন।
শিক্ষকরাই হলেন এই সমাজের স্তম্ভ, এই সমাজের ভিত্তি,
শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে সমাজে অপসংস্কৃতি এবং কুসংস্কার করে ইতি।
সমাজের কারিগর হিসেবে এরা শিক্ষাকে ব্যবহার করেন কারিগরিক,
একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলেন নিষ্ঠাবান, দায়িত্ববান ও সুনাগরিক।
নির্বোধেরে যোগান জ্ঞান,
তাইতো প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়েছে স্থান,
শিক্ষকই তাদের পিতা, তাদের ভগবান।
শিক্ষককে মুছে দেন শিক্ষার্থীর মনের সমস্ত ভয় ও গ্লানি,
শিক্ষার্থীরা চিরকাল শিক্ষকের কাছে ঋণী।
শিক্ষকরা নন কোনো বেতনভুক কর্মচারী,
শিক্ষকরা হলেন অন্ধকারে আলোর দিশারী।
শিক্ষকরা হলেন আলময় বীর,
শিক্ষকরাই হলেন এই সমাজের উন্নত শির।
শিক্ষক, তুমি করো সৃষ্টি, বিনাশ করো রোধের,
এ সমাজে তুমিই বিজয়ী চেতনাবোধের।
শিক্ষক, তোমার রয়েছে এক বিশেষ ক্ষমতা,
যে ক্ষমতায় তুমি দুর্বলেরে দাও বজ্র স্বরূপ কাঠিন্যতা।
যে ক্ষমতায় তুমি তিমির রজনীতে দেখাতে পারো পূর্ণিমা,
যে ক্ষমতায় তুমি সদ্যজাত শিশুকে শেখাতে পারো হামা।
যে ক্ষমতায় তুমি শীতল মরুতেও আনতে পারো তপ্ত মরুর উষ্ণতা,
যে ক্ষমতায় তুমি স্থির জলে আনতে পারো উদ্দাম হিংস্রতা।
যে ক্ষমতায় তুমি পাষাণের মনে আনতে পারো করুণা,
যে ক্ষমতায় তুমি অন্ধকারে আনতে পারো আলোর রঞ্জনা।
যে ক্ষমতায় তুমি তিরবিদ্ধ পাখির মধ্যে জায়গাতে বাঁচার আশা,
যে ক্ষমতায় তুমি মূকের মুখে জাগাতে পারো সারল্যের ভাষা।
তোমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান বাড়ে না দামি উপহারে,
তোমাদের সম্মান বাড়ে এ সমাজ, এ জাতির নমস্কারে।
আজ শিক্ষক দিবসের দিনে,
শতকোটি প্রণাম নিবেদন করিলাম তোমাদের চরণে।
কলমে দেবজিৎ দত্ত, জরুল, আমিলা, পূর্ব বর্ধমান
কুকুরা অনিলা বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই আমি লেখালেখি করতে পছন্দ করি। 7 বছর বয়সে আমার লেখালেখির শুরু। বর্তমানে আমি অষ্টম শ্রণিতে পড়ি। আমি এবাভেই আরও এগিয়ে যেতে চাই । আশীর্বাদ করুন যাতে আমি আরও কবিতা ও গল্প লিখে আপনাদের সদা আনন্দমুখর ও উজ্জীবিত রাখতে পারি।