বাঁকুড়া জেলার এক বর্ধিষ্ণু চাষী জ্ঞানতোষ ঘোষ।বছর সত্তর বয়স, বিপত্নীক। এখনও গ্রামে ও নিজের বাড়িতে বেশ প্রভাব আছে তাঁর।ঞ্জানতোষ বাবুরতিন ছেলে ভবতোষ, পরিতোষ ও মনোতোষ আর দুই মেয়ে ভবানী আর মোহিনী।দুই মেয়ে বিবাহিত ।তিন ছেলেও বিবাহিত।ছেলে বউ নাতি নাতনি নিয়ে ভরা সংসার ঞ্জানতোষ বাবুর ।পুকুরে মাছ,গোরু বাছুর, গোলা ভরা ধান কিছুর অভাব নেই।বড় ও মেজো ছেলে চাকরি বাকরি কিছু করে না ,আসলে তার দরকার ও পড়ে না ।তবে ছোটো ছেলে বরাবরই মেধাবী ছাত্র , জমিদারি দেখে আয়েস করে সময় কাটানো তার মোটেই পছন্দ নয়। তাই কোলকাতায় এক বেসরকারী সংস্থায় চ্যাটর্ড অ্যাকাউনটেন্ পদে কর্মরত । বাবার অমতে গ্রামেরই এক বেজাতের মেয়ে কে বিয়ে করায় বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য ও ছিল ,তাই ছোটো ছেলে মনোতোষ পরিবার নিয়ে থাকতো কলকাতার বালিগঞ্জে সুন্দর এক গোছানো ফ্ল্যাটে মনোতোষের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী শতরূপা দেবী দুই মেয়ে চন্দ্রা ও শুভ্রা আর ছেলে অয়ন।বেশ সুখের সংসার মনোতোষ বাবুর।মনোতোষ বাবুর স্ত্রী একটু লাজুক স্বভাবের খুব বেশী কথা না বললেও মুখে সবসময় যেন মিষ্টি হাসি লেগেই আছে একটু টোকা লাগলেই ঠোঁট ফেটে বেড়িয়ে আসে ।সেই হাসি দেখেই মনে হয় মনোতোষ বাবু বাবার অমতে বেজাতের মেয়ে কে বিয়ে করে ছিলেন পৈতৃক সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে,যদিও বাবা তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার কথা বলেননি।খুব বড়ো অনুষ্ঠান না হলে মনোতোষ বাবু গ্রামের বাড়িতে যান না।মনোতোষ বাবুর বড়ো মেয়ে চন্দ্রার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়েছে একবছর হলো ভূগোলে অনার্স করেছে MSc টা করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বাবা এরই মধ্যে সম্বন্ধ দেখতে শুরু করেছেন ।ছোটো মেয়ে শুভ্রা উচচমাধ্যমিক দেবে।আর ছেলে অয়ন পড়ছে সবে ক্লাস সিক্সে।এরই মধ্যে টালিগঞ্জের মতো জায়গায় খুব ভালো পরিবেশে চারকাঠা জমির সন্ধান পেলেন মনোতোষবাবু। আয় ইনকাম তো ওনার ভালোই তাই তখন কার বাজার মূল্যে চারকাঠা জমি চার লাখ টাকায় কিনে ফেললেন।জমি কেনার মাসদুয়েক পরেই আবার বড়োমেয়ের জন্য খুব ভালো একটা সম্বন্ধ আসে ,লক্ষাধিক টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে ও দিলেন।ততদিনে ছোটো মেয়ে শুভ্রা ফার্স্ট ইয়ারের পড়া শেষ করে সেকেন্ড ইয়ারে উঠেছে ইতিহাসে অনার্স করছে। আর অয়ন উঠেছে ক্লাস এইটে।
একদিন মনোতোষ বাবু হঠাত্ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে এলেন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে।খুব শীঘ্রই শতরূপা দেবী ভালো নার্সিং হোমে নিয়ে গেলেন ডাক্তাররা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানালেন ওনার একটা কিডনি পুরোপুরি নষ্ট আর একটা প্রায় অর্ধেক নষ্ট ।মনোতোষ বাবুর স্ত্রী শতরূপা দেবী তার একটা কিডনি মনোতোষ বাবুর শরীরে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু রক্তের গ্রুপ না মেলায় তা সম্ভব হয়নি।অবশেষে শতরূপা দেবী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে শ্বশুর বাড়ির শরণাপন্ন হলেন,ততদিনে অবশ্য শ্বশুর জ্ঞানতোষ বাবু মারা গিয়েছেন।বড় ভাসুর ভবতোষ বাবুর রক্তের গ্রুপ মনোতোষ বাবুর সাথে মিলছে,উনি তার কিডনি দিতেও রাজি হয়েছেন।তবে শতরূপা দেবীর সঙ্গে সবার অলক্ষ্যে একটা চুক্তিও করে নিয়ে ছেন।চুক্তি টি হল এই– –ভবতোষ বাবুর ছেলের নামে দুলক্ষ টাকা দিতে হবে আর মনোতোষবাবু কখনো তার পিতার সম্পত্তি দাবি করতে পারবেন না এবং তার স্ত্রী সন্তান রাও কিছু পাবে না সব সম্পত্তি ভবতোষ বাবুর নামে করে দিতে হবে আর একথা যেন কিডনি দেওয়ার আগে বা পরে কেউ না জানতে পারে এমন কি মনোতোষ ও না,যে তিনি জোর করে সম্পত্তি আর দুলক্ষ্য টাকা নিয়েছেন। সবাই যেন ভাবে ভবতোষ বাবু কিডনি দিয়েছেন বলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতার বশে তিনি খুশি হয়ে ওনাকে সব দিয়ে দিয়েছেন। স্বামী কে বাঁচানোর জন্য ভবতোষ বাবুর এই অন্যায় মাথাপেতে মেনে নিলেন শতরূপা দেবী।সময় মতো সব ঠিকঠাক হল মনোতোষ বাবু আগের চেয়ে একটু সুস্থ হলেন।অফিস থেকে ভলান্টিয়ারি রিটায়ার নিয়েছেন।এবার ছোটো মেয়ের জন্য এক ভালো সুপাত্রের সন্ধান পেলেন।পাত্র পদস্থ সরকারি অফিসার।এবারেও মেয়ে র বিয়েতে তিনি লক্ষাধিক টাকা খরচ করলেন, জামাই যেহেতু পদস্থ সরকারি কর্মচারী তাই মান সম্মান রাখার জন্য বড়ো মেয়ের বিয়ের তুলনায় খরচ অনেক টাই বেশী হল।যেটা বড়ো মেয়ের কাছে বেশ ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।যাইহোক বিয়েথাওয়া মিটেগেল।অয়ন এবার ক্লাস টেন মনোতোষ বাবু ভাবলেন আমার শরীরের অবস্থা ভালো না তাই এবার অয়নের কথাও ভাবতে হবে।এমন সময় হঠাত্ একদিন মনোতোষ বাবুর ফ্ল্যাটে ভবতোষ বাবু এসে হাজির।দাদাকে দেখে মনোতোষ বাবু বেশ খুশি হলেন ।দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে দুজনে বিশ্রাম নিচ্ছেন এমন সময় ভবতোষ বাবু আমতা আমতা করে বললেন তাঁর ছেলের রেলে একটা চাকরির সুযোগ হয়েছে তবে 50000 হাজার টাকার দরকার, কিন্তু এখন ধান জমিতে সবে বীজ বোনা হয়েছে, ডাল আর অন্যান্য সব্জি গুলো উঠতে বাকি আছে নগদ টাকা তেমন হাতে নেই তাই——’যদি কিছু টাকা তুই দিতে পারিস। ।মনোতোষ বাবু তো জানেনই না যে তাঁর স্ত্রী র সঙ্গে কি কূট কৌশল করেছেন ভবতোষ বাবু তার পৈতৃক সম্পত্তি সব হাতিয়েছেন।দাদাতো তার কাছে দেবতার সমান কারণ নিজের প্রাণ বিপন্ন করে নিজের একটা কিডনি তিনি ভাইকে দিয়েছেন। তাই ভবতোষ বাবু টাকার কথা বলতেই মনোতোষ বাবু দাদার হাত দুটো ধরে দু চোখে একটু জলের ছোঁয়ায় ঝাপসা দৃষ্টিতে দাদার দিকে তাকিয়ে বললেন তোমার জন্য এটুকু আমি করতে পারবোনা?তুমি আমার প্রাণ দিয়েছো।বিকেল চারটের ট্রেনে ভবতোষ বাবু বাড়ি ফিরবেন তাই তৈরি হচ্ছেন।তখন মনোতোষ বাবু শতরূপা দেবী কে দাদার ছেলের চাকরির কথা ও 50000 টাকার কথাও বললেন এবং 50000 হাজার টাকার একটা চেক সই করে দিতে বললেন।সব শুনে শতরূপা দেবী তো হতবাক কিন্তু কিছু বলার উপায় নেই তাই চুপচাপ চেক সই করে দিয়েদিলেন।মুখে একটু কুন্ঠা বোধ প্রকাশ পেলো যেটা মনোতোষ বাবুর চোখে ধরা পড়ে যায়।মনোতোষ বাবু একটু অবাক ও হলেন আর স্ত্রী কে এই প্রথম একটু কৃতঘ্ন ভাবলেন যদিও মুখে কিছু বললেন না।এদিকে শতরূপা দেবী ও ভাবছেন মানুষ টাকে যতই তুমি দেবতা ভাবো আসলে উনি অসুর।বেশ কয়েক বছর যাবার পর শুভ্রা র দিক থেকে শুভ খবর এলো মা হতে চলেছে শুভ্রা ।যদিও বড়মেয়ের দিক থেকে দুবার দাদু দিদা হয়েগেছে মনোতোষ বাবু ও শতরূপা দেবী ।
কয়েক মাস পর, হঠাত্ মনোতোষ বাবুর পেটে আবার প্রচণ্ড ব্যথা আবার ডাক্তার দেখানো হলো জানাগেলো যে কিডনিটা প্রায় অর্ধেক নষ্ট ছিল সেটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে ।এখন উপায়, শতরূপা দেবী জেনে গেছেন কারোর কাছে সাহায্য চাওয়ার কি ভীষন মূল্য দিতে হয়। তাই কারোর কাছে হাত না পেতে নিজের গয়নগাটি, জমানো টাকা পয়সা ও টালিগঞ্জের ওই চারকাঠা জমি প্রমোটারের কাছে চার লাখ টাকা ও তৈরি ফ্ল্যাটের দুটো রুম তিনি পাবেন এই শর্তে দিয়ে দিলেন,এই ভাবেই মনোতোষ বাবুর চিকিত্সা চালাচ্ছিলেন।ইতিমধ্যে আর এক দুর্ঘটনা, ন’মাসের গর্ভবতী শুভ্রা বাথরুমে পড়ে গিয়েছে অনেক চেষ্টা করে ডাক্তার রা তার ফুটফুটে কন্যা সন্তান কে বাঁচাতে পারলেও শুভ্রা কে বাঁচাতে পারেননি ।মনোতোষ বাবুর কিডনি নষ্ট হওয়া থেকেই সংসারে একটু একটু করে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল এবার উঠলো তুমুল ঝড়।শুভ্রা র মৃত্যু তে মনোতোষ বাবু শোকে বিহ্বল হয়ে পড়লেন তবুও ছোট্ট ফুটফুটে নাতনি টিকে দেখে কিছুটা কষ্ট লাঘব হলো।প্রায়ই অসুস্থ শরীর নিয়ে নাতনি কে দেখতে যান তিনি। এবার আরও এক অন্ধকার সকাল এলো মনোতোষ বাবুর জীবনে।একদিন একটু বেলা করে স্ত্রী কে ঘুমোতে দেখে তাকে বিরক্ত না করে ভালোবাসা র বেশ স্ত্রীর পছন্দ মতো এক কাপ গরম গরম চা করে দুটো বিস্কুট প্লেটে নিয়ে এসে শতরূপা দেবী কে ডাকলেন –শতু ওঠো তোমার মনপসন্দ চা করে এনেছি ওঠো অনেক দিন পর দুজনে একসাথে চা খাই।দুবার ডাকার পর শতু কে উঠতে না দেখে উনি একটু ধাক্কা দিলেন এবার শতু র বেলা করে ঘুমোনোর কারণ টা বুঝতে পারলেন মনোতোষ বাবু, বুঝতে পারলেন সেই হাসি মাখা মুখে ভালোবাসার শতু আজ চির নিদ্রায় মগ্ন হয়েছে।ডাক্তার এলেন রিপোর্ট দিলেন প্রায় 5_6ঘন্টা আগে হার্ট অ্যাটাক করেছে।এখন সব শেষ মনোতোষ বাবুর আশা করে কেনা জমিতেও নিজের মনমতো বাড়ি করা হলো না ।তৈরি হয়েছে অনেক উঁচু ফ্ল্যাট তার থেকেই দুরুমের যে ফ্ল্যাট তিনি পেয়েছেন সেখানেই ছেলেকে নিয়ে থাকেন।এটুকু অংশ মনোতোষ বাবুর শেষ সম্বল তাই এটা তিনি তাঁর ছেলে অয়নের নামে লিখে দিয়েছেন ।মাথায় ছাত থাকলেও সংসারে এখন বেশ অভাব বোঝাযায় ।অয়ন এবারে উচচমাধ্যমিক পাশ করে জয়েন্টে বসে ছিল।ফল বেরোনোর অপেক্ষায় আছে,তবে অয়ন বুঝতে পারছে না ভালো ফল হলেও এগোনো কি ভাবে সম্ভব। যাইহোক এভাবেই বাবা ছেলের দিন কাটছিলো।একদিন মাঝ রাতে মনোতোষ বাবুর খুব শরীর খারাপ লাগছে ।তাও ছেলেকে ঘুমথেকে তুলে বিরক্ত করতে চাননি ।ভোরের দিকে যখন অসহ্য কষ্ট হচ্ছে তখন ছেলেকে ডাকলেন অয়ন তাড়াতাড়ি উঠে ডাক্তার কে ফোন করল আর বড়দি আর ছোটো জামাই বাবু কেও ফোন করলো ডাক্তার দেখে হসপিটালে নিয়ে যেতে বললেন ততক্ষণে দিদি জামাই বাবু রাও এসে গেছে মেয়ে জামাই দের দেখতে পেয়ে মনোতোষ বাবু যেন একটু জোর পেলেন উঠে বসে তিনজনকে কাছে ডেকে বললেন অয়ন কে দেখো বলে আবার শুয়ে পড়লেন আর অয়নের হাতটা ধরে নিস্তেজ হয়ে পড়লেন ।ডাক্তার এবার ভালো করে দেখে বললেন উনি আর নেই। অয়নের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো সব যেন অন্ধকার। অয়নের কঠিন লড়াই শুরু । দিদিজামাইবাবুরা মাঝে মাঝে খোঁজ নিতে আসে।একদিন দিদি জামাই বাবু রা পরামর্শ দিল বাঁকুড়ার গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য ,অয়ন ও নিরুপায় তাই অগত্যা সেখানেই গেলো।বড়োজ্যাঠা ও তার পরিবার বেশ আদর যত্ন করলো কিন্তু মেজো জ্যাঠা খুব একটা পাত্তা দিলোনা জানে এখন জমিজায়গার ভাগ চাইবে।আর ভবতোষবাবুর তো সে ভয় নেই,উনি তো আগেই কার্যসিদ্ধি করে রেখেছেন ।তাই ভবতোষ বাবু ভাইপোকে খাইয়েদাইয়ে দোতলার কোনায় একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে অনেক গল্প করলেন এবং অবশেষে এও বললেন তুমি কি সম্পত্তি র দাবি করতে এসেছো? তা তো হবেনা, আসলে আমি তোমার বাবাকে কিডনি দিয়েছিলাম বলে তোমার মা কৃতজ্ঞতা র বশে সব আমাকে দিয়ে গেছেন এই দেখো উইল দেখো এখানে তো তোমার কোনো অধিকার নেই। অয়ন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে না, তার পর সম্বিত ফেরে।দুচোখে জল ভরে আসে মায়ের উপর খুব রাগ অভিমান হয় বেচারা শতরূপা দেবী র এরকম করার কারণ কেউ কোনো দিনও জানতে পারলোনা ।তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য বেড়িয়ে পড়ে অয়ন ।বাড়িতে এসে পরের দিন দিদি ও দুই জামাই বাবু দের ডেকে পাঠায় তাদের সব কথা জানায়।
সব জেনে সবাই শতরূপা দেবীর উপর অখুশি হয়।সেদিন সবাই চলে যায় অয়ন সারারাত ভাবে কি করবে? এদিকে তন্দ্রা আর তার স্বামী ভালো করেই জানে টালিগঞ্জের মতো জায়গায় ভাইয়ের ফ্ল্যাট টার দাম কতো হতে পারে, তাই এ সুযোগে অয়নের কাছ থেকে যদি ফ্ল্যাটটা নিয়ে নেওয়া যায় ।একদিন তন্দ্রা ভাইকে ডাকলো খুব আদর যত্ন করে আর অয়ন কে বোঝায় তুই যদি তোর ফ্ল্যাটটা আমার নামে করে দিস তাহলে আমরা তোর সব দায়িত্ব নেবো তোকে কিচ্ছুটি ভাবতে হবে না তুই নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারবি।দিদির চাতুরি বুঝতে অয়নের এক মুহূর্ত সময় লাগল না বুক ফেটে গেল কষ্টে ঘৃণায় নিজের দিদি ও অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছে ।দিদিকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললো চল্ তাহলে আজই উকিলের কাছে গিয়ে সব ব্যবস্থা করে আসি।কথা মতো কাজও হলো অয়ন সব দিদির নামে করে দিল, দিদিতো খুব খুশি দিদি ঘুণাক্ষরেও ভাইয়ের মনের কথা বুঝতে পারলো না।এবার দিদির বাড়ি থেকে বেরিয়ে অয়ন সোজা চললো স্টেশনের দিকে হাঁটছে আর ভাবছেএ পৃথিবী শুধু স্বার্থপরের এ পৃথিবী আমার বাসের অযোতাই স্টেশন পৌঁছানোর পর রেললাইনের উপর দিয়ে মিনিট দশেক ধরে হাঁটছে এমন সময় একটা থ্রু ট্রেন ঝড়ের গতিতে অয়নের শরীর টাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল অয়নের সারা জীবনের ঝড় থামিয়ে দিয়ে অয়নকে পাঠিয়ে দিল চির শান্তির জগতে ।।