ক্রমশঃ নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলতে থাকিI শুধু যে তিনটে বছর অপচয় হলো তাই নয়,মায়ের কষ্টার্জিত টাকাগুলোও জলে গেল। বাবা মারা গেছেন বেশ কয়েকবছর আগে,তখন আমি স্কুলে পড়ি;  মা তখন থেকে সেলাইএর কাজ করে যা উপার্জন করতেন,তাই দিয়ে আমাদের দু’জনের সংসার চলত। ভাগ্যিস বাবা একটা ছোটখাটো বাড়ি করে রেখে গিয়েছিলেন ।মায়ের দৃঢ বিশ্বাস বি.এ.পাশ করে আমি একটা ভাল চাকরি পেয়ে মায়ের কষ্ট ঘোচাব। হায়রে মায়ের মন!  চাকরিতো দূরের কথা,গত ছমাসে একটা ইন্টারভিউ পর্যন্ত পাই নি; অথচ বি.এ.পরীক্ষায় আহা মরি না হলেও আমার রেজাল্ট খুব একটা কিছু খারাপ ছিল না। মাঝে মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি,যদিও মা সবসময় ভরসা দিয়ে যান। চুপ করে বসে থাকলে তো হবে না, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই উদ্দেশ্যে  রোজই অফিস পাড়ায় ঘোরাঘুরি করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভাগ্য আমার সহায় হয় নি।সারাদিন হাঁটাহাঁটিই সার।

তেমনি করে একদিন লালবাজারের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ল, বেশ কিছু লোক ফুটপাথের ওপরেই একটা ছোট টেবিল নিয়ে টাইপের কাজ করে যাচ্ছে। দেখে মনে হলো সবাই বেশ ব্যস্ত। যে সময়ের কথা বলছি, তখন কম্পিউটরতো দূরের কথা ইলেকট্রিক টাইপরাইটার ও চালু হয় নি; সবই মান্ধাতার আমলের সাধারন টাইপরাইটার মেশিন।

চকিতে খেয়াল হলো, আমি ওতো এমনি করে একটা মেশিন নিয়ে বসে পড়তে পারি। টাইপিং এর কাজটা আমার শেখা ছিল। সবাই যখন কাজ করছে তখন দু’চার পয়সা আমিও রোজগার করতে পারব না কেন?

ভাবা যতটা সহজ,কাজে ততটা নয়। প্রথমতঃ মেশিন পাব কোথায়? নতুন মেশিনতো দূরের কথা, একটা পুরনো সেকেন্ড হ্যান্ড মেশিন কেনার মতো সঙ্গতি ও আমার নেই। আর তারপর যদি কোনও ক্রমে একটা মেশিন জোগাড় করতেও পারি,যারা ওখানে কাজ করছেন তাঁরা কি আমায় বসবার জায়গা দেবেন? মনে মনে এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরে আসি।

রাতে খেতে বসে কথায় কথায় মাকে বললাম আমার মতলবের কথাটা। মা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে একটু চিন্তা করে বললেন , তুই শিবুদার সাথে দেখা কর; ও হয়তো তোকে সাহায্য করতে পারে।

শিবতোষ মামা মায়ের একমাত্র ভাই, বিয়েসাদী করেন নি। নানারকমের কাজের ধান্দায় থাকেন। মায়ের কথা শুনে ভাবলাম তিনি মন্দ বলেন নি। মামার সাথে একবার দেখা করি, তাঁর কাছে পুরনো টাইপরাইটার মেশিনের খোঁজ থাকতে পারে। পরদিন সকালেই চলে গেলাম শিবুমামার বাড়ি।

আমার কথা শুনে মামা ভরসা দিয়ে বললেন,আইডিয়াটা ভালই, দেখি আমি কিছু করতে পারি কি না। তুই সামনের রোববার আমার সাথে দেখা করিস।

পরের রোববার অনেক আশা নিয়ে গেলাম শিবুমামার কাছে। শিবুমামা আমায় দেখে বললেন,তুই এসেছিস? তোর কপাল ভাল। আমার এক বন্ধু নিশিকান্তর কাছে একটা পুরনো টাইপরাইটার আছে। সেটা সে ব্যবহার করে না, আমি তাকে তোর কথা বলেছি। তুই ওটা নিয়ে যা, কোনোও পয়সা দিতে হবে না। টুকটাক কিছু রিপেয়ার করে নিলেই কাজ চলে যাবে। আর ওতে বাংলাটাইপ ও আছে। তোর সুবিধা হবে।

শিবুমামা আমাকে নিয়ে গেলেন তাঁর বন্ধু নিশিকান্তর বাড়ি। তিনি খুশিমনেই তাঁর মেশিনটা আমায় দিলেন এবং কোথায় রিপেয়ার করা যাবে সেই ঠিকানাও দিয়ে দিলেন। উপরি পাওনা হিসাবে শিবুমামা আমার হাতে একশটাকা দিয়ে বললেন,মনে হয় এই টাকাতেই রিপেয়ার হয়ে যাবে, তুই একটা রিকসা নিয়ে এখুনি চলে যা।

আমি তক্ষুনি একটা রিকসা ডেকে শিবুমামা ও নিশিকান্তমামাকে প্রনাম করে চলে গেলাম নিশিবাবুর দেওয়া ঠিকানায়। রিপেয়ার করার বিশেষ কিছু ছিল না। মেশিনটা ভালই ছিল। মামার দেওয়া একশটাকা থেকে রিকসাভাড়া সমেত পঁচিশ টাকাও খরচ হয় নি।

এবারে হলো আসল গেঁড়ো, স্থান সংকুলান। যা ভেবেছিলাম তাই। প্রায় সমস্বরে সবাই আপত্তি তুললো,আমরাই খেতে পাই না,তার মধ্যে আবার আপনি এসে জুটবেন। এখানে হবে না দাদা,অন্য কোথাও যান।

আমার কপালগুনেই হবে কয়েকজন লোক আমার হয়ে কথা বলে শেষ পর্যন্ত এক চিলতে জায়গা আমার জন্য ছেড়ে দিল। আমি বাড়ি এসে মাকে বলে একটা পুরনো টেবিল,একটা টুল ও মেশিনটা নিয়ে রিকসাতে চেপে বসলাম। মা আমার পকেটে ঠাকুরের আশির্বাদী ফুল গুঁজে দিলেন। সতীর্থরা আমায় স্বাগত জানাল। আমি মামার কাছ থেকে পাওয়া টাকার অবশিষ্টাংশ খরচ করে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালাম।

শুরু হলো আমার নতুন জীবন; জানি না ভাগ্যে কি আছে। আমার একটা সুবিধা ছিল আমার টাইপরাইটারে বাংলা টাইপ করা যেত যেটা অনেকের ছিল না, তাই কেউ বাংলা টাইপ করাতে হলে আমার কাছেই আসত।

খারাপ নয়,মায়ের আশীর্বাদে দু’পয়সা রোজগার হচ্ছে। আমি পরম উৎসাহভরে কাজ করে যাই। সবসময় যে কাজ থাকে তা নয়,মাঝে মাঝে ফাঁকাও যায়। তখন হয় সতীর্থদের সাথে গল্প করি আর নয়তো ঝিমুই।

সেইরকমই একটা ঝিমুনির দিনে তন্দ্রাভঙ্গ হলো এক ব্যক্তির গলার আওয়াজে, দাদা, শুনছেন?

আমি ধড়মড় করে উঠে বসি। তাকিয়ে দেখি এক ভদ্রলোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে, লম্বা গড়ন,স্বাস্থ্য ভাল,বড় বড় চুল,দাড়ি না কামানো মুখ, উজ্জ্বল দুটো চোখ; কাঁধে ঝোলানো একটা বড়সড় ব্যাগ। আমি বলি, আমায় বলছেন?

তিনি বেশ বিনীত ভঙ্গিতে বলেন, আপনি বাংলা টাইপ করেন?

আমি বলি, হ্যাঁ ।

তিনি বলেন, আমার একটা কাজ করে দিতে পারবেন?

কি কাজ বলুন? আমি জিজ্ঞেস করি। আমার প্রশ্নের জবাবে ওই ভদ্রলোক তাঁর ঝোলাব্যাগের ভেতর হাত ঢুকিয়ে একটা মোটাসোটা গোছের খাতা বের করে আমার হাতে হাতে দিয়ে তিনি বললেন,এতে আমার লেখা একটা নাটক আছে। নাটকটি টাইপ করে দিতে হবে।

আমি খাতাটা উল্টে পাল্টে দেখি হাতে লেখা একশপৃষ্ঠার কাছাকাছি,টাইপ করলে অন্ততঃ পঞ্চাশ পৃষ্ঠায় দাঁড়াবে। আমি বললাম, টাইপ করে দিতে অসুবিধা নেই, তবে লেখাটা বেশ বড়, সময় লাগবে।

তিনি বললেন, এখানেই আমার অসুবিধা। আজ মঙ্গলবার, শুক্রবার থেকে আমার নাটকের মহড়া শুরু হবে; আমার এটা শুক্রবারের মধ্যে চাই।

আমি আঙ্গুল গুনে বললাম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র – চারদিনের মধ্যে করা কঠিন।

ওই ভদ্রলোক অনুনয় করে বললেন,যে করেই হোক করে দিতে হবে, তার জন্য যদি লাগে আমি পয়সা বেশি দেব।

একটু ভেবে বললাম,ঠিক আছে করে দেব। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

তবে একটা কথা আছে, তিনি বলেন।

কি কথা? আমি জিজ্ঞেস করি।

আমাকে চারটে কার্বন কপি দিতে হবে।

যে সময়ের কথা বলছি তখনও বাজারে ইলেক্ট্রনিক মেশিন আসে নি। এমন কি জেরক্স মেশিন ছিল না। টাইপ করার সময় একটা কি দুটো কার্বন কপি করা হতো। আমি বললাম,দুটো কপি ভাল হবে, শেষের দুটো পরিষ্কার না ও আসতে পারে।

তিনি বলেন, আসবে, আপনি প্রতিপাতার জন্য নতুন কার্বন পেপার ব্যবহার করুন, অতিরিক্ত টাকা যা লাগে দেব।

ঠিক আছে, আমি বলি, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনি শুক্রবার বিকেলে আসবেন।

খাতায় দেখছিলাম নাম লেখা আছে কুনাল রায়। কুনাল বাবু পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, কিছু এডভান্স দিলাম, নতুন কার্বন পেপার কিনে আনুন। আর একটা কথা, সাবধানে করবেন, ভুল না হয়। শুক্রবার বিকেলে আমি আসতে পারব না, অন্য কাউকে পাঠাব। সে বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেবে।

মনে মনে হিসেব করে দেখলাম, রোজগার মন্দ হবে না। মুখে বললাম,ঠিক আছে আমি কাজটা এক্ষুনি শুরু করে দিচ্ছি।

কুনালবাবু চলে যেতে আমি তক্ষুনি গিয়ে নতুন কার্বন পেপার এবং একটা ইঙ্কটেপ কিনে এনে টাইপ করতে আরম্ভ করে দিলাম। ঠিক করলাম কুনালবাবুর কাজটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কারো কাজ হাতে নেব না।

পরদিন অর্থাৎ বুধবার বেলা চারটে নাগাদ দেখলাম কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। খুশি মনে একটু বিশ্রাম নিতে এক খুড়ি চা নিয়ে তাতে চুমুক দিচ্ছি এমন সময় কুনালবাবু এসে হাজির।

আমি অবাক হয়ে বলি,আপনি? আজকে কেন?

কুনালবাবুর সঙ্গে ছিল এক সুন্দরী তরুণী। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন, এ হচ্ছে হিমেলা, আমার নাটকের প্রধান নায়িকা। আপনি এতক্ষনে নিশ্চয়ই এই চরিত্রের প্রাধান্যটা বুঝতে পেরেছেন। নায়ক হচ্ছে কোরক। আমি একে এনেছি আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। বলেছিলাম না কাজটা নিতে শুক্রবার আমি আসতে পারব না, হিমেলা আসবে, ওর হাতে দিয়ে দেবেন। টাকা পয়সাও সেই মিটিয়ে দেবে।

আমার কানে কুনালবাবুর কথা ঢুকছিল না; আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম হিমেলার মুখের দিকে। তার সৌন্দর্যে আমি মোহিত হয়ে যাই। কুনালবাবু যখন বলেন, এখন যাচ্ছি তখন আমার মোহ ভাঙ্গে। ওরা চলে গেল, কিন্তু হিমেলার মুখটা আমি কিছুতেই ভুলতে পারলাম না। আমার কাছে তাকে মনে হয়েছিল স্বর্গের অপ্সরা। কাজ করছিলাম ঠিকই কিন্তু সারাক্ষণ তার মুখটা আমার চোখের সামনে ভাসছিল।

পরশুদিন হিমেলা আসবে কাজটা নিতে, যে করেই হোক সময়মত কাজটা শেষ করতে হবে। কুনাল রায়কে ফিরিয়ে দিতে পারি,কিন্তু হিমেলাকে কিছুতেই খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে পারব না। সেদিন রাত নটা পর্যন্ত হিমেলার মুখটা ভাবতে ভাবতে কাজ করে গেলাম ।

আজ শুক্রবার, কুনাল রায়ের নাটকটির টাইপের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর ঘন্টাখানেক হয়তো লাগবে।

তখন চারটে বাজে, কাজ শেষ। একটু পরেই হিমেলা আসবে। আমি ক্লান্ত হয়ে এক ভাঁড় চা নিয়ে বসেছি, ঘুমে আমার চোখ জুড়ে আসছে। হঠাৎ ‘দাদা’ বলে কে ডেকে উঠল।

তাকিয়ে দেখি কুনাল বাবু। হন্তদন্ত হয়ে এসেছেন, চুল উসক খুসকো। আমি বলি, আপনার কাজটা শেষ হয়ে গেছে।

ঠিক আছে, নেব, কুনালবাবু বলে ওঠেন, আমার খুব বিপদ সোমনাথবাবু!

কি হয়েছে? আমি জিজ্ঞেস করি, আপনার তো আসার কথা ছিল না। হিমেলা কোথায়?

সেই কথাই বলছি, কুনালবাবু বললেন, কালকে আপনাকে যার কথা বলেছিলাম কোরক যে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবে, কাল রাত থেকে হঠাৎ ও গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেI আজ সকালে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন সারতে সময় লাগবে। আমি এখন কি করি? আমার যে আজ থেকেই মহড়া শুরু করার কথা।

শুনে সত্যি খুব খারাপ লাগছে, আমি বলি।

আসলে আমি ব্যাপারটা নিয়ে যখন হিমেলার সাথে আলোচনা করছিলাম, তখন হিমেলাই আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছে।

কুনালবাবুর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বলি, হিমেলা আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে কেন?

হিমেলা বলছে, কুনালবাবু বলেন, ওই পার্টটা আপনাকে দিয়ে অভিনয় করাতে।

আমাকে দিয়ে অভিনয়? আমি প্রায় আকাশ থেকে পড়ি।

হ্যাঁ! হিমেলার মনে হয়েছে আপনি পারবেন, কুনালবাবু আমার হাত দুটো ধরে বলে, লেখাটা নিয়ে আপনি এখুনি আমার সাথে চলুন, একবার রিহার্সাল দিয়ে দেখি।

আমাকে আর কিছু বলার অবকাশ না দিয়ে কুনালবাবু আমাকে প্রায় জোর করে ধরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে এলেন। মনে মনে কিছুটা ভীত হলেও আমি পুলকিত হলাম এই ভেবে যে হিমেলার বিপরীতে অভিনয় করবার সুযোগ পাব।

রিহার্সালে আমার অভিনয় দেখে সবাই খুশি। কুনালবাবুতো আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। হিমেলাও খুব আনন্দিত। দেখতে দেখতে প্রথম অভিনয়ের দিন এসে গেল। রবীন্দ্রসদনে শো হবে পরপর সাতদিন। উদ্বোধনীর দিনে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত সব নাট্যব্যক্তিত্বরা। এসেছিলেন শম্ভু মিত্র,অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়,বাদল সরকার,বিভাস চক্রবর্তী এবং আরো অনেকে।

সবাই আমার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন I হিমেলা হয়ে গেল আমার কাছের পাত্রী I তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা আমাকে সুখসাগরে ডুবিয়ে দিল I হিমেলা ! হিমেলা ! আর হিমেলা ! এখন আমার মনপ্রাণ জুড়ে আছে হিমেলা I

উঠুন, বসে বসে ঘুমুচ্ছেন কেন ? এক সুমিষ্ট কন্ঠস্বরে আমার ঘোর ভেঙ্গে গেল I  ধড়মড় করে উঠে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে হিমেলা I
কি ? দিন আমাদের নাটকটা, হিমেলা হাত বাড়ায় I

আমি তাড়াতাড়ি কাগজগুলো গুছিয়ে তার হাতে দিই I  সে ব্যাগ খুলে আমার প্রাপ্য টাকা গুনে দিয়ে হনহন করে চলে গেল I  সুন্দরী, যুবতী, দক্ষ অভিনেত্রী হিমেলার হাতের মৃদুস্পর্শ আমার হৃদয়ে স্পন্দন বাড়িয়ে দিল I  আমার মত সামান্য শিক্ষিত অর্ধবেকার, দরিদ্র যুবকের পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়াটা গর্হিত কাজ I  হিমেলার মত মেয়ে যে আমার থেকে যোজন আলোকবর্ষ দূরে !

কলমে সুব্রত নন্দী মজুমদার, শান্তিনিকেতন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here