এই পৃথিবীতে এক দিগন্তে মৃত্যু যেন স্বর্গসুখ,
আর এক দিগন্তে মৃত্যু যেন মহানরকের মহাদুঃখ্।
মৃত্যূ, তুমি দিতে পার সুখ তাঁহাকে,
এই পৃথিবীতে দ্বিগবিজয়ি করিয়াছে যে তোমাকে।
মৃত্যূজ্ঞয়ি সেই মহাজন ভুলে গেছে সব ব্যাথা,
স্বার্থেভরা এই পৃথীবীর যত যন্ত্রণা কটুকথা।
দূঃখ বেদনা সকল বিহীন হয়েছে সে আজ মহাপ্রান,
এই পৃথিবীর মহাদূঃখ্ হতে পেয়েছে সে আজ পরিত্রান।
চিরনিদ্রায় শায়িত সে আজ মুছে গেছে সব ক্লান্তি,
লাভ আর ক্ষতি সকল জ্বালিয়ে সে পেয়েছে অমর শান্তি।
মৃত্যুজ্ঞয়ি সেই মহাসুখি চলে গেছে ঐ পারে,
ভাবিয়াছে কি তাঁদের কথা যারা আছে এই পারে?
নির্ভাবনায় চলিয়া গিয়াছে ব্যস্ত রয়েছে সুখে,
তাঁহার বিরহে কাঁদিছে সবাই জ্বালা যন্ত্রণা বুকে।
ক্ষণে ক্ষণে শুধু জাগিয়া উঠেছে তাঁর সেই স্নৃতিমুখ,
মহাসুখে ভরা এপারে তবু মনে হয় কত দূঃখ্।
হে মৃত্যু, দেখেছি আমারা তোমার ক্ষমতা কেবল একাকী সুখে,
তার বিনিময়ে ভরে দিয়ে যাও সারা পরিবার দূঃখে।
আমারা চায় না তোমার ঐ সুখ দূঃখ যেখানে গড়া,
আমারা পুজিব সেই মহাসুখ সবার সুখেতে ভরা।