তাসের ঘর বেঁধেছিলেম,
দুঃখের বালুচরে
এক ঝড়ের রাতের অন্ধকারে।
ভালোবেসে মালা পড়াই
কুবের মাঝিরে।
প্রণয় ছিলো, সুখ ছিলো
ছিলো খিদের জ্বালা।
বছর বছর তুফান ছিলো,
ছিলো প্রলয়ের পালা।
আয়লা, সুনামি, ফণী এলো
এলো উম্পুন আর ইয়াস-
উন্মাদ পবনে, প্রচন্ড গর্জনে
আকাশ হাসিল অট্টহাস!
ফি বছর ভাঙে ঘর,
ডুবে যায় বালুচর,
ভেসে যায় অভাবের সংসার
আকাশ, সমুদ্র নেয় দৈত্যের আকার।
যেদিকে তাকাই দেখিতে যে পাই
শুধু নীলাম্বুধি অন্ধকার।
পরদিন রবি করে, চরে ভালোবাসা ভরে
নতুন করে বাঁধি ঘর দুজনে মিলে।
মাঝি আবার পাল তুলে
তরী ভাসায় সাগর জলে।
যতদূর চোখ যায় দেখি যে তারে,
একাকী দাঁড়ায়ে আমি ঘরের দ্বারে।
তবে আজ একি হোলো?
মাঝি কোথা ভেসে গেল!
ফিরিল না সে, মোর বুকের মাঝারে।
ইয়াস ভাঙিল ঘর, এক রাক্ষুসে ঝড়-
মাঝিরে কেড়ে নিলো ভরা কোটালে!
দুঃখের বালুচরে একলা আমি,
আবার বাঁধি তাসের ঘর।
ছোট্টো কুবের লাথি মারে,
প্যাটের ভিতর অবিরল।
গর্ভে আমার উঠছে বেড়ে
মাঝির ভালোবাসার বর।।
কলমে ববিতা সরকার(গুহ রায়), বেলঘড়িয়া, পশ্চিমবঙ্গ