ডে ফোর — রাত ৮:৩০
মিতার শরীরটাও কাল থেকে ভাল নেই , সুপর্ণা ফোনে জানায় রিনি আজকেও ওদের বাড়িতেই থাকবে মিতা যেন রিনিকে নিয়ে কোন চিন্তা না করে l হসপিটাল থেকে ফিরে সে প্রথমে মেজমাসি বড়মা ছোটোমাসি সবার সাথে কথা বলে মাকে হসপিটাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যাপারে , সবাই মাকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসার পক্ষে l
সন্দীপের আবার আগামীকাল থেকে ট্রেনিং শুরু , ওর কোম্পানির হেড অফিস কলকাতায় , এইচ আর
ডিপার্টমেন্ট থেকে জানিয়ে দিয়েছে ট্রেনিং এর জন্য ওকে ধুলাগড় যেতে হবেl সন্দীপ আজ বিকেলেই বেরিয়ে গেছে l
আজ মিতা ফ্ল্যাটে একা ,ঘরের কিছু টুকটাক কাজ করে আলো নিভিয়ে দিয়ে বিছানায় বসে ভাবতে থাকে ..বড়মাসির মেয়ে নীলাদি বার বার বলছে সেকেন্ড ওপিনিয়ন এর ব্যাপারে , তাহলেকি অন্য ডক্টর এর ওপিনিয়ন নেবে …এভাবে কিছুনা করে একজন ডক্টরের রিপোর্ট মেনে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকেইবা কিকরে l আজ যদি বাবা বেঁচে থাকত হয়তো TATA Cancer Hosptal এ নিয়ে যাওয়া হত ,রিনি হওয়ার পর থেকে মা যতবার অসুস্থ হয়েছে চেন্নাই হায়েদেরাবাদ বেস্ট হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে , চিকিৎসার কোন ত্রুটি বাবা রাখেনি l আজ বাবা নেই তাই বলে সে একবার চেষ্টাও করবেনা …অনলাইন ফ্রীল্যানসিং কাজ করে সে যা কিছু জমিয়েছে সে শুধু মার অসুস্থতার কথা ভেবে রেখে দিয়েছে …যদিও সেটুকুই তার সম্বল …আর আছে কিছু গয়না , মেজমাসি আগে অনেকবার বলেছে কিছু গয়না বিক্রি করে দিতে কিন্তু মিতার মন চায়নি , শেষ সম্বল তাদের বাড়ি ..কিন্তু মাকে সে এভাবে চলে যেতে দিতে পারেনা ..কখনোইনা l আজ সত্যি বাবার অনুপস্থিতি মিতা প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারছে ….মাথার উপর কেউ না থাকার অসহায় অনুভূতির যন্ত্রনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ..মিতা ঠিক করে সে সেকেন্ড ওপিনিয়ন নেবে …l
ডে ফাইভ —-বিকেল 6:15
এইমাত্র ডক্টরের সাথে কথা হল আগামীকাল মাকে ডিসচার্জের ব্যাপারে , ICU তে ঢুকে মাকে একবার দেখে নেয় মিতা যদিও সেন্স ফিরেছে কিন্তু হাই পাওয়ার ওষুধের জন্য ঘুমিয়ে আছে l
হসপিটাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রিনিকে সুপর্ণার বাড়ি থেকে নিয়ে নেয় l রাতে সুগতদাকে ফোনে জানায় আগামীকাল ডিসচার্জ ,যদি দাদা হসপিটালে আসতে পারে খুব ভাল হয় আর মিতার পুরোনো বন্ধু রণজয়কেও ফোন করে , ওর অফিস পার্ক স্ট্রিট, ইন্সুরেন্স সেক্টর এ আছে তাই ইচ্ছে থাকলেও সবসময় পৌঁছতে পারেনা l রণজয় জানায় কাল ওর একটা মিটিং আছে তবে খুব চেষ্টা করবে যদি ম্যানেজ করে আসতে পারে l এই ব্যস্ত শহরে কারো থেকে এটুকু পাওয়াই অনেক .. এ কদিনে দু একজন ছাড়া আর কোন বন্ধুর সামান্য খোঁজ নেওয়ার সময়ও হয়নি l এরপরে এক আয়া সেন্টারের সাথেও যোগাযোগ করে মিতা এক দুদিন হয়তো রাখতে হবে l প্রতিবার মাকে হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করা হবে এটা ডক্টরের থেকে শোনার পর মনটা আনন্দে নেচে ওঠে , কিন্তু এবার যেন একরাশ চিন্তা মাথায় চেপে বসে আছে, তবে এতসব ভেবে লাভ কি ..যা হবে দেখা যাবে … মিতা নিজেই নিজের মনকে শান্ত করে l
ডে সিক্স —- সকাল ১১:৩০
হসপিটালের রিসেপশনে মিতা রিনি আর সুগতদার সাথে বসে আছে ,মেডিক্লেমের অফিস থেকে ফাইনাল বিল স্যানক্শন হলে তবেই ডিসচার্জ করানো যাবে l এডমিশনের দিন মিতা তাড়াহুড়োতে মেডিক্লেমের কার্ড খুঁজে পায়নি তাই সেসময় হসপিটালে যে টাকা ডিপোজিট করতে হয় সেটা মেজমাসি দিয়েছিল আর সেদিনের বাকি ওষুধ টেস্ট এসবের জন্য যা লেগেছিল সবটাই দিয়েছিল সুগতদা l সত্যি এরা না থাকলে কি হত মিতা জানেনা , এতবছর ধরে মায়ের চিকিৎসায় যা কিছু জমানো ছিল সব প্রায় শেষ l
রিনির আজ খুব আনন্দ দিদুনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ,ও স্বভাবগতভাবে খুব বেশি কথা বলতে ভালবাসে ….সারাদিন ওর বকবকানি মিতা শুনে চলে ..এইকদিন রিনি এষাদের বাড়িতে ছিল তাই মিতার মনে হয়েছে বাড়িটা যেন প্রাণহীন ….আজ মাকে পেয়ে সে বকে চলেছে ” মা আজকে দিদুনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে আমরা সবাইমিলে একসাথে অনেক গল্প করব ঠিক আছে …..”l
হসপিটালের সব ফর্মালিটি শেষ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যায় ,রণজয় অফিস ম্যানেজ করে সেকেন্ড হাফে চলে এসেছে l এম্বুলেন্সে মায়ের বেডের পাশের সিটে মিতা ,রিনি ও সুগতদা l মিতা দেখে মা তার আর রিনির দিকে তাকিয়ে একটু যেন হাসছে কিন্তু দৃষ্টিটা যেন ঠিক স্বাভাবিক না l
তাদের ফ্ল্যাট দুতলায় , এম্বুলেন্সের লোক স্ট্রেচারে করে মাকে উঠিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যায় l মিতা ও রিনি মিলে মায়ের ড্রেস চেঞ্জ করে রাবার ক্লথ ঠিক করে পেতে মাকে শোয়ানোর চেষ্টা করে l
সুগতদা প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধ আর কিছু দরকারি জিনিস কিনে আনে , মিতা মাকে নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পরে যে সুগতদাকে এক কাপ চাও করে দিতে পারেনা , দাদা যাওয়ার আগে বলে যায় একজন আয়ার ব্যবস্থা করতে , মিতা একা সামলাতে পারবেনা ..টাকার ব্যাপারে অসুবিধা হলে মিতা যেন দিদিকে জানায় l মিতা ভাবে যে মানুষগুলোর সাথে এতদিন সেভাবে যোগাযোগ ছিলনা তারাই এখন পাশে দাঁড়াচ্ছে , কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা তার জানা নেই l
রিনি দিদুনের কাছে এগিয়ে যায় ” দিদুন আজ আমরা অনেক গল্প করব ..তুমি উঠে বস প্লিজ …ও দিদুন …মা দ্যাখো দিদুন কিছুই বলছেনা …উঠেও বসছেনা “!!
মিতা মায়ের পিঠের দিকটা ধরে কোনোরকমে উঠিয়ে বসানোর চেষ্টা করে , রিনিকে বলে দুটো বালিশ পিছনে দিতে ..কিন্তু মা যে একপাশে হেলে পড়ছে , হাত পা সব অসাড় ..আর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে …!
তাহলেকি মা আর চলা ফেরা করতে পারবেনা …কথাও বলবেনা ….ডক্টর সেরকম কিছু বলেননিতো ….হে ভগবান …এবার সে একা কি করবে, নিজেকে খুব অসহায় লাগে তার l
মাকে রাতের খাবার খায়িয়ে ওষুধ গুলো খাওয়ায় এরপর রিনির খাবার বেড়ে ডাকে ..” আয় মা খেয়ে নে ” কোন সাড়া নেই , রিনিকি তবে ঘুমিয়ে পড়ল ..সারাদিন ওরতো কম ধকল যায়নি l মিতা পাশের রুমে ঢুকে দেখে আলোটা নেভানো , রিনি বিছানায় মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে ..
“কিহল মা ঘুমিয়ে পড়লি নাকি..কিরে রিনি …একি তুই কাঁদছিস কেন মা ..!!!”
রিনি মিতার কোলে মাথা রেখে জোরে কেঁদে ওঠে আর বলে ” মা দিদুন কেন আর কথা বলছেনা , আমারতো অনেক গল্প করার ছিল দিদুনের সাথে ..”
ডে থার্টিন … সন্ধ্যে –৭:৩০
আজ আয়াকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়েছে মিতা l রিনি আর মিতা মাকে কবিগুরুর কবিতা আর গান শোনাচ্ছে , রিনির বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পরে মিতা কবিগুরুর একটি কবিতার বই গিফট করেছিলl সেই বই থেকে একটি করে কবিতা রিনি শোনাচ্ছে তারপর মা ও মেয়ে গানের এক দু লাইন ….l
বিগত দিনগুলোতে মাকে নিয়ে মিতা খুব ব্যস্ত ছিল , হাউস ফিজিসিয়ান এনে মাকে দেখানো হল lপটাসিয়াম লেভেল নেমে গিয়েছিলো l একজন আয়া রাখা হয়েছে , মেয়েটি বেশ ভাল তবে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা বারো ঘন্টা ডিউটি ওর ,বাকি সময় মিতাই সবকিছু করে আর রিনিও দিদুনের ব্যাপারে মাকে সাহায্য করে l সারাদিন কখন কোন ওষুধ দিতে হবে সেসবকিছুর চার্ট করে সে ঘরের দরজায় আটকে রেখেছে l মিড্ টার্ম পরীক্ষা যেহেতু শেষ তাই পড়ার চাপও নেই অত , স্কুল থেকে ফিরে সেও তাই দিদুনকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে l মাঝে মাঝে মনে হয় এই একরত্তি মেয়েটার উপর দিয়েও কম ধকল যাচ্ছেনা l
মিতার মাথায় এখন অজস্র চিন্তা ..মায়ের ওষুধ , আয়া এসবের খরচ , সংসারের খরচ , কোর্টের কেসের ঝামেলা , একতরফা অর্ডার বের হয়েছে মাসের প্রথম ও তৃতীয় শনিবার রিনিকে কোর্টে নিয়ে যেতে হবে ওর বাবার সাথে দেখা করাতে …সে এবাড়িতে মেয়ের সাথে দেখা করতে আসতে পারবেনা l আসলে এর বীজ মিতা নিজেই বুনেছিল একজন ভুল মানুষকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ..সেই বীজ থেকে হওয়া চারাগাছ আজ বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে আর সেই বিষে মিতার জীবন আজ বিষময় হয়ে উঠেছে l
এসবকিছু সামলাতে সামলাতে মিতার প্রাণ ওষ্ঠাগত , সারারাত চিন্তায় তার ঘুম আসেনা l একটু পর পর মাকে দেখতে হয় , মা যেন কেমন ছেলেমানুষ হয়ে গেছে l কিছু বললে শুধু চুপচাপ শোনে , আদেও কিছু বোঝে কিনা কে জানে l
এরমধ্যে একদিন দিল্লী থেকে ছোটোপিসির ফোন এসেছিলো মায়ের সাথে কথা বলতে চাওয়ায় মিতা মায়ের কানে মোবাইলটা ধরে ..মা কোন কথাই বলেনা . … মিতা ফোন রেখে দেয় l মনে মনে ভাবে আজ যদি মা কথা বলতেও পারতো তবু হয়ত চুপ করেই থাকত ..কিছুটা রাগ আর অভিমান …ছোট থেকে সে বাবার বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের তাদের বাড়িতেই আসতে দেখেছে , ঠাকুমা ঠাকুরদা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের কাছেই থেকেছে ..মা তাদের সেবা যত্নের ত্রুটি রাখেনি ….নিজের শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেছে তবু মুখে কিছু বলেনি …. আজ যখন মানুষটা মৃত্যু শয্যায় তখন কোনোরকম সাহায্য করাতো দুর অস্ত তাদের কজনিবা সামান্য খোঁজ নিচ্ছে… .এসব ভাবতে গেলে রাগে মিতার মাথা দপ দপ করে তাই কোন ফোন ধরতেও চায়না সে l ওর এখন একটাই চিন্তা মাকে কিকরে বাঁচিয়ে রাখবে , আরো কিছুদিন যদি বাঁচিয়ে রাখা যায় ..দিন রাত এক করে ও মায়ের সেবা করবে …কিন্তু মা ছাড়া আর কে আছে যার কাছে একটু শান্তি পাওয়া যায় …l সেই আশায় সে নেট সার্ফ করে কিছু খাবারের নাম পেয়েছে যা খেলে নাকি ক্যান্সার রোগীও সুস্থ হয়ে ওঠে ..সেসব ও বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসে l মিতার মনে পরে রিনির ছোটবেলায় সে যেভাবে তার যত্ন করত ..সকালে ব্রাশ করিয়ে দেওয়া থেকে স্পঞ্জ করানো , ড্রেস চেঞ্জ , খাওয়ানো সবকিছুই সে নিজে করে , আয়া মেয়েটি তাকে সাহায্য করে lআসলে মিতাই নিজে সবটা করতে চায় তার মনে হয় মায়ের যদি কোথাও লেগে যায় মা যে চুপ করেই থাকবে l
একদিন মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে জানতে চায় “মা তুমি কাকে বেশি ভালবাসো ভাইকে না আমাকে …” মিতার কেন যেন মনে হত মা ভাইকে …, মা উত্তর দিল ..”তোকে …তুই যা করছিস ভাই এতকিছু পারতোনা….”যে মা চুপ করেই থাকে আজ এই উত্তর দিতে গিয়ে যেন মায়ের মুখটা খুব উজ্জ্বল হয়ে উঠল …খুব স্বাভাবিক অভিব্যক্তি যেন ফুটে উঠেছে …, মিতা জানেনা কেন …কিন্তু ওর মন এক প্রশান্তিতে ভোরে উঠল l
অথচ ভাইয়ের সাথে ওর কোন প্রতিযোগিতা নেই , সে নিজেও ভাইকে খুব ভালবাসে ..আর সন্দীপ তো এসব কিছু বোঝেইনা ..কিন্তু তবু .. আসলে মানুষের মন …সে নিজেও হয়ত অনেকসময় নিজেকে বোঝেনা l
গতকাল একজন ডক্টর এসেছিলেন , বলে গেলেন ..কিছুই করার নেই ..এভাবে যতদিন আছেন , হয়ত একদিন সকালে উঠে দেখতে পাবেন উনি ঘুমের মধ্যেই চলে গেছেন l মিতা একথা শুনে যেন একটু আস্বস্ত হয়েছিল ..যদি মা সত্যি চলে যায় তবে সেই যাওয়া যেন একটু শান্তির হয় l যদিও মায়ের কোথাও কোন কষ্ট আছে কিনা বোঝা যায়না , জানতে চাইলেও সেভাবে কিছু বলেনা …l
একটা মানুষ যে কদিন আগেও চলে ফিরে বেরিয়েছে , সে আজ এভাবে শুয়ে ..সম্পূৰ্ণভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে আছে l একদিন সেওতো এভাবে মায়ের উপর নির্ভরশীল ছিল যখন সে পৃথিবীর আলো দেখেছিলো , মায়ের যত্নে সে একটু একটু করে বড় হয়ে উঠেছে ..জীবনের পথে এগিয়েছে l আর আজ সেই মা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষারত , এটাই ভবিতব্য l
আজ আয়া মেয়েটিকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়েছে মিতা …রিনি আর ও মাকে কবিগুরুর কবিতা আর গান শোনাচ্ছে ..রিনির বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পরে মিতা ওকে কবিগুরুর একটি কবিতার বই উপহার দিয়েছিল .সেই বই থেকে একটি করে কবিতা রিনি পড়ে শোনাচ্ছে তারপর মা ও মেয়ে রবীন্দ্র সংগীতের দু একটি লাইন ….যদিও মা মাঝে মাঝে একটু কথা বলে তবে তাদের সব কথা আদেও বোঝে কিনা তারা জানেনা .কিন্তু রিনি দিদুনকে শোনাতে পেরেই খুশি. ..
” আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে …..” l
লেখিকা পরিচিতি : জয়িতা সুর সরকার, উত্তরবঙ্গ,শিলিগুড়ি (M Sc in Botany and B.Ed.from NBU)। একজন ফ্রিল্যান্স রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং “সমর্পন- Samarpan the joy of sharing” NGO এর সাথে যুক্ত।লেখালেখির সূত্রপাত ২০১৪ সাল থেকে , তবে লেখালেখি নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবনাচিন্তা ২০১৮ সাল থেকে। লেখালেখি এখন আবেগের অনেকটা অংশ জুড়ে আছে।
[…] << দ্বিতীয় পর্ব […]
[…] দ্বিতীয় পর্ব >> […]