সারাদিন ক্ষুধার যন্ত্রনা নিয়ে শুয়ে থাকে নোংরা গলি
রাতের অপেক্ষায়। সন্ধানী তারাদের সেখানে ঢোকা বারণ,
সম্ভ্রান্ত চশমার পারদে নির্লজ্জ বিবেকের ধোঁয়া ছুঁড়ে
মজে ওঠে গলির এক একটি ক্ষুধার্ত চক্রবুহ্য।

ওখানে জমেছে এক নিদারুণ সরীসৃপের খেলা ,
উত্তেজিত ঝিকিমিকি আলোর লকলকে জিভে
এক ফোঁটা আর্নিকার স্বাদ ধুয়ে দেয় সুস্থ চরিত্র,
ভেসে ওঠে থকথকে মিষ্টির রসে পড়া পিঁপড়ের উল্লাস,
ঝাঁঝালো জলের গ্লাস ঘিরে মেতে ওঠা চটুল সংগীত
নির্বিবাদে বিক্রি করে দেয় লাজ লজ্জা আমিত্ব,
গোপনে চলে পিচ্ছিল অক্টোপাসের দুরন্ত মজলিশ
যতক্ষণ জীবিত থাকে পকেটের অহংকার ।

অন্যদিকে রোজ নতুন বুলেটের শেল খেতে খেতে
ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাইফেলের নিষ্পাপ ব্যারেল
বিশুদ্ধ বাতাসের কাছে ছুটে যায় বারুদের নিশ্বাস,
ট্রিগারে জড়িয়ে ওদের বহু অমৌখিক যন্ত্রনা।

            কলমে রিতম মণ্ডল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here