হারিয়ে গিয়েছে শৈশব আজ শিশুর জীবন থেকে,
টলমল পায়ে , সোনালী স্বপন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
মুঠোফোনে ভরা শৈশব আজ মুঠোতেই ধরে যায়,
হাঁদা ভোঁদা আর বাঁটুল দি গ্রেট মিটমিট করে চায়।
ফুটবল পায়ে সবুজ মাঠের এদিক ওদিক ছোটা,
প্রজাপতি দের ওড়াওড়ি আর নূতন সূর্য ওঠা।
ধূলো মাখা দিন তবুও স্বাধীন কৈশোর কড়া নাড়ে।
সোনালী আলোর খোঁজ মেলেনাকো সীমায়িত অন্তরে ।
শৈশব আর কৈশোর হারা দুরন্ত যৌবন,
কুসুম কোমল পেলব ধবল কোথা বন উপবন।
অস্থির মতি দুরন্ত গতি ছুটন্ত মহা যানে
বল্গা বিহীন লক্ষ্যের পানে ছুটছে কিসের টানে!
ঠাকুমার ঝুলি নাই সাথে আর কোথা গেল রূপকথা! ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তাই সব চুপকথা।
ডাক্তার কেউ কেউ বা আবার ইঞ্জিনিয়ার হবে ,
পাইলট হয়ে কেউবা আবার আকাশের সীমা ছোঁবে।
কোথায় ক্যামনে থামবে কখন কোথাও নেইকো লেখা,
প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে গিয়ে দেখে সেটুকু হয়নি শেখা।
কলমে সাবিত্রী দাস, বর্ধমান