শেষের সেদিন-তৃতীয় পর্ব

1
870

<< দ্বিতীয় পর্ব 

ডে  ফর্টিন — বিকেল ৩:৩০

আলিপুর  জজ কোর্টের বারান্দায় বসে রিনি তার বাবার সাথে কথা বলছে , মিতা  অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে ,এর মাঝে একদিন শুনানির ডেট  ছিল l মিতা  জজ সাহেবের কাছে আপিল করেছে যে তার মা cancer patient last  stage ……তাই তার পক্ষে এখন কোনোভাবে  কেসের ব্যাপারে  এগোন  সম্ভব না l
মিতা ভাবে নিজের মেয়েকেও  কোর্টে আনতে এতটুকু দ্বিধাবোধ হয়নি ওর বাবার  , মিথ্যে অভিযোগের  পশরা  সাজিয়ে  কিভাবে কিছু মানুষের কূটনীতি আর  নোংরামি একটা শিশুর শৈশব নষ্ট করে দেয়  l আমাদের দেশে সরকারের আইন আছে অনেক ..একটি শিশুকে  কোর্টে   আসতে হবে  এই একতরফা অর্ডার  এর জন্য  তার যে মানসিক চাপ  এবং  এর থেকে  যে মানসিক ক্ষতি  হচ্ছে তার দায় কোন কোর্ট  বা আইন নেবে মিতার জানা নেই l

বাড়িতে শুধু আয়ার কাছে মাকে বেশিক্ষনের  জন্য রেখে আসতে ভরসা হয়না  যদিও আজ বড়মা ও মেজমাসি আসবে মাকে দেখতে l গত যেদিন মেজমাসি এসেছিল  সেদিন মাকে খুব আনন্দ পেতে দেখেছিল মিতা  , মাসি আসবে  শুনে  বলেছিল .” কৃষ্ণা এলেই  আমার  হাত ভাল  হয়ে যাবে ..” l  তার কি হয়েছে ,সে যে আর কিছুদিনের অতিথি এই পৃথিবীতে ..সব মায়ার বাঁধন কাটিয়ে তাকে চলে যেতে  হবে  এসবকিছু  বোঝার মত মানসিক পরিস্থিতি  মায়ের আছে বলেতো মনে  হয়না , আর যদি কিছুটা হলেও বুঝে থাকে তবুও  বিশ্বাস আর কদিন পরেই হয়ত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে ..l
মিতা জানে মায়ের ব্রেইনের  ম্যালিগন্যান্ট কোষগুলি  প্রতিনিয়ত বংশ বৃদ্ধি করেই চলেছে  ,  তাদের আত্রুমনের শিকার  ব্রেইনের সেরেব্রাম ও সেরেব্রেলাম অংশের সুস্থ  কোষগুলি l   সেরেব্রেলাম  অংশের কাজ মানুষের চলাফেরা , নড়াচড়া ইত্যাদি  নিয়ন্ত্রণ করা  যা  আংশিকভাবে  মায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ..শরীরের ডান  পাশ সম্পূর্ণ অকেজো ….আর সেরেব্রাম  অংশের  উপর আত্রুমনে  প্রতি মুহূর্তে মায়ের দৃষ্টিশক্তি , শ্রবণশক্তি , কথা বলার ক্ষমতা এসবকিছুর সাথে  চিন্তাশক্তি , আবেগ সবকিছুই ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে l
কিন্তু এসবকিছুর পরেও  থাকে মানুষের বিশ্বাস ….হতে পারে এই বিশ্বাসের জোরেই মা  কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠল ….l মিতা  মিরাক্যালের  ব্যাপারে শুনেছে  কিন্তু  তাদের জীবনে কখনো  সেরকম কিছু ঘটেনি ….তবে  সত্যি যদি সেরকম কিছু ঘটে ….!!
মাকে  হসপিটাল  থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে  মিতা ভেবেছিলো  মা এখন বাড়িতে  এটা জেনে হয়ত  তার পরিচিতরা কেউ কেউ আসবে ..কিন্তু নীলাদি আর মেজমাসি ছাড়া আর কেউ এপর্যন্ত  আসেনি l  নীলাদির অফিস চাদঁনীতে   , অফিসের পরে পাবলিক কনভেইন্স করে এতদূর আসা আবার সেই বেহালায় ফেরা সত্যি কষ্টকর কিন্তু দিদির মুখে কোনরকম বিরক্তি সে দেখেনি l
মিতার  বাবার এক ঘনিষ্ট বন্ধু  আছেন  , বহুদিন যদিও দেখা সাক্ষাৎ নেই তবে যোগাযোগটা রয়ে গেছে  , সেই কাকুর  ওয়াইফ   মিতার খুব প্রিয়  , কাকিমা মাঝে  মধ্যে  ফোনে  খোঁজ খবর নেয়  ,  মিতা কাকিমাকে আগেও অনেকবার তাদের  বাড়িতে  আসতে বলেছে ..কাকিমা বলেছিল  রিনির হাফইয়ার্লি  পরীক্ষা শেষ হলে এবার আসবে  ..তাহলে  মিতার মায়ের সাথেও দেখা হবে l  মায়ের অসুস্থতার ব্যাপারে  সেই  দ্বিতীয় দিনেই মিতা  জানিয়েছিল …আর এখন মাকে বাড়িতে আনা হয়েছে সেটাও জানিয়ে মিতা বলেছিল  যদি মাকে একবার দেখতে চায় যেন আসে l
কিন্তু কাকিমার উত্তরে মিতা অবাক  হয়ে যায় ..কাকিমার নাকি মায়ের সামনে দাঁড়ানোর  সাহস হবেনা তাই আসবেনা l
মিতার বেড়ে ওঠা ছোট শহরে, তার বাবা  ছোট শহরে  নিজের ইচ্ছেতেই পোস্টিং নিতেন , ছোট শহরে মানুষে মানুষে দূরত্ব কম তাই কারো বিপদে  পরিচিতরা ঠিক  ছুটে আসে ,একবার অন্তত  চোখের দেখা দেখতে চলে আসে l
এই    মহানগরীর মানুষ আনন্দ উৎসবে  নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে একপ্রান্ত থেকে  অপর  প্রান্তে চলে যেতে পারে কিন্তু একজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে একবার দেখতে বা তার অসহায় মেয়ের পাশে দাড়িয়ে একটু আশ্বাস দেবার মত সময় এখানে খুব কম জনের হয়ত  আছে ..l
চিন্তামগ্ন হয়ে কতক্ষন হয়েছে মিতা জানেনা হঠাৎ  ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে দুঘন্টা প্রায় হয়ে এসেছে l সে উঠে রিনিদের দিকে এগিয়ে যায় …” সময় শেষ ..রিনি বাড়ি যেতে হবে ..”  রিনি উঠে পড়ে l

বাড়ি ফিরে দেখে  মেজমাসি ও বড়মা এসে গেছে, মায়ের দুপাশে বসে  কথা বলছে  ,  কিন্তু মা চুপচাপ …আগেরদিন তবু মাসির সাথে কিছু কথা বলেছিল l বড়মা অনেক বাজার করে নিয়ে এসেছে  , জানে মিতার পক্ষে  আর বাজার করতে বেরোন সম্ভব হয়না তাই উত্তর কলকাতার থেকে এই বয়স্ক মানুষটা শাকসবজি মাছ মাংস বয়ে  নিয়ে এসেছে ….ভাবতে গেলে চোখ সিক্ত হয় মিতার  , অথচ এই  মানুষটার ব্যাপারে ছোট থেকে কতরকম কথা শুনেছে .আজ শেষ বেলায়  অনেক  প্রশ্নের  উত্তর  মিতার  কাছে সহজভাবে ধরা দিচ্ছে l
তবে বড়মার আজ একটা আক্ষেপ   মোচার   ঘন্ট  করে আনতে  পারেনি  আসলে  মিতা দুদিন আগে  মায়ের কাছে জানতে চায়  কি খেতে  ইচ্ছে করে  মা বলেছিল  “মোচার  ঘন্ট .. ” কিন্তু   ডাক্তার বলেছেন হালকা খাবার খাওয়াতে  তাই মিতা  মোচার  ঘন্ট করার কথা ভাবেনি …মনে মনে ভেবেছে কদিন যাক  যদি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে  তারপর নাহয় করে খাওয়াবে , যদিও সে কখন করেনি তবে বহুদিন আগে যখন সংসার করার স্বপ্ন দুচোখে নিয়ে  সে  কলকাতায়  এসেছিল  তার কিছুদিন আগে মায়ের  থেকে অনেক বাঙালি  রান্নার  রেসিপি   মায়ের থেকে জেনে  নিজের ডায়েরিতে লিখে রেখেছিল l তখন ভাবেনি সেই লেখা আজ এভাবে মায়ের এই   অবস্থায়  দরকার হবে l

ডে ফিফটিনথ — সকাল ৯:৩০

আজ রবিবার  , প্রতি রবিবারে বাড়িতে লুচি খাওয়া হবে এটাই মিতা ছোটোবেলা থেকে দেখে এসেছে l কিন্তু বহুদিন সেসব বন্ধ l  আজ মিতা লুচি করে মাকে খাওয়ায়  , রিনিকেও অনেকদিন  ভাল  কিছু করে খেতে দেওয়া হয়নি ..শুধু ডাল আর লাউ বা পেঁপের তরকারি তাই আজ সেও খুব খুশি l  গতকাল  বড়মা যে মাংস  দিয়ে  গিয়েছিল  সেটা  দুপুরে রান্না করে আর তার   সাথে  পোলাউ l   মিতার আজ  মাকে প্রাণ ভরে খাওয়াতে ইচ্ছে করছে ..জানেনা কেন ..সব ইচ্ছের হয়ত কারন থাকেওনা l
গত রাতে মায়ের  কিছু ছেলেমানুষিতে মিতা খুব রেগে যায়  , সারাদিনের  ধকলে মেজাজটা ঠিক রাখতে পারেনি l আজ সকাল  থেকে মা একটা কথাও বলেনি আর  , হয়তো অভিমান ..শুন্য দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে ..সে  চোখের ভাষা মিতা পড়তে পারেনা ..লুপ্তপ্রায় চিন্তাশক্তিতে ভর করে দূরে বহু দূরে …যেন কোন  অপার্থিব জগতে  বিরাজ করছে  …যেখানে   হয়ত   পার্থিব জগতের  কোন  শব্দ তরঙ্গ   পৌছচ্ছেনা ….
দুপুরে মিতা  মাকে অনেক আদর করে  , কখন সেকি ভেবেছে মা অবুঝের মত  আচরণ করবে আর তাকে    বকাও দিতে হবে l  মিতা মায়ের মাথায়  হাত  বুলিয়ে বলে চলে  ” তুমি রাগ কোরনা মা  , আমি তোমাকে খুব সাবধানে রাখতে চাইছি , ভয়ে পাই যদি কিছু হয়ে  যায় l  তুমি সুস্থ   হয়ে ওঠো মা …অনেক গল্প করব আমরা  তুমিতো বলেছিলে রিনির পরীক্ষার পরে  রোজ বিকেলে আমরা হাটতে বেরোব আর তোমার শাড়িগুলো পড়া   হয়না তাই একেকদিন একেকটা  শাড়ি  পড়ে তুমি  বেরোবে , তাহলে এভাবে শুয়ে  থাকলে চলবে বল ” l
রোজকার মত আয়া আটটাতে  চলে গেল , রাতের খাবার পর্ব মিটিয়ে মিতা মায়ের কাছে এসে বসে l আজ মা সন্ধে  থেকে ঘুমিয়ে আছে  মাঝে একবার জেগেছিলো তখন মিতা সামান্য কিছু খাওয়াতে পেরেছে , তারপর থেকে আবার  ঘুমচ্ছে l  মিতা মায়ের পাশে  বসে ভাবছে যাক আজ   হয়ত  শরীরে অস্বস্তি কম  তাই শান্তিতে ঘুমতে পারছে  ,  তাহলে আজ সেও একটু ঘুমতে পারবে ..এতদিনতো মা রাতে  ঠিকমত  ঘুমোতেই পারেনি l
মিতা উঠতে যাবে ….কিন্তু মায়ের ঠোট টা একটু নড়ে  উঠল মনে হল ..তাহলে ঘুম ভেঙ্গে   গেলকি ..মিতা একদৃষ্টে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে ,  কয়েক সেকেন্ড ….হ্যাঁ আবার নড়ে উঠল …কিন্তু চোখ খুলছেনাতো ….আরও কয়েক সেকেন্ড ….বা হাত আর বা পা খুব জোরে ঝাকুনি  দিয়ে নড়ে উঠল ..তার সাথে ঠোঁট ..প্রচন্ড জোরে l মিতা দুহাতে  মাকে চেপে ধরে  কিন্তু মুখটাও জোরে ঝাকুনি দিয়ে বাদিকে  হেলে পড়ছে আর দাঁতে লেগে ঠোঁট কেটে যাচ্ছে …রক্ত ..হে ভগবান মিতা চিৎকার  করে  রিনিকে বলে একটা রুমাল দিতে …রুমাল কোনরকমে দুঠোটের মাঝে গুঁজে দেয় l
রিনিকে বলে সুপর্ণা আন্টিকে ফোন করতে …হঠাৎ  মনে পরে  ফোনে  ব্যালান্স খুব কম আছে ..হা ঈশ্বর ….মিতার  যার যার নাম মনে আসছে বলতে থাকে  আর রিনি কন্টাক্ট  লিস্ট থেকে  নামবার বের করে পাগলের মত ফোন করতে থাকে যদি কেউ কোন হেল্প করতে  পারে…..সুপর্ণা ..সঞ্চিতা ..মধুমিতা ….নীলাদি ….শর্মী..আর  রিকোয়েস্ট করতে থাকে ফোনে ব্যালান্স নেই  রিং  ব্যাক করতে ..,  সঞ্চিতা সামান্য কিছু  টাকা  রিচার্জ করে দেয় l
সুপর্ণা আর  সঞ্চিতা দুজনেই বিভিন্ন  হসপিটালে  খোঁজ নিতে  থাকে  , কিন্তু  পেসেন্টের  ব্যাপারে জেনে কোথাও  ভর্তি নিতে চায়না l  শেষে সুপর্ণা ফোনে জানায় বাড়ির কাছের এক নামকরা হসপিটালে  ও কথা বলেছে সেখানে নিয়ে যেতে বলেছে  , মিতা জানে কনভালসন  হচ্ছে ওষুধ দিলেই ঠিক হয়ে যাবে ভর্তি করার দরকার পড়বেনা l
সুপর্ণা রিনিকে বলে নিচের  তলার সমীরকাকুকে বলতে একটা অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেয় যেন …এখন রাত প্রায় বারোটা বাজে …l
অ্যাম্বুলেন্স এলো সাড়ে বারোটায় , সুপর্ণাই ঠিক করে দেয় l মিতা দরকারি  ডকুমেন্টস নিয়ে নেয়  , একবার   ভাবে সমীরকে তাদের সাথে যেতে বলবে ..প্রথমবার ও গিয়েছিল  ….কিন্তু এতরাতে  ওকে বলতে ঠিক মন    চাইলনা , নিজেদের    প্রবলেমে   বিশেষ কাউকে বিরক্ত করতে আর মন চায়না l
সুতরাং মিতা রিনিকে নিয়েই  অচেনা দুজন এক ড্রাইভার আর  আসিস্টান্ট  এদের ভরসায় মাকে নিয়ে রওনা হয় l
হসপিটালের এমার্জেন্সির ডাক্তার  মাকে  দেখে বলেন ভর্তি করতে হবে  , মিতা সুপর্ণাকে জানায় সেকথা  ..এই   হসপিটালের চার্জ অনেক  তাই  সুপর্ণা বলে প্রথমবার যে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানেও  কথা বলেছে …ওখানেই নিয়ে যাওয়া ভাল l
রাত একটা ..ICU এর বাইরে মিতারা বসে ..জনমানবশূণ্য  হসপিটাল , সুপর্ণা মেসেজে খোঁজ নিয়েই চলেছে l  মিতা বুঝতে পারছেনা এতো রাতে ওরা  কিকরে  ফিরবে  ,  আবার এখানে এভাবে থাকাটাইবা কতটা নিরাপদ l  ICU এর নার্সের কাছে মিতা  জানতে    চায় কোন ট্যাক্সি এখন পাওয়া যাবে কিনা ,কিন্তু মেয়েটি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে  বলে   “এভাবে   যাওয়াটাকি ঠিক হবে .”  সে বলে app এর মাধ্যমে যদি কোন গাড়ি   পাওয়া  যায় ..শেষে সেভাবেই একটি গাড়ি বুক করে  ওরা বাড়িতে ফেরে ..l
রিনি বিছানায়  শুয়ে প্রশ্ন করে  ” মা দিদুন আবার বাড়িতে ফিরে  আসবেতো ”  এর উত্তর সত্যি  মিতার  জানা নেই …
রিনি  ঘুমিয়ে পড়ে ..মিতা  সুপর্ণাকে মেসেজ করে জানায় তারা ফিরেছে .., সুপর্ণাও  মেয়েকে নিয়ে একা আছে ..এষার বাবা অফিসের কাজে বাইরে  , তাই ওর পক্ষে কোনোভাবেই আসাটা  সম্ভব ছিলনা  , কিন্তু এতরাতে রিনিকে নিয়ে মিতা ঠিকমত ফিরতে  পারল  কিনা সেটা জানার জন্য চিন্তায় এত রাতেও জেগে বসে
থাকার মত একজনতো কেউ আছে  মিতার জীবনে l
আজ সেই মুহূর্তে  একরত্তি মেয়েটা যেভাবে সবকিছু সামলেছে ..ওর বয়সে  মিতা হলে পারতনা l এই  মহানগরীতে কারও যতবড় বিপদ হোকনা কেন কেউ পাশে এসে দাঁড়ায় না বা দাঁড়ানোর মানসিকতাটাই নেই
….রিনির  এতজনকে ফোন করা একটু সাহায্যের আশায় …আর  শুধুমাত্র  দুজনের ,যারা জন্মসূত্রে মফস্বলের ,তাদের পসিটিভ রেসপন্স  পাওয়া …সত্যি এই মহানগরীর  মেকি সম্পর্কের সাক্ষী  হয়ে   থাকল l

 

<< দ্বিতীয় পর্ব                                                                                            শেষ পর্ব >>

লেখিকা জয়িতা সুর সরকার

লেখিকা পরিচিতি : জয়িতা সুর সরকার, উত্তরবঙ্গ,শিলিগুড়ি (M Sc in Botany and B.Ed.from NBU)। একজন ফ্রিল্যান্স রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং “সমর্পন- Samarpan the joy of sharing” NGO এর সাথে যুক্ত।লেখালেখির সূত্রপাত ২০১৪ সাল থেকে , তবে লেখালেখি নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবনাচিন্তা ২০১৮ সাল থেকে। লেখালেখি এখন আবেগের অনেকটা অংশ জুড়ে আছে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here